পরীক্ষার হলে নকলের নতুন টেকনিক

সালেহ মাহমুদ
২৯ ফেব্রুয়ারী,২০১২

গতকাল আমার কলেজে প্রথম পর্ব সমাপনী পরীক্ষার গার্ড দিতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা (আবশ্যিক)পরীক্ষা। কোন ছাত্র যাতে ফেল না করে সেজন্য গার্ড একটু ঢিলেঢালাভাবে দেওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রিন্সিপালের পরামর্শ ছিল। কিন্তু হলের পরিবেশ বিঘ্নিত যাতে না হয় সে ব্যাপারেও কড়া নির্দেশ ছিল। তো হলো কি, সামনের চেয়ারে বসে বসে একটা ছেলেকে খুব মার্কিং করছিলাম। মনে হচ্ছিল পায়ের ফাঁকে কাগজের নকল থেকে টুকছে। এই সময় প্রিন্সিপালও উপস্থিত। আমি প্রিন্সিপাল স্যারকে বিষয়টা জানালাম এবং নকল ধরার অনুমতি চাইলাম। উনি সম্মতি দিলেন। আমি ছাত্রটিকে দাঁড়াতে বললেই সে দাঁড়ালো, কিন্তু তার কাছে কোন কাগজ পেলাম না, পেলাম একটি মোবাইল সেট। জিজ্ঞাসা করতেই বললো, স্যার ভুল হয়ে গেছে, একটা কল এসেছিল, ওটা দেখছিলাম। ভাবলাম সত্যিই হবে। মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে চেক করা শুরু করলাম। ওরে সব্বনাশ, তখনই দেখি মেসেজের ড্রাফট ফোল্ডারে Traffic Jam রচনা টাইপ করা। প্রিন্সিপাল স্যারকে দেখালাম। উনি সেটা দেখে ছেলেটির খাতা নিয়ে নিলেন এবং সংশ্লিষ্ট অংশ বাজেয়াপ্ত করলেন। ছেলেটি এই যাত্রা রক্ষা পেল।

এবার ভাবুন তো, মোবাইলের এমন ব্যবহার আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাবে??? পরীক্ষার হলে মোবাইল নিষিদ্ধের যৌক্তিকতা এখানেই।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যাবহার তো নিষিদ্ধ অনেক আগে থেকেই. আপনারা দিলেন কেন? মোবাইল আগে থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয়নি কেন?
সালেহ মাহমুদ মোবাইল তো অবশ্যই নিষিদ্ধ। কারো কাছে থাকার কথা নয়। তার কাছে পাওয়া গেলো বলেই তো বাজেয়াপ্ত করা হলো।
ভালো লাগেনি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
Lutful Bari Panna ভাই বোরখাধারী মেয়েদের আরো সুবিধা আছে। কানে হেডফোন লাগিয়ে লাইভ কমেন্ট্রি শুনে পরীক্ষা দিতে পারে। ধরা খুব সহজ নয় রে ভাই।
সালেহ মাহমুদ মন্দ বলেন নি। তবে ভালো এবং সচেতন ইনভিজিলেটরের কাছে ওটা ধরাও খুব কঠিন কাজ নয়। অন্ততঃ আমার অভিজ্ঞতা সেরকমই।
ভালো লাগেনি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আহমাদ মুকুল সমস্যাটি আসলে গভীরে। আমাদের শিক্ষকরা এখনও মুখস্ত বিদ্যার কবল থেকে ছাত্রদের বের করে আনতে পারেন নি। সৃজনশীল লেখার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে পারলে এটা ঘটতো না। নিজের চোখে দেখা প্রাত্যহিক ব্যাপারগুলো লিখতে গেলে কোন স্ক্রিপ্ট লাগে না, নিজের ভাবনা মোটামুটি গুছিয়ে লিখতে পারলেই চলে। মোবাইল ফোন ব্যবহারে দক্ষ একজন ছাত্রের জন্য এটা কঠিন কিছু না। শিক্ষকের ভূমিকারত সালেহ ভাইয়ের কাছে অনুরোধ, ছেলেটাকে আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে একটু প্রণোদনা দেবেন। বলা যায় না, আপাত কঠিন কাজটি একটু ব্যক্তিগত ভূমিকায় সফল হয়ে যেতে পারে।
সালেহ মাহমুদ ধন্যবাদ মুকুল ভাই। আমি আসলে শিক্ষকতায় একেবারে নতুন, এখনো বর্ষপূর্তি হয়নি। তারপরও আমি আমার বিষয়ের ছাত্রদেরকে এ পর্যন্ত সেরকমই প্রণোদনা দিয়ে আসছি। আমার বিষয়ে অন্ততঃ কারো মুখস্ত বিদ্যার প্রয়োজন হবে বলে আমি মনে করি না। তারপরও একেবারে দুর্বল ছাত্রদের কথা ভিন্ন। আর সেই ছেলেটিকে পরীক্ষার পর শিক্ষক কমন রুমে নিয়ে বিষয়টি আরো ভালোভাবে বুঝিয়েছি অবশ্য। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভালো লাগেনি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
Lutful Bari Panna আমাদের শিক্ষাদানের পদ্ধতির ব্যাপারে অবশ্য বরাবরই আমার আপত্তি ছিল। মুকুল ভাইর সাথে একমত।
ভালো লাগেনি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আহমাদ মুকুল আপনি প্রথাসিদ্ধ শিক্ষক হবেন না, সে বিশ্বাস আছে। আপনি উপযুক্ত কাজটি করেছেন বলে বিশ্বাসের ভিত্তি মজবুত হল। আপনার শিক্ষক পেশার জয় হোক।
ভালো লাগেনি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
F.I. JEWEL N/A # ছেলেটার খুব বুদ্ধি আছে----শুধু ধরা পরাটাই খারাপ হয়ে গেছে । Traffic Jam ---রচনা নকল করলেই বা কি ---আর মুখস্ত লিখলেই বা কি ? এটাতো আর জীবনের কাজে তেমন লাগার কথা নয় । আসলে আমাদের দেশের ক্শিক্ষা-সিলেবাসটাই নকলে ভরপুর । এ শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে শুধু শিক্ষিত মুর্খের সংখ্যাই দিন দিন বাড়ছে ।।== আপনাকে ধন্যবাদ ।।
সালেহ মাহমুদ খারাপ বলেন নি। আসলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে আবার নতুন করে সাজাতে হবে।
ভালো লাগেনি ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
জাকিয়া জেসমিন যূথী মন্দ বলেননি, জুয়েল ভাই।

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

মে ২০২৫ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i