রাতটুকু শেষ হলে,
চারদিকে কোলাহল।
ভালোবাসা বেদনায়,
আঁখি হয় ছলছল।।

যে পৃথিবীতে আমার মনের মানুষ নেই
যে চাঁদ আমার মনে আলো জ্বালাতে পারেনা
সে পৃথিবী আমার কাছে বড় শূন্য
সে চাঁদ আমার কাছে অমাবস্যার অন্ধকার রাত
মনের মানুষটিবিহীন আমার বুকটি খাঁ খাঁ করছে

আবারও বলি----
বেদনা নিও না নদী.. বুকভরা হাহাকার নিও
বৃক্ষের যেমন কোনো বেদনা থাকতে নেই
নারীর যেমন কোনো বেদনা থাকতে নেই
তেমনি তোমারও কোনো বেদনা থাকতে নেই!!

তুমিবিহীন জীবন সরল অংকের মত
প্রতি ধাপে তোমার অনুতাপে,হৃদয়ে ভরিয়ে ভূমিকম্প।
তোমার স্মৃতিগুলো যে এক আতঙ্কের নাম,
সতীনের মত ঘুরে ফিরে আমার চারিপাশ।

দক্ষিণা মেঘে এক পশলা বৃষ্টি প্রতিনিয়ত ভিজিয়ে দেয়;
সুখ-দুঃখ আর একমুঠো হাসি বাক্সবন্দী আজ হৃদয়ের কারাগারে
ফের হঠাৎ কারা যেন আসে আবার হঠাৎ কারা যেন চলে যায়!

এখানে আর কেউ নেই
এখানে সব অজানা, একলা
আকাশ বড্ড নীল, চোখ পোড়ে
মেঘেদের শরীরে অভিমান
আকাংক্ষা জমে না শিশিরের গায়।

সবুজ কেটে খাদান বানিয়েছিলে,
পাইন গাছ উপড়ে ফেলেছিলে ডিনামাইট দিয়ে,
আগুনে পুড়িয়েছিলে আমাজন।
পাহাড়ের পাকদন্ডী কে বশ করতে চাও,

দিদি যাচ্ছে শুশুর বাড়ি ,

আমায় একা ফেলি ।

এই হ্নদয়ে মেঘের গর্জন –

অশ্রু রাশি রাশি ।

দিদি আমার এই হ্নদয়ে হাজার রঙের ফুল ।

দিদি ছাড়া এই হ্নদয় মরুর কুল ।

হঠাৎ কপাল চিহ্ন লাল টিপ জাগরিত মুখ
তুলে নিশানা খচিত যত পরিচিত কোলাহলে
তাঁকে শূন্য করে দেয়, চিরন্তন টেনে নেবে বলে;
চারদিকে আয়োজন, লেলিহান অস্তমিত বুক
অতীতের গল্প বলে; অনবদ্য ভূমিকার সুখ
ফুরিয়েছে, একদিন পরিপূর্ণ সিক্ত শতদলে

রোদের বিষন্নতা নেই -
একাকীত্বের হাহাকার ঠোঁটে চুমু দিতে হয়না।
সিগারেটের সহবাস নেই -
জ্বালিয়ে দিলেই দৌড়ঝাঁপের খেলা করে।
অভিনয়ের অমরত্ব নেই -