বন্ধু
১ জন
এক তান্ত্রিক আমাকে বলেছিল অমাবস্যার রাতে কেউ মারা গেলে তার কবরে যদি এই মন্ত্র পড়া হয়, সে ক্ষণিকের জন্য আবার বেঁচে উঠবে। প্রতি অমাবস্যাতেই তার এ পুনর্জাগরণ চলতে থাকবে। অনন্তকাল পর্যন্ত চলবে তার এই চক্র। প্রতি অমাবস্যাতেই সে কবর ছেড়ে উঠে বসে থাকবে শিকারের আশায়!
অন্ধ আমার দুচোখ জুড়ে আবার আলো ফুটল কি? অবশ দেহের চারদিকে ফের আলোর পরশ জুটল কি? মৃত্যু যে ওই নাড়ছে কড়া দুয়ার ধরে, শুনতে পাই—চতুর্দিকে হাতড়ে মরি, চৌদিকে নেই কেউ কোথায়!
চিৎকারে রোজ আকাশ ফাটাই, কণ্ঠটা ছিঁড়ে ফেলি। মানবতা তুই চিরদিনই তবু অধরাই থেকে গেলি! এলি বুঝি তুই হায়েনার বেশেকেড়ে নিলি প্রাণ বেড়ে হাসি হেসেদু-কলম শুধু লিখে দিলি শেষে,পেপারে-টিভিতে মেকি-কান্নার হলো কিছু ঠেলাঠেলি।
আমি বললাম—কীরে? কী হলো? অমন ষাঁড়ের মতো চেঁচাচ্ছিস কেন? মারুফ হতভম্বের মতো আমার দিকে চেয়ে বলল—ও তুই! ভেড়া নোস? আতি তাজ্জব হয়ে বললাম—আমি ভেড়া হতে যাব কোন দুঃখে? মারুফ বলল—কেন, দুঃখ না পেলে কী ভেড়া হওয়া নিষেধ?
অ্যাপ্রোন পরা একজন আমাদেরকে ইশারা করে ঘরে ঢুকতে বললো। রুনু আমার চেয়ে অনেক শক্ত। রুনু আগে আগে চলল, আমি পেছন পেছন। দরজার কাছে এসে আমার পা ভারী হয়ে এলো। বললাম, ‘রুনু আমি পারব না, তুই দ্যাখ্’।
আমি অবাক হয়ে নিজের দিকে চাইলাম।আরে তাইতো, আমি তো আজ নীল শাড়ীই পরেছি। এদিকওদিক চাইলাম। কেউ কি আমাকে দেখছে? স্কুলের কাজে মন বসাতে পারছিলাম না। কাউকে বলতেও পারছি না।কে কি ভাববে আর কি মন্তব্য করবে।স্কুল ছুটি। বাসা চলে এসেছি।কিন্তু চিঠির রহস্য ভেদ হলো না।
দ্বিতীয় দিন আবারো আমি ওই ডাকটা শুনলাম। সেদিন নিজের বইখাতা গুছাতে গুছাতে দেখি সবাই বেরিয়ে গেছে ডেমো রুম থেকে। আমিও ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে বের হচ্ছি, স্পষ্ট শুনলাম কেউ একজন আবারো আমাকে 'রিমঝিম' বলে ডাকল। পেছন ফিরে তাকাতেই এক অদ্ভুত দৃশ্য চোখে পড়ল, যেন পশ্চিম কোণায় রাখা ক্যাডাভারটা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে। আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। মনে মনে দোয়া ইউনুস পড়তে পড়তে চোখ প্রায় বন্ধ করেই বের হয়ে আসলাম ডেমো রুম থেকে।সেই রাতে আমি ভয়ানক এক স্বপ্ন দেখলাম।
শিউলির বুকে শরৎ যদিও চমকায়,ছাচিপানের ঘ্রাণেতে জোড়া পায়রা লাল;ডর লাগেগো! মাঠের কুয়াশা ধমকায়,দিনান্তে দিগন্ত হতে ফিরেনি রাখাল।
মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে আছে রুচিরার। সেইসাথে কেমন যেন একটা তীব্র ভয়ও কাজ করছে। অফিসে কোন কাজে সে মন দিতে পারছেনা। এমন কিছু একটা হতে যাচ্ছে যা সে একেবারেই চাচ্ছে না কিন্তু হাসিমুখে সায় দিতে হচ্ছে। মুশকিল হচ্ছে, মনের ভেতরকার ‘না’ কে প্রশ্রয় দিতে সে খুব ভয় পাচ্ছে।
রক্তের আবরণে মাটি শুকিয়ে এখনও চৌচির। গুন পোকা এখনও ডাকে এরুপ কলঙ্কে।ভয় এখনও পিছু পিছু হাঁটে।
সাঁঝের আঁধারে শর্বরী জামা উঠিয়ে তার স্তন পুরে দিল আমার মুখে যৌবনের প্রারম্ভিক খ্যাপাটে সিংহ যেন ওৎ পেতে ছিল এরকম নিঃশব্দ আচরনে ।