ছেলেটা রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছিল আর তার মাথার ওপর উড়ছিল একটা দাঁড়কাক। গোলচত্বরের মোড়ে যে বাঁশিওয়ালা বসে তার সঙ্গে মিতালী পাতানো ছিল ছেলেটার উদ্দেশ্য। তার ছিল খুব বাঁশি শেখার সখ আর মিতালীকেই সে গুরুদক্ষিণা হিসেবে দিতে চেয়েছিল। এ ব্যাপারে তার নির্বাচনে ভুল ছিল না, কারণ বাঁশিওয়ালা ছেলেটিও ছিল মিতা হওয়ার জন্যে উপযুক্তরকম বন্ধুবৎসল। ছেলেটি রাস্তা ছেড়ে ফুটপাথে উঠলো। ফুটপাথের উঁচু নিচু তরঙ্গায়িত গতিপথ তার ভাল লাগে। কিন্তু যখন সে যৌবনে পা রাখবে তখন তার কাছে ফুটপাথ আর ভাল লাগবে না এবং এজন্যেই মেঘনীল নামে এক সমবয়েসী দার্শনিক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম হয়ে যাবে। ছেলেটির মাথার ওপর উড়ছিল যে দাঁড়কাক তার সঙ্গে স্বপ্নে পরিচয় ঘটেছিল। শৈশবে এক মৃত বন্ধুর সঙ্গে সে তুরাগ নদীর পাড়ে বেড়াতে যেতো খুব ভোরে। ভোরে সূর্যের আলো নরম থাকতো বলে তার মৃত বন্ধু তাকে সঙ্গ দিতে পারতো। আলো শক্ত হয়ে উঠলে তাকে চলে যেতে হতো। একদিন তার বাবা মৃত বন্ধুটির সঙ্গে আর যেতে দিলো না। কঠিন ধমকে তাকে শীতল মেঝের একটা ঘরে আটকে রাখলো। বন্ধুটা জানালার শিক ধরে পায়ের পাতা উঁচু করে তাকে দেখতে চেষ্টা করছিল। কিছুক্ষণ পর সে চলে গেলো, আর কোনদিন এলো না। সেদিন রাত থেকে সে তুরাগ নদীর পাড়ে স্বপ্নেই যেতে শুরু করেছিল। স্বপ্নের ভেতর নদীর কাছে যাওয়ার দ্বিতীয় দিনে এই দাঁড়কাকটি এলো। তার সঙ্গে থেকে উড়তে লাগলো খেতে থাকলো নদ্য কেঁচো আর মাটি। মাসখানেক স্বপ্নে আসার পর একদিন ঘুম ভেঙে গেলে ছেলেটি তার বিছানায় কাকটিকে দেখতে পেলো। স্বপ্ন থেকে চলে আসা যে মরে গিয়ে আসার চাইতে সহজ- সে কথাটা এখনও কেউ জানে না। ছেলেটি গোল চত্বরের মোড়ে পৌঁছে নির্দিষ্ট স্থানটিতে তাকিয়ে দেখতে পেলো বাঁশিওয়ালা ছেলেটি অনেক আগেই এসে সারি সারি বাঁশির পসরা সুন্দর করে সাজিয়ে রেেেখছে। ছেলেটি বাঁশিওয়ালার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। বাঁিশওয়ালা ছেলেটাও লক্ষ্য করলো তাকে। তখন দুজনের মধ্যখানে একটা ডুগির ওপর গিয়ে বসলো দাঁড়কাকটা ফুকোর ডিসকোর্সের মতন দুটো কাছাকাছি অস্তিত্বের মাঝামাঝি একটা কিছু হয়ে। দাঁড়কাকটার দিকে তাকিয়ে বাঁশিওয়ালা ছেলেটা বললো- এত সুন্দর বায়োস! কই পাইসো? ছেলেটা বললো- স্বপ্নে। বাঁশিওয়ালা ছেলেটা কাকটাকে ছুঁতে চাইছিল আবার ভয়ও পাচ্ছিল। তার মুখে ফুটে উঠেছিল এমন একটা হাসি যা মানুষ পেট সমান উচ্চতায় কোন হিরে জ্বলতে দেখলে হাসে। অথবা ভুল বুঝতে পেরে অপরাধবোধ নিয়ে যেভাবে হাসে। বাঁশিওয়ালা ছেলেটা বললো তার নাম পাহাড়ি। জানালো সে পাঞ্চনিক সুর খুব ভালো বাজাতে পারে, বন্ধু কি তা শুনতে চায়? বন্ধু সম্বোধনটা শুনে ছেলেটার চোখ ঝিকিয়ে উঠলো। দুজনেই বুঝে গেছে তারা মিতা