শাকুর আলী আজ কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছে মনে করতে পারলো না। তার বিশ বছরের ঠিকাদারি জীবনে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটে নাই।

সেদিন খুব ভালভাবেই অপমানিত হয়েছিলাম! বিশ্বাস করার মত না। ঠিক চোখ দিয়ে পানি পরছিল। মারাত্মক রকমের অপমান, সাথে ভয়ও। ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি মাত্র ফুটওভার ব্রিজ ছিল। যারা এই পথে চলেন তাদের চোখে হয়ত ধরা পরেছে।

এক নারী তার কষ্ট গুলো শেয়ার করতে চাইলো এক মধ্যরাতে। যখন চারিধার নিশ্চুপ। নৈশব্দের তীব্র একাকীত্ব মাঝে নিজের দেহের উষ্ণতা ধার দিতে চাইলো সে।

কয়েকদিন যাবৎ মোবাইল বাজলেই মিথিলার বুকের মধ্যে ছ্যাৎ করে ওঠে। শুধু মিথিলা নয়, বাড়ির প্রতিটি লোকই এখন মোবাইলাতংকে দিন কাটাচ্ছে। বাড়ীর মধ্যে মিথিলার মা রাহেলা বেগমই ফোন রিসিভ করেন। এ-বাড়ীর লোকজন ভয়ে কল রিসিভ করাই ছেড়ে দিয়েছে!

সামনের গলিটা পার করো।
- যদি কেউ...
সে কথা শেষ করতে পারে না।
- কিছু হবে না। দুজন ধরাধরি করে সামনে এগোয়।

ঘুম ভাঙ্গতেই আনন্দে মনটা নেচে উঠলো সুপালির। চারিদিকে একটা সাঁজ সাঁজ রব। লাল লাল ফুলে পূর্ণ সাদা শাড়িটা তুলে নিলো হাতে। নতুন নতুন আবেশটা শুধু তার শাড়িতে নয় যেনো বাতাসেও মিশে আছে। আর যেনো তর সইছে না।

ধানমন্ডিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের পাশে রিকশাটা থামলো।এর উপরের তলাতেই বোমেন পার্লার।এখানেই অতশীকে কনে সাজানো হবে।সারাটা রাস্তায় মেয়েটা কেঁদেছে।আজকের দিনটা আর সবটা দিনের মতোই কর্মব্যাস্ত একটা দিন এই শহরের বুকে।ব্যাস্ত এই শহরের বুকে এমন একটা মানুষ আসলেই নেই যে রাখবে অতশীর হৃদয় ভাঙার খবর।

রাত্রি। পৃথিবীতে পরিচয় দেবার মতো তার এখন আর কিছুই নেই। একসময় ছিল। মা-বোনের সাথে সুন্দর একটা জীবন ছিল। ধন-দৌলত, টাকা পয়সা না থাকলেও নিজের নামটা কাউকে বলতে গর্ব হতো রাত্রির।

ঝিঁঝিঁ পোকাদের ঘুম ভাঙলো তাহলে। কী যে ওরা! ছেড়ে যায় না যেন কিছুই।
আজকাল আমার বড্ড বিরক্তি লাগে কেন জানি! অন্ধকারের প্রতি!
মনুষ্য সম্প্রদায়ের কেমন লাগে? অন্ধকারকে! কিংবা আমাকেই!

অনুপমা কিরে মা অনেক সকাল হয়ে গেলো উঠবিত। হে তোমর আদরের মেয়ে আজ খুব সকালে উঠছে। কিরে অনুপমা তুই আজ এত সকাল সকাল উঠেছিস? মা ফুলের সাজি হাতে এগিয়ে এলো ওর কাছে। আকাশে সূর্যের হালকা উঁকিঝুঁকি, নীলচে কার্পেটে যেন কমলার ছোপ।

সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মেজর সাহেবের ফোনে একাটা অপরিচিত নাম্বার থেকে মেসেজ আসল "আমি তোমার কাছে কিছু চাই দিতে পারবা?" মেজর সাহেব অনেক চিন্তা ভাবনা করে উত্তর দিল হ্যা পারব,

অফিস ফাঁকা হয়ে গেলেও শমিতা যায় নি। হাতের কাজ পুরো না করে ওঠেই বা কি করে।বসের যা মেজাজ!কম্পিউটারের স্ক্রিনটার দিকে তাকিয়ে সময় ভুলে গেছে!
- কী গো শমিতাদি,বাড়ি যাবে না? অফিস তো ফাঁকা হয়ে গেল! চলো,বাড়ি চ,আমি তোমাকে লিফট দিয়ে দিচ্ছি।

সাম্য সবে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বাড়ি থেকে দূরে কলেজে পড়তে এসেছে। এতদিন বাড়ির বাইরে বেরবার প্রয়োজন পড়েনি। বাড়ির কাছেই স্কুলেই পড়াশোনা করেছে। বরাবর ভালো রেজাল্ট করে এসেছে। সবার কাছে প্রশংসা পেয়ে এসেছে। বাপ-মায়ের এক ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন।