“ চিন্তা করো না মা, আমি রোজগার করে সুজনের লেখাপড়ার জন্য টাকা পাঠাব।” মাকে বলল জয়।
“ না বাবা তুইও লেখাপড়া কর।প্রয়োজনে আমি দর্জির কাজ করব। আর পেনশনের টাকা তো আছেই।

তুই যেদিন আমাকে ধাক্কা মেরে বের করে দিয়েছিলি ঐদিন জানিস আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। বিশ্বাস কর আমি সত্যিই চাই না তুই আমার কষ্ট কখনই বুঝতে পারিস।

আমরা অনেক সময় নিজেকে নিজেই ভুলে যাই,
ভুলে যাই অতীতের ছাতা হয়ে মাথার উপরে থাকা ব্যক্তির কথা,
কিন্তু যা হয় তো বা নতুন প্রজন্ম থেকে কখনো আমরা আশা করি না।

মায়ের কাছে কোনো কিছু চাইতে যেতে আবিরের খারাপ লাগে কারণ তার মা তাতে রাজি হতে চায় না।সে খুব হিসেবি।হিসেব করে চলেই সে সংসারের হাল টিকিয়ে রেখেছে।

গ্রামের মধ্যে এমন দোতলা বাড়ি দুটো নেই। অনেক খরচ হয়েছে এতে।
ইমদাদ সাহেব মাসে একবার আসার চেষ্টা করেন এখানে। কখনো কখনো এর বেশিও আসা হয়, আবার কখনো কম। ঢাকা শহরে ব্যস্ততা অনেক।

মায়ের চিতায় শাড়িটা রেখে আকশের দিকে তাকিয়ে আগুন ছুঁইয়ে দিলাম। চোখ থেকে যে দু’ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল তাতে যে আগুন নিভে না!

মা ফিক করে হেসে বলেন, ‘তুই কইলেই অইল? আমার মন চাইলেই খামু।’

এই মানচিত্র জ্বলছে জ্বলুক
এই দাবানল পোড়াক চোখ
আমার চোখে দেশ মানে
এক লোকের পাশে অন্য লোক ।

সুদিনে সবাই পাশে থাকলেও দুর্দিনে কাছের লোকেরাই মুখ ফিরিয়ে নেয় সখিনার চাচারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, মামারা কদাচিৎ সাহায্য করলেও তা একেবারেই অপ্রতুল। তাছাড়া তাদের নিজেদেরও অবস্থাও বলার মত ভাল নয়।