হতে চলেছে। ছেলেটা বললো, আমার নাম মন। তুমি পাঞ্চনিক সুর কোথায় বাজাবা? পাহাড়ী জবাব দিলো, বাজাইতে হয় উঁচু জায়গায় বইসা। চল পাহাড়ে যাই। মন বললো, এখানে পাহাড় কই? পাহাড়ী বললো- আছে একজায়গায়। আসো আমার সঙ্গে। পাহাড়ী তার কুড়িটা বাঁশি কুড়িটা একতারা দশটা ডুগডুগি শাদা ঝোলায় ভরে ফেললো যে ঝোলাটা তাকে তার খালা বানিয়ে দিয়েছিল আর মরে গিয়েছিল তার ঠিক পর। যেন এ থলেটা বানানোর জন্যেই পাহাড়ির খালা সে বেঁচে ছিল চৌত্রিশ বছর, দুই মাস সতের দিন। খালার পেটে ছিল চার মাস বয়সের বাচ্চা, পাহাড়ি জানতো না সে ভাই না বোন। খালাকেসহ যখন কবরে শুইয়ে দেয়া হচ্ছিল পাহাড়ির হঠাৎ মনে হয়েছিল শাদা কাফনে মোড়া মুর্দার পেট ঠেলে ঠেলে উঠতে গিয়ে থেমে গেলো। কথাটা সে কাউকে বলতে পারেনি ভয়ে। ব্যাগে সব ভরা শেষ হলে তারা হেঁটে হেঁটে শহরের শেষ মাথায় চলে এলো যেখানে জংলা মতো জায়গায় প্রচুর সবুজ ঝোপঝাড় আর মাটি যেখানে গেরুয়া সেখানে দুপুরে ইউক্যালিপ্টাসের চিরল পাতার ছায়া বাতাসে নড়ছিল। এক জায়গার মাটি উইয়ের ঢিবির মত সরু হয়ে ওপরে উঠে গেছে। পাহাড়ি, কুঁজো হয়ে ঢাল বেয়ে উঠে চূড়োয় বসে পড়লো। তারপর বড় একটা বাঁশি নিলো যার ছিদ্রগুলো আঙুল দিয়ে ঢাকতে গিয়ে হাতের পাতা টানটান হয়ে যায়। তারপর ঠোঁটটা মাপমতো বসিয়ে ফুঁ দিলো কিন্তু একটা শব্দও বেরুলো না। আবার চেষ্টা করলো, এবারও না। তারপর সে হেসে ফেললো যেন কিছু একটা বুঝে ফেলেছে। বললো- বাজবো না তো! আমরা অদল বদল হয়া গেসি! মন বাঁশিটা হাতে নিয়ে ফুঁ দিতেই দারুণ পাঞ্চনিক সুর বেরোতে লাগলো। পাঞ্চনিক সুরের মজা হলো এটা যেমন করেই বাজানো হোক মনে হবে পাহাড়ি কোন সুর। মন ভারি আমোদ পেয়ে গেল। সে বাজিয়েই চললো। বিকেলে দুই নতুন বন্ধু একসঙ্গে শহরে ফিরে এলো। মনের মনে খুব আনন্দ হচ্ছিল, এমন সহজে সে এতো সুন্দর বাজানো শিখে গেল! কিন্তু মনে একটা সূক্ষ্ম কামড়ও চলছিল। কেননা মিতা হওয়ার পর থেকে পাহাড়ি আর তবে বাজাতে পারবে না। তাহলে সে রোজগার করবে কী করে। আগের মতো তো আর ডেকে আনতে পারবে না মানুষকে। মন প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চত্বরে পাহাড়ির সঙ্গে থাকতে শুরু করে। মন বাঁশি বাজায় আর পাহাড়ি বাঁশি বিক্রি করে। একদিন সকালে দুজন মিলে সবে পসরা সাজিয়ে বসেছে, এমন সময় একজন মানুষ এলো। মানুষটির চুল দাড়ি ভুরু কিছুই নেই, শুধু কপালে ভাঁজ। মানুষটাকে মন চেনে না। কিন্তু পাহাড়ির মুখ দেখে তার মনে হলো সে চিনতে পেরেছে। চিনতে পেরেই ক্ষান্ত হয়নি, ভয়ও পেয়েছে। মানুষটা বললো, আমি খুব চমৎকার একটা জায়গা থেকে এসেছি। সেখানে বাঁশির ভারি চাহিদা। আমার কাছে সবগুলো বাঁশি বিক্রি হতে পারে কি? পাহাড়ি জানালো যে পারে। তারপর শাদা ঝোলাটাতে সব বাঁশি ভরে লোকটার হাতে তুলে দিলো। বিনিময়ে লোকটা