কখন জানি কোন সকালে এসেছিলে,
বলাবলি করছে লোকে, বসেছিলে
নদীর ঘাটে পা চুবিয়ে, ক্লান্তি ধুয়ে
বটের ছায়ায় এলিয়ে দেহ সটান শুয়ে।

তোমারই ডাকে রেসকোর্সে আজ শিশুর কলরবে হাসে
দেখো আজ বঙ্গবন্ধু শরত গগনে
তোমারই নামে খোদাই করা স্বাধীন বাংলার মানচিত্র ভাসে
দেখো আমার স্বাধীন- উড়ছে স্বাধীনতা।

মেঘের দেশের গৌরমেয়ে, নামলে কেন ধরাধামে ?
জল ছল ছল কাজল আঁখির সর্বনাশী,
নামলেই যখন, তখন কেন
অমন তাড়া তোমার ঘরকে যাবার?

দূরে ওই আকাশেতে,
চেয়ে দেখো চোখ মেলে।
মুক্ত বিহঙ্গটি,
খুশি মনে উড়ে চলে।

মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্য
ভাষাসৈনিকদের আত্নত্যাগের ব্যাকুলতা।
আমার কাছে স্বাধীনতা হলো
জাতীয় পতাকা,

ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই দেশ
স্বাধীন মোদের জম্মভূমি,নাম তার বাংলাদেশ।
অনেক কষ্টে অর্জিত হয়েছে বাংলার স্বাধীনতা
সারা জীবন দিতে হবে এদেশের মর্যাদা।

রক্তে মাখা দিনগুলির কথা
আজও মনে পড়ে।
এত বছর পরেও আমি,
ভুলতে পারিনি তাকে।
কত যে রক্ত ঝরিয়া পরিল ,

সব মানুষের মন সুবর্ণ উচাটন হয় না
তোমার হেঁয়ালি কথায়, খসখসে কথায়
আমি না জীবিত, না উজ্জীবিত
এভাবে কে কার বিহনে থাকে বলো!

খাঁচায় পুরে আটকে রেখে হে শাসক
কত মিছে কও - দ্যাখ দিয়েছি স্বাধীনতা
হ্যা মহাজন -ছোট কুঠরিতে ডানা ঝাপটিয়ে
গাই দিবানিশি তোমার মহানুভবতা ।

সবুজ ঘেরা পতাকাতে,
সূর্য্য যেথা নামে।
স্বাধীনতার কথা বলে,
স্বপ্ন রঙ্গিন খামে।।