সাবানের বাঁকা চাঁদ ওই দেখা যায়।
আজ পড় তারাবিহ, কাল রাখ রোযা।
ইফতার-সেহরিতে,
ভরপুর রহমতে,
এটা মহা মালিকের
সেরা এক দান।

ই মেইলের কাছে বেড়েই চলেছে ঋণ।
যে কোনও আপাত দুর্লঙ্ঘ
নদী করে দেবে পারাপার।

প্রপিতামহের কাছে নতজানু হতেই
ধমকে দিলেন;
বললেন-ঋজু হও,
মস্তক করো উন্নত,
মনে রেখো দাসত্বের বীজ
এভাবেই রোপিত হয়,

বানাতে তোর জীবন সাঁকো
ঠাই দাঁড়িয়ে রোদে,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছি
সুখ জাগানো বোধে।

স্বপ্ন রেখেছি শ্রান্তির কোলে জমা;
সারাটা দুপুর উপেক্ষা রোদে পুড়ে-
বিকেলে জ্বেলেছি আবীর ছড়ানো ক্ষমা।

দিন দিন ভারি হচ্ছে জাতির ঘাড়ে ঋনের দায়
আমজনতা হিসাবে আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে
হাত-পা বাঁধা অসহায়।

অশোক,
তোর মনে আছে?
আমরা তখন ক্লাস টেন।
লোডশেডিং হলেই ছুটে বেড়িয়ে পরতাম ঘর থেকে।
পড়াশোনা শিকেই তুলে,
মায়ের বকুনি অগ্রাহ্য করে বেড়িয়ে পরতাম,

ঋণ সব শেষ। স্বাধীনতার দরকার ছিলনা কোনো।
সব ঋণ শেষ। শহীদেদের যতসব বাড়াবাড়ি।
ক্ষমতার কুঠারে বিচ্ছিন্ন মানবতার দেবতা।
কাঁটাতারের সাইনবোর্ড হয়ে ঝুলে থাকে ফেলানী আর ফেলানীর ভাই।

সন্ধাবেলা সুর্য আড়ালে
ঘরে হয়ে একা বন্দি,
হাওয়াই হাওয়াই কথা ভাসিয়ে
করেছিলে সাথে মোর সন্ধি।

বিন্দু।
ক্রমশ জুড়তে জুড়তে
একদিন,একমাস কিংবা বছর ভর পর
সরলরেখা হবে যেদিন,
কিস্তিনামায় থাকবে হিসাব লেখা,
তারপর ফের পরের জোড়ার পালা।