রাশভারী লোক দূরের মানুষ
বলো যদি তাকে তোমরা,
আমি বলব, বাবা যেন আমার
বেঁচে থাকার প্রাণ ভোমরা।

দুঃখ কষ্টের সব ঠিকানা তাঁর জানা
সুখ ও ভালোবাসার প্রাসাদ তাও বিদিত
সুখ-দুখের দ্বি-চক্রযানের তিনি দূর-পাল্লার ঘর্মাক্ত চালক।

তাঁর হাত মুখ পুরো অবয়ব
ঝাঁপসা হতে হতে-
ক্রমশ বাবা হারিয়ে যাচ্ছে
কালীন নদীর স্রোতে।

রাস্তায় অবরোধ, মারামারি
মিছিল, মিটিং, কাড়াকাড়ি

খেলনা গাড়ী নতুন জামা ইচ্ছে আমার যতো,
এক কথাতেই পূরণ করে বাহানা কতো-শতো।
মায়ের চুড়ি-শাড়ি-জুতো, বোনের খেলনা পুতুল,

বাবারা হয় পানির মতন,
আপন সুরত ভুলে।
যেমন লাগে তেমন সাজে,
হাত দুখানি তুলে।।

দুটি অক্ষরে একটি মমতার ডাক বাবা,
জীবন সংগ্রামে মোর সদা ছড়ায় প্রভা;
বাবা তুমি আজ নেই, আছে কত সুখ স্মৃতি,

বাবা কোথায়
মনে পরে সেই কথাটি
ছিলাম যখন ছোট্ট অতি ।

মনে পরে কি?
তুমি নীল শাড়ি পরে,
আমার সামন দিয়ে হেটে যাচ্ছো।
একটু পর-পর, ঐ কাজল মাখা চোখে
আমার দিকে তাকাচ্ছো।