দিলো না কিছুই, শাদা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে হেলে দুলে চলে গেলো। মোড়ে হারিয়ে যেতেই তারা দেখতে পেলো, বাঁশির পসরা ঠিক আগের মতই আছে, কিছুই যায়নি কোথাও। পরদিন এলো এক পরীর মতোন নারী। পরনে ঘিয়া রঙের শাড়ি। চত্বরে এসে দাঁড়িয়ে সোজা পাহাড়ির মুখের দিকে তাকালো। তারপর কাছে এসে তার চুল এলোমেলো করে দিল। মনকে যেন দেখতেই পেলো না। পাহাড়িকে চুমু খেয়ে সে নারী রাস্তা পেরিয়ে অনেক মানুষের ভিড়ে মিশে গেলো। মন দেখতে পেলো পাহাড়ি হু হু করে কাঁদছে। পরদিন মন তার দাঁড় কাককে কোথাও খুঁজে পেলো না। তারও পরদিন ওটাকে আবার স্বপ্নে খুঁজে পাওয়া গেলো। স্বপ্নকে বাস্তবে নিয়ে আসার ক্ষমতাটা পাহাড়ির কাছে চলে গেছে। দাঁড়কাকটিও তাই আগের ঠিকানায় ফিরে গেছে। মন তার বাড়ির ছাদে বসে সুযোগ পেলেই পাঞ্চনিক বাজায়। এ বাঁশিটা যে বাঁশ কেটে নিয়ে বানানো হয়েছিল সেটা ছিল সীতাকু- পাহাড়ের মন্দাকিনী চূড়ার কাছেরই এক ঝাড়ে। এটিসহ শতেক বাঁশের আঁটি বয়ে আনবার সময় পাহাড়ির বাবা এক ত্রস্তপদ নারীকে পাশ কাটিয়েছিলো। সে ছিল মেঘনীলের মা। মেঘনীলের বাবার সঙ্গে অভিমান করে সেই আবেগী নারীটি চেয়েছিল মন্দাকিনী চূড়ো ওপর উঠে তার মেয়েসহ ঝাঁপ দেবে। শেষে সিদ্ধান্ত বদলে একাকী ঝাপিয়ে পড়ে সে। বহু নিচে তার জন্যে দশ হাজার বছর ধরে অপেক্ষা করে ছিল লুকোন ঝরণার কালো পাথর। সে ঝরণার শব্দ সবাই শুনতে পেতো, কিন্তু কেউ কখনও দেখেনি। সেটাকে যে ঠিক মন্দাকিনী চূড়ো থেকে সোজা নিচে গেলেই পাওয়া যাবে সেটিও কেউ কখনই জানবে না। মেঘনীলের মা এখানটায় আত্মাহূতি দেয়ার পর আরও সাতজন নারী ও একজন পুরুষ যিনি মেঘনীলের বাবা; এখান থেকে পড়ে আত্মাহুতি দেয়। ঝাপিয়ে পড়তে দেখার পর অসহায় এবং একাকী ছোট্ট মেঘনীল মাকে ডেকে ডেকে কেঁদে কেঁদে যেখানটায় এসে বসেছিল, তার পাশেই পাহাড়ির বাবার হাতে বাঁধা তবাক পীরের ঘুনশি খুলে পড়ে গিয়েছিল যা নিতে লোকটাকে আবার চূড়োয় উঠে আসতে হয়েছিল। এসে মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে কাঁধে তুলে নিচে নামিয়ে আনলো এবং পাহাড়ের নিচে বেড়ার ঘরের চারপাশে ফুলের বাগান বানিয়ে বাস করতে থাকা আনসারদের হাতে তুলে দিলো। আনসারদের কাছে পাহাড়ির বাবা মেয়েটির কাছ থেকে শোনা কথাগুলো যখন বলছিল তখন কারও ফেলে যাওয়া ঝিনুকের খোল দিয়ে মেঘনীল কচি বংশখ-গুলোর ওপর আঁচড় কাটছিল। মনের বাঁশিটার সা আর নি-র মাঝের জায়গাটাতে খুব সামান্য একটা আঁচড়ের দাগ কেউ খেয়াল করেনি কোনদিন । বহু বছর পর যৌবনে মেঘনীলের সঙ্গে মনের বিয়ে হলো। তাদের পরিচয় হয়েছিল রাজপথে কারণ কেউই ফুটপাথ পছন্দ করতো না। পাহাড়ি তার মৃত ভাইবোনদের ডেকে এনে বহুবার খেলেছে, কিন্তু চেষ্টা করেও আগের মতো বাঁশি বাজাতে আর কোনদিনই পারেনি। মন অতিপ্রাকৃতিক প্রতিভাললিত বাঁশি বাজিয়ে জীবনের শেষ দিনটিতেও মেঘনীলের চোখে জল এনে দিয়েছে, কিন্তু স্বপ্ন থেকে বাস্তবে আতীতিকদের নিয়ে আসার পথ আর কোনদিন তৈরি করে যেতে পারেনি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সিপাহী রেজা
