বন্ধু
৩১৯ জন
নৌকা ছেড়ে দিল। বৈঠা দিয়ে নৌকা চালাচ্ছিল মাঝি। তাই ওপারে যেতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগে গেল। আমি নৌকা থেকে নেমে নদীর পারে দাঁড়িয়ে নদীর ওপারে তাকালাম। কল্পনাও করতে পারিনি যে এত বড় একটা চমক ছিলো আমার জন্য।
জায়গীর থাকা বড়ই অবমাননাকর ব্যাপার। অবশ্য সবসময়ে নয়। আমি যে বাড়িতে থাকতাম তারই তিন-চার বাড়ি দক্ষিণের একটা বাড়িতে শামছুল হক নামে আমার এক সহপাঠী জায়গীর থাকতো।
পূজার বন্ধে বাড়ী চলে এলাম। তফিজ মিয়া ভাইও তাঁর ছেলেদেরকে নিয়ে বাড়ী এলেন, মোজাহারও এলো। সকলেরই বন্ধ হয়েছিল। তফিজ মিয়া ভাই তাঁর ছেলেদেরকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন, তাঁর স্ত্রী থাকতেন বাড়ীতে।
লোকটার বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তামান্না আমার কষ্টটা কমিয়ে দিয়েছিল। ওর স্পর্শ আমার মন থেকে কষ্টের কথা পুরোপুরি উধাও করে দিল।
যৌবনে বিগলিত চিত্ত পঙ্কিল-পুকুরে দেয় ঝাঁপইন্দ্রিয়ের কাছে বিবেকের অবাঞ্ছিত টানা পরাজয়।
মাহমুদার দর্শন ছিল ‘‘ডাক্তারের উচিৎ ডক্তারকেই বিয়ে করা।’’ ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে উঠতে মাহমুদা প্রথম স্থান অধিকার করে উঠেছিল।
আমার মা, বাবা, ছোট দুই ভাই শিবলী, বাদল ও আমি সিরাজগঞ্জ গিয়েছি আমার বড় ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। ভাবির বাবার বাড়ি কামারখন্দ থানার জামতৈল।
গাড়িতে মোড়ায় বসে দীর্ঘ পথের শেষে পরিজন মিলনে ভুলি দুর্ভোগ উদ্দীপনাকে সাথী করে বিচ্ছিন্ন ঘুমের রজনীতে কাংখিত ভোরের প্রতিক্ষা
ঈদের দিন সকালে কোনমতে মুখে খাবার গুঁজে আজিমপুরের বাসা থেকে ডিউটিতে রওনা হলো মঈন। সময়মত পৌঁছাতে হবে। একটি শায়ত্বশাষিত
অস্তিত্ব জুড়ে
২০ আগস্ট, ২০১৪
উত্তরবঙ্গের গ্রামের বাড়ি থেকে মিলা ও মাসুদ রওয়ানা হলো। বাস স্ট্যান্ডে দু’জনকে একত্রে দেখে যা আন্দাজ করার তা করে নিয়ে এলাকার এক বড় ভাই স্নেহের বশে মজা করে হাসির সহিত মিলাকে বললো, ‘‘একসঙ্গে যাওয়া হচ্ছে? লাঠি দিয়ে ঠ্যাং ভেঙ্গে দিব কিন্তু।’’ মি...
প্রভুভক্তির চিত্তাকর্ষক গল্প
১৮ মে, ২০১৪
ফরিদ তার পিতামাতার বহু আকাংখিত পুত্র সন্তান। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার আক্কীকার ব্যবস্থা করা হলো। এই রকমের একটা আনন্দানুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজন যেখানে যে আছে তাদের কাউকেই তো আর বাদ রাখা যায় না। ফরিদের বাবা জুড়ান উদ্দিনকে দূর-দূরান্তরে যেতে হয়। তাই তিনি ঘোড়ায় চলাফেরা করেন। তা...
গুলিবিদ্ধ বরকতকে দেখেছিলো ফরিদ
২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
(১) পান গাঁও থেকে আনুমানিক ১১ মাইল দূরের কুর্মিটোলা অর্ডন্যান্স ডিপো অফিসে যেতে হবে সাইকেল চালিয়ে। সূর্য ওঠার আগেই কেরানীগঞ্জের পান গাঁও-এর জায়গীরদারের বাড়িতে হারিকেনের আলোয় শীতের মধ্যে বসে দু-মুঠো ঠান্ডা ও শক্ত ‘কড়কড়া’ ভাত একটু বাসী তরকারী দ...
নিষ্পাপ
৮ ডিসেম্বর, ২০১৩
দোতলায় উঠার জন্য সিঁড়িতে পা রাখবো হঠাৎ চোখে পড়লো যে নীচে ভাঁজ করা পাঁচশত টাকার নোট রয়েছে। তুলে দেখলাম যে ছয়টা পাঁচশত টাকার নোট। এখন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা বাজে। পলাশী মোড় থেকে হলের টিভি রুমের ভিতর দিয়ে পশ্চিম দিকে এসে দোতলার দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারের দিকের রুমে ফিরছি। য...
নীলা, পাশের বাড়ির নীল সাগরের ঢেউফেলল ছুঁড়ে ভেংচিঠোঁটেআকাশভরা খাম –রঙটি ছিল নীল।
হায় সমাজ! হায় সম্রাজ্য !নিথর দেহে ভরে গেছে মানবতার মাঠ।বড় বড় বলে রোজ, রুদ্ধ করি কপাট। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি আবার,জেদ করে গড়িনিতো নিজেই, নিজের মাঝে ইবলিসের অবতার?
বদ্ধ ঘরে রুদ্ধ জীবন,আঁধারের ক্রীতদাস।খুঁজে পেলো আজি উত্তর মন,নিয়তিরই উপহাস।
আহা! কি স্নিগ্ধই না ছিলাম একদা,আয়নায় তাকিয়ে মুগ্ধ হওয়ার ক্ষণগুলো সেইহারিয়ে খুঁজি ফের!
হুম আমার বেজায় দম্ভ,কেন জানো?কারণ শিশু বয়সে চাইনি আমিকোন কাপুরুষের চটকানি।হুম আমার বেজায় দম্ভ,কেন জানো?চাইনি আমি প্রেমিক সেজে কোন পুরুষআমার গায়ে না ঢালে তার চুলকানি।
পরখ করতে চাও? করো তবে এ'বেলায় তোমায় জাগাবো না আর! চিরতার বীজ বুনে দিয়ে যেও সবুজ উর্বর জমিতে তিক্ত স্বাদে স্বাদে বুঝে নেবো আমি ভালবাসা আহ্ সে যে কি অমৃত!
মন্তব্য করুন