হৃদয়টা ফিলিস্তিনের মত অধিকৃত প্রান্তর এখন
আবেগের পাতাটা বুলেটে বুলেটে ঝাঝরা,
অনুভূতির খাঁজগুলো কোঁকড়ানো লবন খাওয়া ‘জোঁক’ আর
রক্তের হিমোগ্লবিন কণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে

মরে যাওয়া সাগরের বেলাভূমিতে, ভাঙা স্বপ্নরা
আছড়ে পড়ে তীব্র বেদনায়
অঝোরে ঝরায় অশ্রুগাথা, যেটা বয়ে চলে,
স্নিগ্ধ সাগর হলেও পারতো।।

ওহে মোর প্রিয়তমা বেশ ভালো আছো
কোনোদিন ভুলে যাবে না !
শেষঃ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও
টিকে রাখবে আমাদের ভালোবাসা।

তীব্রতা সব একদিকে রেখো!
বাকি সবদিকে শান্তি।

কষ্ট কি আমাকে মুক্তি দিবেনা!
কষ্টের আমাকে এত প্রিয় কেন?
কষ্টের নানান রূপে আমি বিমুঢ়, ব্যথিত।

আমি নদ,
আজ এক স্রোতহীন নদ।
তোমার কাছে এসেছি ভেদিয়া কত প্রান্ত
পরতে-পরতে ভালবাসা জমিয়েছি
নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করেছি
তোমাকে ভালবেসেছি
আজ আমি নিজেই সর্বস্বান্ত।।

আচ্ছা তুমি কি আমায় বুঝেছিলে?
নাকি চোখের পানিতে মেকাপ নষ্ট না হওয়ার
দিকেই তোমার সবটুকু চেতনা নিবিষ্ট ছিল?
'এত বছর পর কেমন আছি জানতে চাচ্ছো শুদ্ধা?'
আমি আছি স্মৃতি-বিস্মৃতির ফাঁকে এক ফটোগ্রাফার ।

তোমার প্রতি আমার টান,
এই তীব্রতা, এ মায়ার বন্ধন
কখনো কি অনুভব করেছো?
জানি ভুলে গিয়েছো আমায়;

নষ্ট সময় গুলো
বার বার ফিরে আসে
সল্প সময়ের নোটিশ
নিজেই বহন করে যত্নে
অথবা তুচ্ছ তাচ্ছিল্লে,

জোছনা উঠলেই কি গৃহত্যাগী হতে হবে ?
ছিঁড়ে ফেলতে হবে সব বন্ধন ?
দূরে যেতে হবে সম্পর্কের বুনোজাল ঘেরা জগত ছেড়ে ?
পঞ্চমীর চাঁদ ডুবলেই কি মরিবার সাধ জাগতে হবে ?

তীব্র আবেগের বশে কবে কোনখানে
জড়িয়ে গিয়েছি ক্রমে ধীরে অতি ধীরে ।
আপাদমস্তকে ডুবে যাই মানে অপমানে
সূর্যাস্তের মতো সুপ্ত আঁধারের ভীড়ে।

লাল শাড়িতে প্রেমে পরেছি আমি তোর
তোর মনের হতে চাই আমি একটা চোর,,
শোন তুই এত সহজে দিস না আমায় ধরা
তোর প্রেমে হতে চাঁই আমি পুরো দিশেহারা,,

নম্র ঘুড়ি আজিকার, উড়িতেছ-
তুমি আপনমন লইয়া,
যতনে গড়িয়াছি তোমাই
আমি হরেক গুঁতো খাইয়া।

ছুঁয়ে দেখো দেবী,
তুমি ছুঁয়ে দিলেই লিখে দিতে পারি একশো প্রেমের কবিতা;
লিখে ফেলতে পারি ব্রহ্মাণ্ডরচনার সমস্ত ইতিহাস;
যদিও ইতিহাসে আমার মোহ ছিল না কোনকালে!

নিষ্পাপ-নিরীহ মানুষের উপর
এই কেমন নিমর্ম-নিষ্ঠুরতা
স্বাধীন দেশে কেন এত উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।