ভাসো মন ভাসো, শূণ্যে ভাসো প্রেমে!
ভাসো মন ভাসো, ভাসতে ভাসতে-
মেঘের কপাট খোলো অথবা খুলতে দাও। তারপর,
প্রবেশ করো অথবা করতে দাও- আরও একটু শূণ্যের মাঝে,

হঠাৎ কপাল চিহ্ন লাল টিপ জাগরিত মুখ
তুলে নিশানা খচিত যত পরিচিত কোলাহলে
তাঁকে শূন্য করে দেয়, চিরন্তন টেনে নেবে বলে;
চারদিকে আয়োজন, লেলিহান অস্তমিত বুক
অতীতের গল্প বলে; অনবদ্য ভূমিকার সুখ
ফুরিয়েছে, একদিন পরিপূর্ণ সিক্ত শতদলে

তোমার শূন্যতা নিয়েই রোজকার মতো,
ঘুম থেকে উঠি দিনের শুরু করিতে।
ফ্যামিলি মেম্বার, বন্ধু ও কলিগের সাথে,
তবু্ও দিন শেষে একবুক শূন্যতা নিয়েই রাত্রিযাপ।

দুঃখ নিয়ে কেই বা চায়
থাকতে সুখ ছাড়া
চায় না হতে কেউ ধরাতে
আপনজন হারা।

তুমিবিহীন জীবন সরল অংকের মত
প্রতি ধাপে তোমার অনুতাপে,হৃদয়ে ভরিয়ে ভূমিকম্প।
তোমার স্মৃতিগুলো যে এক আতঙ্কের নাম,
সতীনের মত ঘুরে ফিরে আমার চারিপাশ।

হাতটি ধরে কেঁদেছিলে তুমি, সর্ব সুখ এঁকে
মনের কথ‍া নয়নের ভাষায় বুঝিয়েছিলে তবে,
অঢেল সুখে আত্বহারা হয়ে রেখেছিলে মাথা
মোর তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে ব্যথার সহিত বুকে।

রোদের বিষন্নতা নেই -
একাকীত্বের হাহাকার ঠোঁটে চুমু দিতে হয়না।
সিগারেটের সহবাস নেই -
জ্বালিয়ে দিলেই দৌড়ঝাঁপের খেলা করে।
অভিনয়ের অমরত্ব নেই -

এই পর্যন্ত আমার কাজ,
এর পরে তোমার বাঁচা তোমাকে শিখে নিতে হবে:
এই বলে বাবা মা আমার হাত ছেড়ে দিলেন।
তারপর আঠারো পেরিয়ে
অনেক পথ পাড়ি জমিয়ে কেটে গেল কিছু কা

এ জীবনটা তো চায় নি-রুবীনা,
এ জীবনটা তো চাওয়ার নয়-
সকাল নেই কোন-
দুপুর নেই দুপুরে-সন্ধ্যাটা হারানো রাতের অজানায়।

ততক্ষণে হিসেবটা মিটে গেল,
দেনা পাওনার ডান-বাম শূন্য।
নতুন সূচনার হালখাতা, পুরনো মলাট,
একগুচ্ছ অব্যবহৃত পৃষ্ঠায় ঝকঝকে শুন্যতা।