মা! ওমা!! মাগো!!! কোথায় তুমি?
মা! ওমা!! তুমি কি শুনছো আমায়?
মা! তুমি কোথায় চলে গেছো আমায় একলা করে ?
আমি আর পারছিনা মা! নর হয়ে থাকতে পুরে ৷

জন্মের পর
নানাজান মোর কোলে নিয়ে বলেছিল,
কিরে পারভিন তোর মেয়ে তো হইলো দেখি কালো
আবুঝ আমি ফোকলা দাতে হাসিলাম আগুছালো।
বুঝিনি সেদিন নানাজান মোর দিইলো কিসের আভাস
আকাশে বাতাশে বইলো সেদিন কিসের পূর্বাভাস।

সেই তুমি মা, আজ তুমি মা
মেলাতে পারি না দুই কাল দুই সময়।
তুমি যদি সেই মা হতে আজ
চোখের জ্বালায় গোপনে যেতে হতো না।

রাতটা বড্ড ক্লান্ত, নিস্তব্ধ চারদিক
অথচ আমি ভাবি আমার হারিয়ে যাওয়া সে দিন গুলি;
দেয়ালে টাঙানো মুঠোমুঠো কোলাহল,

ছোট্ট খোকার মনের মাঝে
প্রশ্ন আসে কত!
কে সাজালো রাতের আকাশ
তারার মেলায় শত?

চোখে জল নিয়ে চলে এলাম বাড়িতে,
জামাটা খুলে রাখলাম আলমারিতে।।
উদাসীনি মন নিয়ে,
আকাশের দিতে তাকিয়ে,
ভাবলাম আর কি দেখা হবে না,
গালে টোল পড়া আমার নীলাম্বরীর সাথে।।

পৃথিবীটা হইতো যদি এমনতর
রইতো সিমানা কারো মালিকানা অধিকার
বিধাতার জমিনে সবে মোরা ভাগিদার
নহে কেউ পর অধীন

"হ্যাঁ,অনন্ত,আমি বাড়ি ফিরছি।
আমার প্রথম বাড়ি ফেরা,হয়তো এবারই শেষ।"।
এই পর্যন্ত পড়ে মনে হলো,যা জানার ছিলো,তা জানা হয়ে গেছে।
এখন সন্ধ্যে, এবার আমাকেও বাড়ি ফিরতে হবে।

একটা শুক্রবার গাল,মুখ,চোখ ফুলিয়ে থমকে বসে থাকার,
দরকারি কাজগুলো হাতে না ওঠার,
ফোন রিসিভ না করার,বন্ধুদের আব্দার ফিরিয়ে দেবার,

অস্থির সময়, বিনিদ্র রাত
কষ্টের অসংখ্যা হাত;
আঁকড়ে থাকে, গলা টিপে ধরে
প্রতি মিনিট যন্ত্রণা বাড়ে।

বড্ড ফিকে মনে হয় জীবনধারণ,
রংচটা কালচে হাত-ঘড়িটার মতন।
বড্ড মূল্যহীন হয়ে যায় সব আয়োজন,
ক্ষয়ে যাওয়া পায়ের জুতার মতন।

লাশগুলো লগি দিয়ে সরিয়ে
নদী পারাপারের সেইযে কষ্টগুলি
বিজয় এসে ঢেকেছিল পর্দা দিয়ে ।

জ্বলন্ত মোমশিখা,

আপনারে রেখে অন্ধকারে,

বিলিয়ে দেয় আলোকধারা।

পুর্ণ জীবন নি:শেষ করে,

মেরুদন্ড যখন যায় ভেংগে,

যখন আর দাড়াতে পারে না।

এই শহরে কোথায় ফেলবো আমি নোঙর?
চারিপাশের মুখগুলো যেনো প্রশ্ন করে যাচ্ছে অবিরত
মেয়ে কোথায় যাবে তুমি?
কোথায় তোমার ঘর?

কষ্ট দেখেছ কী কখনো?
আমিতো দেখেনি!
আমিতো দেখেছি মন্ত্রীর মুখে বিশ্বনবীর কুৎসা!
আমিতো দেখেছি কতশত মানুষের চরম অবহেলা।
আমি দেখেছি এক অসহায় নারীর চিৎকার!