গল্পকবিতায় এই প্রথম একটা গল্প আমাকে টান মারলো। শুরুর দিকে এই সাইটে গল্প পড়ে খুব হতাস ছিলাম, তারপর আর গল্পের সেকশনে আসা হয় নাই। হুট করে আইজ এই গল্প পড়তাম। দিল খুশ। এখন মনে হচ্ছে শুধু আপনার গল্প পড়ার জন্য হলেও আসতে হবে গল্পের সেকশনে। আপনি গল্পে অনেক নাম করবেন, আমি বুঝে ফেলেছি। শুভকামনা থাকল।
কবি তব মনোভূমি রামের জন্মস্থান অযোধ্যার চেয়ে শ্রেষ্ঠ জেনো। আপনার যখন মনে হয়েছে তখন সেটা সত্য- সেটার ব্যাপারে দ্বিতীয় কিছু বলার নাই। টান মারা চলতে থাকবে। আপনাকেও আসতেই হবে। শুভকামনা- আপনারও প্রতিও রইলো জনাব।
সকাল রয়
পাহাড়ীর কথা জানতে পেলাম। গল্পে প্রশ্ন গুলো উত্তর লেখক নিজেই দিয়ে দিয়েছেন। তবে কথার ফুলঝুড়িতে ছোট ছোট দৃশ্যকল্প গুলো শব্দময় হয়ে উঠেছে। মূল চরিত্রের কিশোরকাল বা বাশিকাল যা পড়তে পেলাম সেটা সত্যিই কল্পময়। কল্পনা আছে বলেই গল্প ততটা সুন্দরতা পেয়েছে। লেখক অপরিচিতা নারী চরিত্রটিকে আরো বিস্তারিত ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। বলা যায় লেখকের ইচ্ছার রুপ সে ক্ষেত্রে সাধারণ পাঠকের বলার কিছু নেই। ভালোবাসি ফুটপাত কারন সেখানে গল্প ঘুড়ে বেড়ায়। অনেক ধন্যবাদনম গল্পকারকে।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
মন অতিপ্রাকৃতিক প্রতিভাললিত বাঁশি বাজিয়ে জীবনের শেষ দিনটিতেও মেঘনীলের চোখে জল এনে দিয়েছে, কিন্তু স্বপ্ন থেকে বাস্তবে আতীতিকদের নিয়ে আসার পথ আর কোনদিন তৈরি করে যেতে পারেনি।
চমৎকার গল্প। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
আচ্ছা; বোঝাতে চাইলাম মূলত দুটো জিনিশ: এক- কৈশোরের বন্ধুত্বটা হয় এমন যে- ভেতরটা পুরোপুরি বিনিময় হয়ে যায়, অস্তিত্ব স্থানান্তরের মতো। যে কারণে পাহাড়ি আর বাঁশি বাজাতে পারে না- কিন্তু স্বপ্নে দেখা চরিত্রগুলোকে বাস্তবে নিয়ে আসতে পারে। আর মন কখনও স্বপ্নে দেখা কুশীলবদের আর নিয়ে আসতে পারে না আগের মতো- কিন্তু জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বাঁশি বাজিয়ে মেঘনীলের চোখে জল এনে দিতে পারে।
আর দুই- স্পিনোজার শেকল; জগতের প্রত্যেকটা ঘটনার সঙ্গে প্রত্যেকটার সংযুক্তি। সূক্ষতম (আসলে দূর্বলতম) উদাহরণ- মেঘনীল সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে যে বাঁশটাতে ঝিনুক দিয়ে আঁচড় কেটেছিল- সে আঁচড়টাই মন-এর বাঁশিটার সা আর নী- এর ফুটোর মাঝখানে খুব আবছা হয়ে থাকে, যেটা কেউ কোনদিন খেয়াল করে না। এই আরকি।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।