বন্ধু
৩৬৭ জন
অনুসরনকারী
২৩ জন
নাজনীনের সাথে আমার বিয়েটা রাজকন্যার সাথে রাজ্য পাওয়ার মতোই একটা ঘটনা ছিলো! আমার মতো একজন নগণ্য ছেলের পক্ষে এরকমটা কীভাবে সম্ভব হলো এই ভাবনা আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বিস্ময়ের মাত্রাকে চরমে পৌঁছে দিয়েছিল।
আমি রীতিমতো কাঁপা হাতে টেলিফোনে নাম্বার ডায়াল করলাম। ওপ্রান্ত থেকে কেউ রিসিভারটা তুলতেই আমি নিজের পরিচয় জানালাম।থানা থেকে যিনি টেলিফোনটি রিসিভ করলেন উনি বললেন-জ্বী, বলুন কী জানতে চান। -আন্ধারমানিকের খুনের ব্যাপার জানতে চাইছিলাম।
জায়গাটা একটা ত্রিমোহিনীর মতো। এঁকেবেঁকে যাওয়া নদীর সাথে দুদিকের বিল থেকে নেমে আসা দুটি বড় বড় খাল মিশেছে। এখানে বর্ষায় প্রচুর স্রোত হয়।
-মাষ্টার, শেষ পর্যন্ত ওটা তোমারও গজিয়েছে নাকি? ঠিক বুঝলাম না!- মোতালেব মাষ্টার চমকে উঠে তারা মেম্বারের মুখের দিকে গভীর
অন্ধকারে অনির সবসময়ই বড় ভয়। তাই যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে থাকে তখন অনি যেন ফুরিয়ে যেতে থাকে। এঘর থেকে ওঘরে যেতেও ওর সাথে
একটু বৃষ্টি হইলেই আমাদের মহল্লার রাস্তাগুলি যেন আস্ত এক একটা খাল হইয়া উঠে! রাস্তা নোংরা পানির নীচে হারাইয়া যায়। ইহাতে বিশেষ কিছু কিছু জায়গায়
বিজয়ীনি মা
২৯ মার্চ, ২০১২
জগৎ সংসারের মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন- গল্পকবিতার সৌখিন শব্দ শিকারী আহমাদ মুকুল ভাইয়ের গর্ভধারিণী মা। খবরটা জানার সাথে সাথেই মুকুল ভাইয়ের মোবাইল ফোনে রিং দেই। ফোন রিসিভ করে উনি শিশুর মত কাঁদছিলেন, আমি সান্তনা দেয়ার কথা ভুলে যাই। হয়ে যাই অনেকটাই বাকহীন, আবেগ আপ্লুত। কিছু বলতে পারিনি আ...
মতিমামা
৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
শৈশব, কৈশোরে নানা বাড়ি বেড়ানো দিনগুলির কথা মনে পড়লে হৃদয় আন্দোলিত হয়। স্মৃতি জাগানিয়া দীর্ঘশ্বাস অস্ফুট শব্দ তোলে- আহা, সোনালী দিনগুলি আমার! আমার নানা বাড়ি বেড়ানোর প্রধান আকর্ষণ ছিল- মতি মামা। মতি মামা আমার আপন মামা না। সে আমার মামার পড়শি ভাই। সেই হিসেবে আমি তাকে মামা বল...
জার্নি কি এক ধরনের টাইমমেশিন?যা কেবল অতীতে টেনে নিয়ে যায়?নাকি আচ্ছন্নতা,স্মৃতিমেদুর করে তোলা মায়া!নাহ্,এইসব আলতো শব্দ দীর্ঘভ্রমণে
রাতগুলো ক্লান্ত হয় হেলে পড়ে আঁধারের নিশ্ছিদ্র উঠোনেকেবলই মায়ার টানে
বৈশাখের খররোদ্রে, আকাশ ছোঁয়া মায়ের পাঁজর থেকে একটা চাঙ্গড় খসে, দ্বিখণ্ডিত হয়ে ছিটকে পড়লো তারই পায়ের নীচে;
তোমরা আবার এসেছো? আবার!দরজা খোলা আছে, ভেতরে যাও
এক ঢোক পানিরই সাথে....
