আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি। সারাবিশ্ব ভালবাসার রঙিন আকাশে উড়ছে। শুধু ভালবাসা নেই অনিকের হৃদয়ে। কার জন্য, কাকে সে ভালবাসবে? তার তপতীই তাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। ভালবাসা সে তো একজনের জন্যই হয়। এক জীবনে অনেক জনকে ভালবাসা যায় না। হয়তো ভাল লাগে। তার মানে এই নয় যে একাধিক মেয়েকে সে ভালবাসবে।

" ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক "--- বসন্ত শুরু হলে প্রকৃতিতে বিরাজ করে এক দুষ্ট চঞ্চলতা । পল্লবিত শাঁখায় শাঁখায় রঙের বাহার । বাতাসের বে-খেয়াল গতি আর শুকনো পাতার মরমরে আওয়াজ নব-নোতুনের চেতনাকে ধারন করে দারুনভাবে ।

গেলো বসন্তে গোলমাল হলো । এবার পহেলা ফাগুন থেকেই প্রস্তুতি নেবার পালা । চৈত্র মাসে শাস্ত্র আর কু-সংস্কারের অনেক বিধি-নিষেধ ।

ফাল্গুনের হিমেল বাতাসে মেয়েটার চুল উড়ছিল । ছেলেটা মাঝে মাঝেই জুনিয়রদের
সাথে আড্ডা দিতে আসে লাইব্রেরীর নিচে চায়ের টং দোকানে । অসাবধানে চুলের
ক্লিপটা পড়লোতো পড়লো ছেলেটার চায়ের কাপে ।

রুপা আমাদের বাসায় এসেছে। আমি নিয়ে আসতে চাইনি এত তাড়াতাড়ি। এত তাড়াতাড়ি না নিয়ে আসতে চাওয়ার দুই ধরনের ভয় ছিল। এক হলো মা আর অন্য ভয়টি হলো বড় ভাই রিপন। ও ছাড়বে না আসবেই।

বৃদ্ধ ঈমান আলী নদী ভাঙ্গা মানুষ। ঢাকা শহরে এসে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালায়। সংসার বলতে তার ছোট্ট একটি নাতি আর তিনি। আর কেউ বেঁচে নেই তার। নদী তার সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে।

নীল নয়না আছমাকে
সেই যে হাফ প্যান্ট পরা থেকে
মনে রেখেছি;
অর্ধ শতক পেরিয়ে আজ
কেউ যখন বলে মধ্য গগনে সুর্য
অথবা কারো কারো মতে
আমার দুই পা ঢুকেছে কব্বরে;

এই পর্যন্ত বলে শাকিব থামলো। আমিও কিছু বুঝতে না পেরে ওর মুখের দিকে চাইলাম। মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দোষের কী হয়েছে? শাকিব আমার হতবিহবল দশা প্রাণভরে উপভোগ করলো। যেন শেষ চাল দিচ্ছে এমনভাবে বললো,

মেরির সুদৃঢ় আদর্শিক জীবনের চরম পরাজয় যেন ঘটে গিয়েছিলো সেদিন। প্রবাদ ছিলো দিবাস্বপ্ন, কিন্তু আজ যেন মেরির মনে হতে লাগলো সেদিনের ঘটনাটায় দিবাস্বপ্নই বাস্তবে রূপ নিয়েছিলো। ধারণা আর বিশ্বাসের এতোটা বাইরে থেকেও কি কুৎসিতভাবে পরিণতি পেয়ে গেল সন্তানের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আশা আর নিরাশার দোদুল্যমানতায় সে দৃশ্য আজ প্রায় সংসারের কড়িকাঠ ভেঙে অপসৃয়মান।

বাতাসের দমকে কৃষ্ণচূড়ারা নড়ে ওঠে।হৃদয়ের কুঠিরের সেই চেতনা নামক পাখিটি বলে ওঠে,"বাংলা আমার ভাষা,বাংলা আমার দেশ"।

এ শুধু কৃষ্ণচূড়া নয়।

এ বাংলার কৃষ্ণচূড়া,চেতনার কৃষ্ণচূড়া।

দিনটি ছিলো ১লা বৈশাখ । বাংলা নববর্ষ । সবাই গুনগুন করে গাইছে ‘‘ এসো হে বৈশাখ, এসো.. এসো..’’। আমরা সবাই একসাথে বলি “শুভ হোক নববর্ষ”। সবাই যখন একসাথে উচ্ছাস্ আর আনন্দ নিয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানালো তখন চোখের বাধঁ ভেঙ্গে উতপ্ত জল গড়িয়ে পরছিলো অনন্যার। স্বাধীন এই উম্মুক্ত আকাশ আর প্রকৃতি মাঝে অসংখ্য মানুষ আজ এসেছে রমনা বটমূলে।

খোলা আকাশ।আকাশ সব সময় কিন্তু খোলা থাকে না।আকাশ মাঝে-মাঝে ঢাকা থাকে।মেঘে ঢাকা থাকে।যখন আকাশ কাল মেঘে ঢেকে থাকে আর সেই মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে তখন আকাশের মন খারাপ থাকে।এ জন্যই হয়তো কোন গায়ক গেয়ে উঠেছেন-আকাশের মন ভাল নেই আমাদের মন ভার নেই।সত্যি আকাশের মন খারাপ থাকলে মনটা কেমন খারাপ-খারাপ লাগে।আকাশ মুখ গুমড়া করে থাকলে মনে হয় আজ দিনটাই খারাপ যাবে।

আমাদের বিছানাটা পাতিয়ে দিয়ে মা সবাইকে বললেন-, ‘এয়- তোরা চুপচাপ ঘুমাস্ যেন । রাত্রে যদি- কালকের মতো চিতকার চেঁচামেচি শুনেতে পেয়েছি তবে, রক্ষে নেই আর । কথাটা মনে রাখিস্ তোরা ’! সবাই মিলে এক সাথে ঘুমিয়ে পড় লক্ষ্মী ছেলে হয়ে ।

সিফাতের মোবাইল চার্জের অভাবে রীতিমতো কান্নাকাটি করছে।
সারাদিনের ব্যস্ততায় মোবাইলে চার্জ দেয়া হয়নি। ঠিক এই মুহূর্তে যখন মোবাইলের খুব প্রয়োজন, তখনই মোবাইলটা চার্জের অভাবে টি টি করে আর্তনাদ করছে। টিএসসির প্রচন্ড ভিড় আর কোলাহলের মধ্যেও সিফাত সেই টি টি কান্না শুনতে পাচ্ছে।

হয়তো অনেক কিছুই
নয়তো কিছুই নয়,
শিরোনামহীন ভালোবাসায়
কবিতার প্রয়োজনে গড়ে তুলি
আবেগের প্রাসাদ।

সুমন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র থাকার সময় পরিচয় হয় অনামিকার সাথে। এই পরিচয় প্রেমে রূপ নেই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। সুমনের ইচ্ছা হলো পড়ালেখা শেষ করে চাকুরিতে জয়েন করে অনামিকাকে বিয়ে করে নিয়ে আসার।