আলো নয়, অন্ধকার নয়- বুকের ভিতর
কষ্ট খেলা করে অষ্টপ্রহর;
শিশির জানেনা, জানেনা সবুজ ঘন ঘাস
তুমি কোথা চলে গেছো-কোন বনের ভিতর
জল আর মাটির গন্ধ মেখে,
জানালাটি আধো-খোলা রেখে,

কর্ম যা করে যাচ্ছো তারুণ্যে, জমা রাখছো কিন্তু ভবিষ্যত ব্যাংকে,
যত শক্তি, যত দম্ভ একদিন ফুরিয়ে যাবে,
শক্তি সামর্থ্যের র‍্যাংকিয়ে এক, একদিন পরিণত হবে শূন্য র‍্যাংকে,
একদিন সব হারিয়ে তোমার মন বদলাবে!
থাকবে না সময় সেদিন!

বহু কষ্টের মাঝেও আমাদের দু-বেলা
দু-মুঠো খাওয়ার জুটে যেত ।
এই খাবার সংগ্রহের জন্য
বাবা চলে যেতেন দূর দূরান্তে ;
যা কিছু খাবারের দানা পেতেন
তাই হাসি মুখে ফেলে দিতেন মায়ের সামনে ।

এই পথ একটু আগেও অচেনা ছিল।
তুমি বলেছিলে যেদিন আমি এই পথ চিনব,
তোমার নীল শাঁড়িটি আবার পরবে
নতুন করে সাজবে আমার জন্য।

তুঁষের অনলে জ্বলিয়া জ্বলিয়া তার মন হয়ে যায় ছাইয়ের মতন।
যেমন, অভাগা যেদিকে তাকায় সাগর শুকিয়ে যায় আর দেখে
ধুধু মরুভূমির মায়ার জালের আকর্ষণ ।

আমরা যখন শীতের রাত্রিতে
লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমাই,
চির অবহেলিত নাঙ্গা মানুষ গুলো;
তখন একটা শত ছেঁড়া কাপড় গায়ে;
শীতের যন্ত্রণায় কুঁকড়ে কুঁকড়ে উঠে।

রাতের গোপন, নির্ঘুমতা খুঁড়ে
বীজ বুনেছে, ব্যথার নিশানা দিয়ে
নোনাজল, ভিজিয়ে গিয়েছে রাত
নরম শরীর দাঁড়ায় দু'পাতা নিয়ে

প্রেম,ভালোবাসা, বিশ্বাস,
নির্ভরতা, উদারতা, উদ্যম,
পরিশ্রম ,ঐশ্বর্য, ক্ষমতা,
লোভ, দ্বেষ,হিংসা, উদ্ধত্য,নিরাপত্তা

একদিন দয়া জেগেছিল বেলফোর সাহেবের
লিখেছিল চিঠি কাছে ব্যারন রথসচাইল্ডের
আজ পশ্চিমারা পক্ষ নেয় ইসরায়েলের

তুষার বৈঠা দিয়ে ফেরাইও মোরে পানে
সকল প্রেম দিয়ে বক্ষে নেব টেনে ;
আমি কষ্টের পিতা-মাতা
হিয়াতে লালন করি যত ব্যথা ।