ঢেঁকির তালে তালে ধান ভানার গীত আর হু হুম না হু হুম না বলে বেয়াড়ার হাঁক
আজ রাতে অনিকের কিছুতেই ঘুম আসছেনা। বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ফ্যান চালিয়ে কম্বল গায়ে ঘুমাতে ভালবাসে অনিক। কিন্তু আজ আর ফ্যান চালানো সম্ভব নয়।
আজ পহেলা বৈশাখ। সকাল হতেই চারদিকে উৎসবের ছড়াছড়ি। চারদিক থেকে ভেসে আসে "এসো হে বৈশাখ এসো এসো..." গান। সকালেই বৈশাখী ঝড়ের আলামত নিয়ে আসে ঘন কালো মেঘ।
অনিমা ফ্রেনোলজিতে থিসিস করবে বলে কিউবায় আসে। কিন্ত নতুন শহরে নতুন স্ট্রীটে সে কিছুতেই প্রফ্রেসর অণুর বাড়ী খুজে পাচ্ছিল না।রাস্তায় একজনকে জিজ্ঞাস করায় সে তাকে দেখিয়ে দিল, কেবল দেখিয়ে দিলই না বলল চলুন এগিয়ে দেই আপনাকে।বোঝা গেল ভদ্র লোক বাঙ্গালী এবং অণুকে ঘনিষ্ঠভাবেই চিনে।সে লোক অণু সম্পর্কে তাকে অনেক কিছুই বলল,
রোদের তেজ নেই তেমন । ওদের হাটতে ভালো ই লাগছিল। রাতুলের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগছে এখন । সন্ধ্যার আকাশ অনেক সুন্দর লাগে ওর। মাঝে মাঝে ও ভাবে পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ কি আছে ?
আমার বাবা মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রফেসর। ইলেক্ট্রনিক্সেও বাবার ভীষণ আগ্রহ। একসময় আমাদের ষ্টোর রুমটা ছিল বাবার ঘরোয়া ল্যাবরেটরী। বাবা যেহেতু কুরুকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কাজ করতেন, ক্ষুদে গবেষণাগারটির নাম দিয়েছিলেন কুরুক্ষেত্র। ছুটির দিনে বাবা কুরুক্ষেত্রে ডুব দিতেন।
রাঁধা নগর হাই স্কুলের অংকের শিক্ষক আজিজ মাষ্টার, পুরো নাম আব্দুল আজিজ( বি.এসসি)। এলাকার সবাই থাকে আজিজ স্যার নামেই চিনে। আজিজ মাষ্টারের বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে গত শীতে। বিয়ে শাঁদী করেননি, নিজে নিজেই রান্ন করে খান,আর বসে বসে গণিতের জটিল জটিল অংক কষেন।
আলব্রাটোর মনটা আজ খুব খারাপ। বাবা এখনো এ মাসের খরচের টাকাটা পাঠাইনি। এদিকে মেসের ভাড়া দেওয়ার সময়টা পেরিয়ে গেছে।পকেট হাতড়ে দেখলো দশ টাকার দুটি পুরাতন নোট যেন চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে ঝিমিয়ে পড়েছে। আলব্রাটো টাকাটা পকেটে রেখেই বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো।
ওকে আমি প্রথম যেদিন ঘরে এনেছিলাম তখন খুব কেঁদেছিলাম, কারন ওর মাঝে আমি আমার পূর্ণতা খুজেছিলাম। ওর নাম দিয়েছিলাম উমেদ । আমার স্বপ্নগুলোকে সত্যি করতে ওকে খুব প্রয়োজন ছিলো। তাই আমার শূণ্য ঘরে উমেদ আমার বন্ধু হয়ে এলে।
মন্তব্য করুন