বন্ধু
৮৭ জন
অনুসরনকারী
২ জন
আমি না পাওয়ার কষ্টের রঙে ,আদ্রিতাকে আঁকতে চাইনা ।আক্ষেপের গল্পে আমি মেলাতে চাইনা আদ্রিতা কিংবাআদ্রিতার অহেতুক স্মৃতি রোমন্থন।
তুমি শিশিরের মতো আলতো ছোঁয়ায় লেপ্টে থাকো আঙুলের ডগায়।নরম ঘাসে ঘাস ফড়িং হয়ে ,জড়িয়ে থাকো ঘাসফুলে ।রাত কাটে তোমার উষ্ণ বুকের ওমে,ঘন নিশ্বাসের শব্দ বুনে।
অস্থির শহরের ব্যস্ততায় কদাকার জ্যাম,নষ্ট সময়ের খেরোখাতায় আঁচড় কাটে বিরক্তির নখরে।সারি বেঁধে বাড়ে যন্ত্রের জট,ঘর্মাক্ত শরীরে লেপ্টে থাকে ক্ষোভের প্রলেপ।
অনুভুতির প্যাকেট সিলগালা করে দিয়েছি,চাইলেই তুমি আর আমাকে যখন তখন, ,কষ্টের বৃষ্টিতে ভেজাতে পারবেনা।
আরিয়ান আদ্রিতার রুমে প্রবেশ করেই কি যেন একটা দিয়ে আবার বিদ্যুৎ বেগে বেরিয়ে গেলো। আদ্রিতা পড়ার টেবিলে চুপ করে মাথা নিচু করে বসে ছিল। পড়ার টেবিলে বসে পড়ারই কথা ।কিন্তু সে জানতো আরিয়ান এসেছে তার বুকে কাঁপন ধরাতে, তাই বই খুলে রাখার কোন অর্থই ছিলনা তার কাছে।
বিদঘুটে অন্ধকারে রোশনাই জ্বলে চাঁদের ,যেন এক চিলতে আলোয়, কাজলা চোখেঅবাক করা সম্মোহনী চাওয়া।
অক্ষর বিহীন কবিতার খাতায়খেলা করে শব্দের জোনাক।যেন রাতের নিরবতায় পুড়ে পুড়ে খাক হয় সোনালী সকাল।
যে সিঁড়িটা নেমে নেমে অতল-স্পর্শী অস্বস্তিরমাধ্যাহের বুনো রোদ মিশে যায় মেরুন ঘ্রাণে,অসাবধানী আচলে আটকে যায় কাপুরুষ চোখ;খসখসে চড়চড়ে বিভৎস যৌবনে নস্যে বশ্যে বারম্বার নমস্কার নমস্তে।
ফুড়ুৎ করে ফেরারী হয়েছে কৈশোর সেই কবে পাটসোলায় সজনের আঠা লাগিয়ে ফড়িঙের পিছে দৌড়ানোর হাফ-প্যান্ট
আমার আকাশ জুড়ে কামুক মেঘদল ভেসে ভেসে আসে স্নিগ্ধ চুলের গন্ধে ভিড় করে ওরা অন্তিম নিশিতে! কবি'র কবিতায় ঢেলে দেই যত সুধা;
সাইবেরিয় পাখীর উড়ানেতিতিক্ষার মাইল মাইল শূন্যতায়
মৃত্তিকার বুক চিড়ে শুঁকে দেখিরক্ত -রক্ত ঘ্রাণ।' তাজা ' রক্তের গন্ধে ওঠে __রক্তে মহাঝড়, মহাপ্রাণ ।
চাউনি কোমলঅধর কোমলস্নিগ্ধ কোমল তনুকণ্ঠ কোমলমধু ঝরায়মিষ্টি যেন বেণু।
এক শব্দের এতো মানে দেখিনিতো কভুযে শব্দে ভঙ্গুরতা,সে শব্দেই মধু।কোমলতার কোমলত্বে সব কিছুই গড়া,যেদিকে যাই যেদিক তাকাই কোমলত্বে ভরা।
বঙ্গ মায়ের অঙ্গ কোমলকোমলতায় করছে কেলিজুঁই যুথিকার পুষ্প দল,আদর কোমল, চাদর কোমলওঁসা কোমল, ঘাঁসও কোমলকোমল নদীর ঘোলা জল ।
সেই কতদিন আগের কথা-বেতফল বনে লুকোচুরি খেলাকাঁটায় কাঁটায় রক্তাক্ত হাত;কোমল ঠোঁটে রক্ত চুষে বলেছিলে-‘বেতফল বনে আর নয় বুড়ি।’
কালের পরিক্রমায় ভেসে গেলে কতরাত্রিকত সকাল, কত বিকেল, কত সাঁজরাত্রিশুধু তোমার অপেক্ষায়।.সমুদ্রজলে স্নান করে দেহ জুড়ায়শুধু জুড়ায় না অপেক্ষার জ্বালাশুধু তোমার অপেক্ষায়।
গুহা থেকে বেরিয়ে এসেছি সেই কবেনাড়ী কেটেও ভোলানো যায়নি টানস্বর্গ থেকে পাতাল নিত্য লুটিয়ে পড়ে আকাঙ্খার পদতলে।
মন্তব্য করুন