সাহিত্য হলো সাহিত্যিকের প্রেম, ভালোবাসা,
সাহিত্য হলো উদ্যম, সাহিত্য হলো আশা।
সাহিত্য নির্দিষ্ট কোনো নিয়মের মধ্যে চলেনা,
সাহিত্য তৈরি করা নিয়মের কথা বলেনা।।

তুমি জেগে ওঠো উঁচু করে শির,
জাতির জন্য হও তেজোদীপ্ত বীর।
মনুষ্য কষ্টে হয়ে দগ্ধ, হও হওক্ষুব্ধ।
করো করোচিৎকার,

মায়ের বুকের হাহাকার নীল খামে
ভরা শতো সহস্র-কোটি দুঃখগাঁথা,
অজস্র বোনের ইজ্জত-সম্ভ্রমের দামে
কিনেছি আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা!

মেঘের দেশের গৌরমেয়ে, নামলে কেন ধরাধামে ?
জল ছল ছল কাজল আঁখির সর্বনাশী,
নামলেই যখন, তখন কেন
অমন তাড়া তোমার ঘরকে যাবার?

৫২ এর ভাষা আন্দোলনে শহীদের রক্তদান
স্বাধীনতা তুমি
৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নেতা শেরে বাংলার অবদান।

খাঁচায় পুরে আটকে রেখে হে শাসক
কত মিছে কও - দ্যাখ দিয়েছি স্বাধীনতা
হ্যা মহাজন -ছোট কুঠরিতে ডানা ঝাপটিয়ে
গাই দিবানিশি তোমার মহানুভবতা ।

পঞ্চা‌শে রাখ‌লো পা আমার বাংলা‌দেশ, বয়স তার পঞ্চাশ,
তার বু‌কেই যে হয় আঠা‌রো ‌কো‌টি মানু‌ষের স্বপ্ন চাষ;
এখ‌নো ‌‌যৌবনাবতী, রূ‌পে গু‌নে ঐশ্ব‌র্যে‌ ভরা দেহ তার,
এখ‌নো মন ভ‌রি‌য়ে রা‌খে বা‌জি‌য়ে স্বাধীনতার সেতার।

সব মানুষের মন সুবর্ণ উচাটন হয় না
তোমার হেঁয়ালি কথায়, খসখসে কথায়
আমি না জীবিত, না উজ্জীবিত
এভাবে কে কার বিহনে থাকে বলো!

সবুজ ঘেরা পতাকাতে,
সূর্য্য যেথা নামে।
স্বাধীনতার কথা বলে,
স্বপ্ন রঙ্গিন খামে।।

এই সেই শব্দ
যেই শব্দকে মানুষ
খুঁজেছে লাখো বার
যেই শব্দকে পাওয়ার জন্য
মানুষ করেছে হাহাকার।