পাখির কামনা, মুক্ত আকাশ
ক্লান্ত পথিকের কামনা, শীতল বাতাস
মেঘের কামনা, উঠুক ঝড় ।

বাহিরে অঝোর শ্রাবণ,
একটু কি আমি বৃষ্টি ছুঁতে পারি
অথবা তোমার হাতে হাত রেখে
টি এস সির মোড়ে

আমি বিজয়িনী বাংলার নারী।
হে, প্রেম, ত্যাগ, সহিষ্ণুতাই
আমার রমনীয় বৈশিষ্ট।

বৃষ্টিতে আজ ভিজছে খোকা
খুকু ধরেছে বায়না ।
ক্ষীরের সাথে ডালপুরী আমি
কখনো ভালো খায়না !

“আমারও আছে অন্তর, ইচ্ছা হয় মেঘের মতো উড়িআকাশে,
ইচ্ছা হয় ফুলের রেণু, ধূলিরকণা, শিশিরবিন্দুহই,
নয়তো শালিক, দোয়েল কিংবা বকের মতো উড়িবাতাসে,
নয়তো ভাসি শাপলা, শালুক, পদ্মহয়ে ঝিলের জলে।”

অপলোক দর্শণ,ছিড়ে খাবে কামনার ভুরিভোজে,
কিবা সুন্দরী,অস্পরী,অথবা মেথর,পিচাশীর সাজে।
কিবা আসে যায় কামনার পীড়ায়,
অত-শত মানে কেবা,ভাবনার সময় তো নাই।

কাজল রাঙা কালো চোখে
লুকিয়ে আছে মায়া
সেই মায়াকে জয় করতে
হতে হবে তার ছায়া।

এ কেমন মানবীকতা, মনুষ্যত্ববোধের প্রমাণ?
স্বপ্ন হীন,ছিন্নভিন্ন বস্ত্রে রয়েছে অজ্ঞান এটাই কি বাংলার সম্মান ?
তাদেরও তো স্বপ্ন রয়েছে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে,
তারাও তো সূর্যের আলোয় পাপড়ি মেলে বাঁচতে চায় নব সাজে।

প্রাক-প্রাথমিক নষ্ট কবিতার জল।
অংকেতে নেই মন,কষ্ট পাবার ছল।
যা কিছু ছিল, হারিয়ে গেছে।
অজানার উদ্যেশে ছুটে চল।
চলনা? ছুটে চল।

ঠমক হয়ে যাচ্ছে দিন-দিন চেনা সব
নদীর বুকে জল ঠমক
পাখনা খোলা পাখিরা ঠমক
আমার চোখে সূর্য ঠমক!
জানো নন্দিনী—

এক ছুটির দিবসে মনের হরসে,
বেরিয়ে পড়ি জঙ্গলে যাবার মানসে।
হাঁটতে হাঁটতে সেই গহীন জঙ্গলে-
গেলাম একাকী যেথা, হৃদয় হিল্লোলে।

কবে আবার আসবে সে দিন?
কাদামাখা সেই দুপুর বেলা,
কবে আবার সাঁঝের বেলায়,
বকুল ফুলে গাঁথবো মালা,

আমি চাই আমি একটা প্রজাপতি হবো!
আমি ইচ্ছা করলেইউড়তে পারবো যে খান-সে খান,
সেখানে আমাকে বাতাস শুভেচ্ছা জানাবে বন্ধু হয়ে,
আরো আমাকে দিবে ভালোবাসার গন্ধ ও অনুরাগ।

আমার ভুলের এই মাশুল
কখনো বুঝি শেষ হবেনা,
সেদিনই আমি বুঝেছিলাম
আর কখনো আমার থাকবেনা।

কেমনে কাটিবে দিন বঁধূয়ারে ছাড়া?
একাকি জাগিয়া থাকি নিশীথিনী সারা!
ছিলাম আমি যখন বঁধূয়ার সাথি,
কতো কথাই হইত, কতো মাতামাতি ।