ঋণের বোঝা

ঋণ (জুলাই ২০১৭)

নাজমুল হুসাইন
  • ১২
আরে ভাই গনী মিয়া,এত্ত বড় বোঝা নিয়া,
কোথায় চললে মশায়?
শোনো ভাই কাঠুরিয়া,কাইটোনা আর করাত দিয়া,
পরাণ বুঝি যায়!
পথ চলেছি জন্ম নিয়েই,ঋণের বোঝা মাথায়।
এত্ত বড় মহাধনী!তোমার ধনের অভাব নাই,
কেমন করে, তোমার শীরে, ঋণ নিয়েছে ঠায়?
জন্ম নিয়ে মায়ের বুকের দুধ খেয়েছি বেশ,
কেমন করে ঋণের বোঝা করব আমি শেষ?
চার পায়েতে হাঁটতে শেখা পিতার হাতটি ধরে,
আজকে পিতা হাঁটতে পারে,লাঠি ছেলের ভরে।
নেমক হারাম,করলো আরাম,মাতা-পিতার কাঁধে,
এমন বোঝা বইছি যে ভাই, আপন কামায় সাধে।
তোমার তো ভাই ঢের রয়েছে,শোধ করে দাও দায়?
আপন কামায় যা করেছি,হালাল কিছু নাই।
হারাম দিয়েই পরাণ মাখা,
এ ব্যরাম আরাম হবে কি ভাই?
তোমার যারা ছেলে সন্তান তাদের কিছু দাও,
এত্ত বড় ঋণের বোঝা একাই কেন বও?
সে সব কি আর সাধ করে হয়!
মোহর ফাকির বিয়ে-
বাকির খাতায় নাম লিখেছি,
শোধ হবে সব লাশের পরে গিয়ে।
এমন বউয়ের গর্ভে যারা,জগতে দেয় পাড়া,
কেমন করে পিতার ডাকে, দিতে পারে সাড়া?
আচ্ছা গনি মিয়া,কি লাভ তোমার হলো অবশেষ?
কি আর করা কাঠুরিয়া,ঋণের বোঝা ছিড়ছে মাথার কেশ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম চমৎকার কবিতার থিম! একজন মানুষের কিছুটা আক্ষেপ বা অপরাগতা উঠে এসেছে কবিতায়। যা তার কাছে ঋণ এবং সত্য মনে হয়েছে। বেশ লিখেছেন-আরও ভালো ভালো কবিতা পড়ার প্রত্যাশায় শুভকামনা রইল।
কাজী জাহাঙ্গীর নাজমুল ভাই, আপনার বিষয়টা বেশ চমৎকার কিন্তু বর্ননার ধারবাহিকতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকে গেল। লেখাটা আসলে একটা কথোপকথন, তাই না? কার সাথে কার, একজন কাঠুরিয়া আর একটা গাছ তাই মনে হল , তবে কথোপকথনটা কোথাও কোথাও ভারসাম্যহীন হয়ে গেল, আপনি কিন্তু সংগতি’র চেয়ে অসংগতি নিয়ে লিখেছেন বেশী ‘আজকে পিতা হাঁটতে পারে,লাঠি ছেলের ভরে’ এই লাইনটাতে কিন্তু অসংগতি নাই, এখানে বোঝা যাচ্ছে ছেলে পিতার অনুগত আছে। তার পর আপনি মোহরানা ফাঁকির বিষয়টাও তুলেছেন কিন্তু বক্তব্য অস্পষ্টতার কারনে পাঠক বুঝতে পারলনা পরিস্কার করে। সুতরাং অনুরোধ রাখব বক্তব্যের ধারাবাহিকতাকে নজরে রাখবেন আর অন্তমিল এর পিছনে ছোটার দরকার নাই, আপনি দেখুন প্রথম চার লাইনে আপনি যে ছন্দে কাজ করতে চেয়েছেন শেষে সেটা বজায় থাকেনি সুতরাং ছন্দের পিছনে না ছোটাই ভাল। আশা করি পাঠকের বিশ্লেষনটা খারাপভাবে নিবেন না। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা , চর্চা চালিয়ে যান ।
আপনি একজন বিঞ সাহিত্যিক,আপনার বিশ্লেষন যতার্থ,তবেকবিতার মৌলিক নিয়মাবলীতে আমার কিছু দূর্বলতা আছে,সাহায্য করবেন আশা করি।ধন্যবাদ।
আঁখি বিশ্বাস বাকির খাতায় নাম লিখেছি, শোধ হবে সব লাশের পরে গিয়ে। এমন বউয়ের গর্ভে যারা,জগতে দেয় পাড়া, কেমন করে পিতার ডাকে, দিতে পারে সাড়া?............প্রথম দিকটা ভালই লাগলো.........কিন্তু মরার পরেও কি ঋন বাস্তবে শোধ হবে? "বউয়ের গর্ভে যারা,জগতে দেয় পাড়া," এই লাইন টা কেমন জানি খটকা লাগলো......বউয়ের গর্ভ, আবার জগতে পাড়া????? শেষে আবার পিতার ডাক????? ................বিষয় গুলো পরিস্কার করলে খুশি হতাম........জাজ্ঞে ভোট রইলো
জি বাংলাদেশের অধিকাংশো নারীই স্বামীর মৃত্যুর পর মোহরণার টাকা মাফ করে থাকেন।এমন বউয়ের গর্ভে যারা, এখানে একটা হাই পেন দিয়ে ছেড়ে দিলে আপনারা সহজেই বুঝতে পারতেন আমি ছেলেকে বুঝাচ্ছি।এখানে কমা ব্যবহার ঠিক হয় নি।শেষের লাইনটা মাঝখানের লাইনের সাথে ছেলে কথাটা ধরলে মিলে যাবে।যাইহোক সামগ্রিক ভাবে কবিতাটি পড়লে ,ভুল ত্রুটি গুলো বাদ দিয়ে,বাকিটায় আপনি কিছু সত্য খুজে পাবেন।আপনার কাছে আরো বেশি বেশি বিশ্লেষনাত্নক সমালোচনা আশা করি।আপনাকে ধন্যবাদ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী আপনার অসাধারণ ভাবনায় মুগ্ধ হলাম দাদা। বেশ অনবদ্য চমৎকার লেখা। অনেক শুভকামনা ও ভোট রইলো।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি আপন কামায় যা করেছি,হালাল কিছু নাই। হারাম দিয়েই পরাণ মাখা, এ ব্যরাম আরাম হবে কি ভাই? ....// খুব ভাল ভাবেই ঋণের কষ্ট উঠে এসেছে ...অন্ত মিলেও দক্ষতার পরিচয় মেলে ...শুভ কামনা রইলো .........
রুহুল আমীন রাজু অনেক ভাল লাগলো ... শুভেচ্ছা । আমার পাতায় আমন্ত্রণ ।
দয়াল মন্ডল ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
Md Hanif এক কথায় অসাধারণ
মোহাম্মদ হোসেন কবিতার আবেগটা বেশ লেগেছে ভাইয়া । ভোটও দিলাম তাই ।

২৯ সেপ্টেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৩৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