নেতানো, জীর্ণ আর পেচানো শাড়ির আড়ালে,
তলপেটের চর্বি মেপে নিয়েছে চোখ I
যে চোখ দিয়ে নূর দেখার কথা ছিলো !
যে চোখ দিয়ে অশ্রু পড়ার কথা ছিলো !
নেতানো, জীর্ণ আর পেচানো শাড়ির আড়ালে,
তলপেটের চর্বি মেপে নিয়েছে চোখ I
যে চোখ দিয়ে নূর দেখার কথা ছিলো !
যে চোখ দিয়ে অশ্রু পড়ার কথা ছিলো !
আঁধারে ঢেকে গিয়েছে আকাশ
রক্তাক্ত মাটিতে সেনাদের চিৎকার
তামাম পৃথিবী মশগুল খুনের নেশায়
আর নেই কোনো বাঘের হুংকার ।
অশ্লীলতা নয়তো ভালো,
অনেক খারাপ কাজ,
অশ্লীলতা দূর করে যে
লজ্জা- শরম- লাজ।
অন্নপুষ্ট সুঠাম শরীর অনেক দামী
রোদে পোড়ে যৌবন জানেনি কখনও,
খিদের বসনে ঢাকে কি শরমিন্দা- শহর।
ভীষণ ঘুম পাচ্ছে
আকণ্ঠ আদিম রক্ত পান করেছি
ধর্ষিতার ছিড়ে যাওয়া শাড়ি জমিনে বিছিয়ে
ঢাকার ম্যানহোলের মত মুখটাকে ফাঁক করে দিয়ে
আমি খুব জুত করে লেপটে আছি।
যুগে যুগে অশ্লীলতা তোমাকে করিছে অপমান;
তবু মানুষেরা মুখে মুখে গাইছে অসভ্যের গান!
ক্রোধে ক্রোধে মার্জিত শব্দ ভুলে গেছে মানুষ;
অগ্নিশর্মা হয়ে খুয়েছো তোমরা আপনার হুশ!
পড়ে কি মনে পাপড়ি গোনার দিন,
তোমার গোলাপ বন?
উতাল হাওয়া, পাতার শিহরণ?
একলা বেলার খরস্রোতা নদী –
চক্রাবর্তে তলিয়ে যাওয়া নাও?
অশ্লীলতার ধারে কাছে যেও না
তোমরা কারো ক্ষতি করো না
কখনো ব্যভিচারী হইও না
কারো তরে আঘাত হেন না।
সভ্যতার অক্টোপাস-
দিগন্তজুড়ে সভ্যতার ব্যানের,
অশ্লীলতার মহাপ্রলয়।
মূর্খতার বসবাস-
শিক্ষিত মানুয়ের বিবেকে চলে,
ভালো মানুষির অভিনয়।
আক্ষেপ বার বার মুছে দেয়
স্বপ্নের স্মারক স্মৃতি-
জীবনের রঙিন প্রচ্ছদে মোড়া
হরেক শব্দের কষ্টের উৎস,
যার প্রতিটি মুহূর্ত অনবরত-
পদদলিত করে জমানো সুখ।