কি অপরাধে চলে গেলি
বল না আমায় ছেড়ে
খুব অপরাধ কি করেছিলাম
তোকে ভালোবেসে।

কেমনে সহিব এ একাকীত্বের অগ্নি
জ্বালা নিভাতে বন্ধু বিদায় নিলাম ধরনী হতে
বিদায় কেন বলিতেছ, এ যে ছুটি
আবার আসিব ফিরিয়া কোনো এক বসন্তে কোকিল হইয়া,
করিব খেলা প্রকৃতির প্রেমে

আবারও বলি----
বেদনা নিও না নদী.. বুকভরা হাহাকার নিও
বৃক্ষের যেমন কোনো বেদনা থাকতে নেই
নারীর যেমন কোনো বেদনা থাকতে নেই
তেমনি তোমারও কোনো বেদনা থাকতে নেই!!

শূন্যতাকে কি করতে পারো অনুভব
কিংবা এই ব্যাথাকে?
লুকিয়ে আছে যা তোমার অন্তর মাঝে
নীরবে গোপনে?
পারছো কি দেখতে তুমি তা গভীর স্বপনে
অবিরত সন্তপর্ণে?

ছোট ফুটফুটে মেয়ের শরীর থেকে বয়ে চলেছে রক্তধারা।
নিস্তেজ হয়ে আসা সেই ছোট শরীরটা ঘণ্টাখানেক বাদে না ফেরার দেশে!
ক্লাস থ্রিতে পড়তো; খেলছিল আপন মনে নিজের আনন্দের ভুবনে।

আমা‌তে আ‌মি ডু‌বে যা ভে‌বে‌ছিলাম নিরালায়
তার কো‌নো রঙ নেই আজ জীবনের কিনারায়
আ‌মি কেঁ‌দে‌ছিলাম ফের সৃ‌ষ্টি‌তে হে‌সে‌ছিলাম
আজ পাষাণ হৃদয় মোর দো‌লেনা সজীবতায়।

খুব গভীর নিষ্ফলা অনাদৃত আক্ষেপ থেকে জন্ম নেয় প্রমিত প্রচণ্ড ইচ্ছের রঙ।
প্রাণমনে ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত নীল হৃদয় জানি না কখন কোথায়-
উড়ছে ব্যাথায় পোড়া কাঁচের মতো মন চোখের প্রীতে হতাশার নোনাজল।
বুকের গভীরে ধীরে সন্তর্পণে গুটিগুটি হাঁটে প্রিয় আকাশটা যেন ওখানেই উজ্জ্বল।
ধরতে গেলে সে আকাশের শুভ্র ডানা এক চিলতে মেঘ সরে বসে করলো মানা।

একদিন শূন্য হবো, শূন্যত্বই সারংসার
জীবন পাইয়া দেখি সবি অলঙ্কার;
বসে বসে ভাব করে মায়া-খঞ্জর
একদিন ফেলে ছুঁড়ে অই অম্বর।

হঠাৎ কপাল চিহ্ন লাল টিপ জাগরিত মুখ
তুলে নিশানা খচিত যত পরিচিত কোলাহলে
তাঁকে শূন্য করে দেয়, চিরন্তন টেনে নেবে বলে;
চারদিকে আয়োজন, লেলিহান অস্তমিত বুক
অতীতের গল্প বলে; অনবদ্য ভূমিকার সুখ
ফুরিয়েছে, একদিন পরিপূর্ণ সিক্ত শতদলে

ভাসো মন ভাসো, শূণ্যে ভাসো প্রেমে!
ভাসো মন ভাসো, ভাসতে ভাসতে-
মেঘের কপাট খোলো অথবা খুলতে দাও। তারপর,
প্রবেশ করো অথবা করতে দাও- আরও একটু শূণ্যের মাঝে,