কী এক অমোঘ ঘোরের মেঘ পালকে
ছুটে ছুটে চলা দুর্নিমিত্ত বাঁধনে
সুখ,সমৃদ্ধি,নাম যশ আর মোহ
এসবই এখন আধুনিক ঐকান্তিক জীবন।

কবে থেকে গাছটায় পড়ে নি এক ফোটা জল,
ডালপালা শুকিয়ে খটখটে হয়ে গেছে।
টিকে আছে শুধু নগ্ন দেহখানি কোমল মৃত্তিকায়,
বাঁচায় স্বপ্ন নিয়ে চেয়ে আছে।

মানুষের বেসে ওরা ওঁত পেতে থাকে
জীবন বিপন্ন করে রক্তাক্ত আচঁড়ে
দুমড়ে মুচড়ে দেহে বিষাক্ত কামড়ে
পিকাসোর দগদগে গোয়ার্নিকা আঁকে।

জন্ম থেকে এতদূর পর্যন্ত বেঁড়ে ওঠা
বয়সের সাথে সাথে রুচির ঢেঁড় পরিবর্তন হয়েছে
পোশাক-আশাক থেকে সব-সবকিছুতেই
একটু শান্তির ছোঁয়া খোঁজার সামান্য চেষ্টা মাত্র ।

শিশিরে ভিজে গেছে
আলতো করে হাত দিয়ে মুছে দিয়ে তার ভেজা ভাব
মনে হল, তোর নরম গায়ে হাত বুলালাম

আচমকা ঘুম ভাঙ্গে
চিৎকার করে কাঁদি;
সর্বশান্তির ময়দান থেকে
তীরভূমি মৃত্যুর যাত্রী এখন।

ছোটোবেলায় স্বপ্ন দেখা ছিল,
আব্দারে আর আহ্লাদি বায়নাতে,
আশাই ছিল, ছিল না সংশয়,
তাই, প্রাপ্তি ছিল বড়ই মধুময়।

গিরগিটি মরে শরমে , ‍নিজেদের পরজয় দেখে
রঙ পাল্টানোর খেলায় মানবকুল তাদেরকে হারিয়েছে।
মিথ্যাকে ধাওয়া করতে দেখিনা আজ সত্যকে
দুর্ভিক্ষে পড়ে সহিষ্ণুতা আজ কোমায় গিয়েছে।

অবাক হয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে রই -
তুমি কি প্রেমিক, না কোনো দেবতা
যে নিজের ইচ্ছেগুলোকে নিমেষেই বিসর্জন করো প্রিয়ার তরে!

নানা রঙ্গের জীবন
নানা রঙ্গের মানুষ,
শত শত চাওয়া
কিছু কিছু পাওয়া
চাওয়া পাওয়ার মাঝে

শেষমেশ হিজড়ার হাতে তুলে দিলি প্রেম
ভালোবাসা চুমু সঙ্গম ছোঁয়াছুঁয়ির নিরাপত্তা ।
অসুস্থ কন্যা চিৎকার করে বলছে ‘এ আমার বাবা’

জীবনে অনেকতো প্রাপ্তি ঘটেছে
এবার কিছু দেওয়ার জন্য তৈরী হও ।

বিচ্ছিন্ন সময়ের স্বপ্ন করেছিলো আমায় গ্রাস
বুঝতে পারি নি জীবন কখনো আমার নয়
সে কাঁদে অন্য কোথাও, অন্য কোন অনাকাঙ্ক্ষিত আকাঙ্ক্ষায় ।

এত সহজ নয়, শেষ পথটুকু শেষ হবার আগেই,
গুপ্তচর কিছু নিঃশব্দ তরঙ্গের ফিরে যাওয়া পর্যন্ত,
পড়ন্ত বিকেলে চটজলদি খুশি কিংবা টুকরো বেদনার

তখন চলে গেলি, আহা কোথায় গেলি!
বুকের কাছে আলগোছে, এখনো বাঁধা আছে রাজকীয় বসন্ত
এপাশ থেকে ওপাশে, দ্যাখ কেমন নিরব উচ্ছ্বাসে-