নস্টালজিক অতীত
সোশাসি
নববর্ষ সংখ্যা, ডিসেম্বর ২০১৪
জুবলি মাঠ থেকে লতিফ মিউনিসিপ্যাল
চরপাড়ার স্রোতানদী,
অদূর আকাশ ঘেষা বালুমাঠের দূর্বাদল
প্রতিটি গলির মোড়ে মিশে আছে অস্তিত্ব আমার ।
আর আছে বন্ধু তোমাদের স্বৃতি ।
প্রভাতি থেকে পরন্ত বিকেল গোধূলি
নিশির অন্ধকার আলোর মাঝে কাটানো রাত
রাস্তার পাশে,
স্কুল পালানোর দিনগুলোতে তোমাদের অস্তিত্ব মিশে আছে
কত আনন্দ-অশ্রু মাখা বাঁধন-ছেড়া দিনগুলি ।
এই অভয়আশ্রম স্কুল পালানির প্রিয় রেইন ট্রি তলা _
ক্ষুদার্থ পেটে কাটিয়ে দেওয়া রক্তিম বিকেল পাঁচ টা,
দু'টাকায় চারটে শিঙ্গারা খাওয়া
স্কুল ছুটির সময় এক সাথে ঘরে ফেরা ।
আর স্কুল পালানোর দায়ে মায়ের হাতে গণ-ধোলাই খাওয়া ।
কিংবা বদ্ধ ঘরে জড়ানো পায়ে শিকল বেড়ি
আমাদের স্বৃতি মনে পড়ে কি ?
সে বল আমি হচ্ছে করে রানি কে মারিনি
খেলায় মত্ত ছিলাম তাই ওকে দেখতে পাইনি ,
দেয়াল ডেঙ্গানো কিংবা গাছে উঠতে পারিনা
ও সেটিও বিশ্বাস করোনি ।
তাই কুকুরের তারায় একাই ডুবে মরেছি
পোকা নর্দমায় তোমরা তো খাওনি ?
আজ অনেক দিন পরে মনে পরে
লেকের মাছ চুরির দিনগুলি
কাঁচা-মিঠা আম গুলি
তোমাকে না দেওয়া, নেওয়া ্#২৪৪৩;্#২৪৬৭; গুলি ।
তিতাস সিনেমা আর মুকুল সিনেমায়
স্কুল পালিয়ে দেখা প্রিয় প্রিয় শো'গুলি ,
তবে অনুতপ্ত এখন বিচ্যুতি ,
অন্যায়ের মত করা নির্দয় ভুল গুলি ।
করুণ জীবনের চির নিদারুণ নিয়মে
আমিও হারিয়ে গিয়েছি তোমরাও সুদুরে ।
সহবস্থানে হয়তবা পাশাপাশি আমরা ক'জন
কিনতু ভীষণ অপরিচিত কর্মের বিকৃত তারণে ।
সে বৃক্ষ, সেই বেঞ্চ পাতানো পুকুরঘাট টি
আজ বুঝি নেই স্বুল পালানির মর্ম বোঝা রেইনট্রি,
সব মুছে গেছে রয়ে গেছে শুধু তোমাদের স্বৃতি ।
বন্ধু !