নাঙ্গা পায়ে একদল কিশোর নদীর ধারে
ছিঁড়ে নেয় কাশফুল
মাঝি ভাটিয়ালী গায় ফুরফুরে স্নিগ্ধ বাতাসে
নৌকার অবিনত মাস্তুল
মুক্ত হাওয়ায় ফুলে ওঠে পাল

চিল আকাশে উড়ে যায় , মেঘের ছায়ায়
ইচ্ছে মতো বাড়ায় তার নিজের গতিবেগ
মানুষ ভাবে হায় ,চিলের আছে স্বাধীনতা,
তাই সে ওভাবে উড়তে পারে সাথে থাকে মেঘ ।

মায়ের আর্তনাদ, শব্দহীন চিৎকার থামাতে চায় ওরা
কালো রাতের সার্চ লাইটে, সীসা-পিতলের বুলেটে
অধিকারের অস্তিত্বে আঘাত, ঝাঁঝরা বুক স্বাধীনতার স্বপ্ন আঁকা
নিষ্পাপ লালের চাঁদর গায়ে হাসি মুখে ঢাবির ছাত্ররা,

অনেক লেখা জমে আছে
আছে কতো কথা
আমার অনেক কবিতা,সবই অসমাপ্ত
শেষ হয়েও আর হয়না!

আমি স্বাধীনতা খুঁজছি কথা বলার
আমি স্বাধীনতা খুঁজছি পথ চলার
আমি স্বাধীনতা খুঁজছি স্বপ্ন দেখার
আমি স্বাধীনতা খুঁজছি ভালোবাসার।

স্বাধীনতা ! আমার হৃদ স্পন্দনের জীবন্ত স্বাক্ষর !
যার সাথে মিশে আছে আমার সোনালী স্বপ্ন,
যার গভীরে আমার জাতীয় অস্তিত্বের শেকড় !

আজকাল তুমি বড় বেশী রাত জাগো !

---কেমন করে বুঝলে?

অনুভব করি যে,
আমি এত দূর থেকেও ঠিক দেখতে পাই
তোমার না ঘুমানো লাল ফুলে উঠা দুচোখ ।।

তুমি যাবে?
সত্যি তুমি যাবে?
বিশ্বাস হচ্ছে না
তবুও আমি চাই, তুমি যাও।
আমি কাঁদব না,
দুঃখে উন্মাদ হয়ে যাব না,

স্বাধীনতা তুমি লাখো শহীদের রক্তলাল পলাশ
বড়াল ইছামমিতির স্রোতেভাসা শতশত লাশ।
স্বাধীনতা তুমি শহীদবেদীতে পুষ্পিত অহংকার
চোখজুড়ানো শষ্য শ্যামল লাল সবুজ পতাকার।

সুখের আকাশে তিলে তিলে জমে গেছে
দুঃখ নামক বিলাসিতার ঘন মেঘ।
সেই সাথে উষ্ণ শিশির বিন্দুগুলো একজোটে
কপালে দেয় প্রবাহিত স্বেদ-তিলক!