মায়ের শেষ আর্তনাদ

মা আমার মা (মে ২০২১)

riktas
মোট ভোট ১০ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.২১
  • 0
  • ৯৮
রাত প্রায় সাড়ে ৩টা। সবাই ঘুমচ্ছে। কিন্তু এই বৃদ্ধাশ্রমের নতুন অতিথি হয়ে আসা এই আমার চোখে এখনও ঘুম নেই। পারছি না ঘুমাতে। হঠাৎ অনুভব করলাম চোখ ভিজে গেছে। অশ্রু ঝরছে। অসংখ্য অশ্রুকণাকে নীরবেই হাসিমুখে মুছে এক দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। একমাত্র ছেলে আমার,পাঁচ বছর হলো বিয়ে করেছে। খোকার যখন আড়াই বছর তখন ওর বাবা মারা যায়। হার্টের রোগী ছিলেন তিনি কিন্তু সামর্থ্য ছিল না তার হার্টের চিকিৎসা করবার। তাই তাকে বিনা চিকিৎসায় এ জগৎের মায়া ত্যাগ করতে হয়েছিল। খোকা আমার ছিল পড়ালেখায় খুবই মেধাবী। তাই খুব কষ্ট করেছিলাম। মনোবল ছিল দৃঢ় যাই হয়ে যাক না কেন প্রয়োজন হলে নিজের কিডনি দুটো বিক্রি করেও খোকাকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলবোই। খোকার যখন পড়ালেখার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হলো তখন আমার একটা কিডনি বিক্রিই করে দিলাম। খোকার মুখে হাসি দেখবো বলে একটা কিডনি নিয়েই বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম বাকিটা জীবন। আজ খোকা আমার বিশাল বড়লোক হয়েছে। লাখ লাক টাকা এখন তার কাছে সামান্য। কিন্তু খোকা বিশ্বাস কর তোকে এত সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। খোকা আজ আমার অন্ধকারে ভয় করে না,ভয় করে না আর রক্ত দেখে। আজ আমি সব কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারি। জানি তোর বাড়িতে আলোর কোনও অভাব নেই। তুই যেদিন আমাকে ধাক্কা মেরে বের করে দিয়েছিলি ঐদিন জানিস আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। বিশ্বাস কর আমি সত্যিই চাই না তুই আমার কষ্ট কখনই বুঝতে পারিস। আমি চাই তুই আরো টাকার মালিক হ। আমি সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম তুই খুব বিরক্ত হয়েছিলি যেদিন বৃদ্ধাশ্রমে আমার জন্য তোকে অনেক টাকা নষ্ট করতে হয়েছিল। ভাবিস না তোকে আর আমার জন্য কোনো টাকা নষ্ট করতে হবে না কথা দিলাম।জানিস বার্ধক্যে নতিয়ে পড়া এই তোর অভাগী মা আজ নিজের হাতের শিরা কাঁটতেও ভয় না। তাই তোকে জিতিয়ে দেবার জন্য আজ নাহয় আমি প্রকৃতির সকল নিয়মের কাছেই হেরে গেলাম। আজ আমি গর্বিত এটা বলতে পারায় যে আমি এই পৃথিবীর নিকট একজন সর্বহারা সর্বজয়ী মা। ভালো থাকিস খোকা তোকে আজীবনের জন্য মুক্ত করে দিলাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মাইদুল সরকার এমন ভাগ্য যেন কোন মায়ের না হয়।
Lata Rani Sarker খুব ভাল লিখেছেন।
ফয়জুল মহী মনোমুগ্ধকর পরিবেশন।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

মায়ের প্রতি প্রত্যেক সন্তানেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর অনেক কিছুই বদলায়েছে সন্তানদের কিন্তু মা বদলায়নি। মায়ের দোয়া সবসময় সন্তানদের জন্য থাকে। গল্পটিতে মা সন্তানের ভালবাসা, বিরহের ব্যখ্যা প্রাধান্য পেয়েছে যা মা আমার মা সংখ্যার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

০২ নভেম্বর - ২০২০ গল্প/কবিতা: ২ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.২১

বিচারক স্কোরঃ ২.২১ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ৩ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