অবশেষে,
কান্নার ছাপ সরে গেছে।
আর্তনাদ আর নয়।
অক্লান্ত অব্যক্ত কথ্‌
বোঝাতে অক্ষম।

চারিদিকে শঙ্খধ্বনী আর উলুদিয়ে
কোনো মালিক তার ভোগ্য বস্তুতে লাল নিশান টেনে দিল ,
জানান দিল এবস্তু কেবল তারই ।
প্রবেশদ্ধারে একজোড়া সোনার বেড়ি হাতে পরিয়ে দিল
রাজমাতা ,

আমি যতই দূরে থাকি
দূরের কোন ভিনদেশ
আমার ভিতরে আমার দেশ
আমার বাংলাদেশ।

যার সূর্য সন্তান
শহিদ হয়েছেন
৫২ ই ভাষার দাবিতে ।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই -
ভালোবাসি সেই প্রত্যয়
যার বুকে অঙ্কুরিত ছিল

আমি স্বাধীনতা খুঁজছি কথা বলার
আমি স্বাধীনতা খুঁজছি পথ চলার
আমি স্বাধীনতা খুঁজছি স্বপ্ন দেখার
আমি স্বাধীনতা খুঁজছি ভালোবাসার।

এখানে আমার বাবার কবর
এখানে আমার কাকা রুদ্র সেন
এখানে অনেকের ঘনিষ্ঠজন অনেক
এটা সমস্ত বাঙালির শোকের তীর্থ

ছেলে গুলো মারা গেল খাকি পাকি গুলিতে।
কেই বলে লেগেছে তা হাঁটুতে বা খুলিতে।
কেউ বলে লেগেছে তা একেবারে বক্ষে।
কেউ বলে লেগেছে তা সরাসরি চক্ষে।

লাল সবুজের শাড়ীতে
আজ বড্ড মানিয়েছে তোমাকে। কপালের ঐ
লাল টিপটা যেন আমার দেশের হৃদপিন্ড।
ভাবলাম একটু ছুঁয়ে দিই,

স্বাধীনতা এ যেন সকাল বেলার
মিষ্টি সোনা রোদের ছোঁয়া,
স্বাধীনতা এ যেন দুপুর বেলার
অলস সময় মাখা সুখের মায়া।

এখন বেশ আছি আঁতুড় ঘর, ক্ষুধা আর শীত
শূন্য হাত সকরুণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে
বাজখাই গলা বেসুরো হাঁকে
এ জীবনের নিবেদন; এখন মানুষগুলো
যেনো কেমন কেমন, কেউ তাকিয়েও দেখে না!