রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিল উমর।হঠাত ওদিক থেকে আসা দিপু ভাইয়ের সাথে ধাক্কা লাগে।দিপু ভাই প্রচন্ড রেগে একটা থাপ্পড় মারে।উমর কিছুই বলেনি।কেননা,এলাকায় দিপু ভাইয়ের অনেক পাওয়ার।

দুলু মিয়া আবার অস্থিরতা আরম্ভ করলে ফরিদ আলি দ্রুততার সাথে বলতে আরম্ভ করেন, ‘দুলু ভাই, আমি আল্লাহ্র ঘর থেকে এসেছি। এখন তুমি মাফ না করলে আমার হজ্জ্ব কবুল হবে না। তুমিতো জান, আমি যুদ্ধ করি নাই।

বেশ কিছুটা এগিয়ে আসার পর সামনে ডাঙা দেখতে পেল মানিক । ডাঙা দেখেই চমকে গেল সে । এখানে তো ডাঙা থাকা কথা না । কী ভূতুড়ে কাণ্ডরে বাবা ! অন্ধকারেও বোঝা যাচ্ছে ওপারের জঙ্গলটা বেশ দূরে ।

হুনছি আমার দাদা নাকি মুক্তিযোদ্ধা আছিল,জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় দাদার টিম নাকি হেব্বি ফাইট দিছিল,এক ডজন মিলিটারি মাইরা ফেলাইছিল।দাদারা নাকি যুদ্ধ করছিল ,সবাই সমান অধিকার পাবার লাইগ্যা,সঠিক ভাগ পাবার লাইগ্যা...বই-পুস্তকে যেইডারে আপনারা যারে কন “বৈষম্যহীন সমাজ” তার লাইগ্যা।সে মনে কররেন আজ থ্যাইকা বছর পঞ্চাশেক আগের কথা।মাগার আজো কি কিছু পরিবর্তন হইছে?

ঝাড়ুটা আমার ঝগড়াটে।
উঠোন পরিষ্কারের সময় ফাঁকি দেয়,কাজ করতে চায় না। বলে, আমাকে এসবে মানায় না।যার নাকে গন্ধ যায় সেই করুগ্গে । শুনে তাজ্জব বনে যাই, ত্রিশ টাকা খরচ করে মঙ্গলবারের হাট থেকে এনেছিলাম।

পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৭ সালে আর ঠিক ১৯৪৮ সালেই পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা এসে ঘোষণা করলেন ।উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। পাকিস্তানের বাঙালিরা তার প্রতিবাদ করে ।বিক্ষোভ শুরু করে দিল। আন্দোলন তীব্রতর হয়ে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সারা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ল।

চারিদিকে বিজয়ের সুর শুনি, শুনি আনন্দ কলতান
উচ্চস্বরে বাজছে দূর দূর ঐ দূর শুধু বিজয়ের গান।
লাল সবুজের পতাকা উড়ছে পতপত-অলি গলি
চলো এক সুরে সুর তোলে বিজয়ের কথা বলি।

সরাসরি জবাব-জয় বাংলা। প্রথম ফায়ারিং! দ্বিতীয় বারও একই জবাব জয় বাংলা। এবার দ্বিতীয় ফায়ারিং! একবার সে বলো- পাকিস্তান জিন্দাবাদ। এবারও একই জবাব-জয় বাংলা।

আজো কান্নাভেজা চোখে দূর থেকে চিৎকারের শব্দ এসে কানে ভাসে, বাবা মানুষ হতে চেয়েছিলাম; এমন তো চাইনি! জন্ম হয়ে এ আজন্মের কষ্টগুলো আর কতো আঁচলে বেঁধে রাখবো? মা কেন-ই বা জন্ম দিয়েছিলে!?

'কার্তিক ও কার্তিক... তুই কি ঘরে আছিস বাবা?' বাবার ডাক শুনতে পেয়ে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বাহিরে এলাম আমি। বাবার দিকে তাকিয়ে দেখি তার মুখে ভয়ের ছাপ। বললাম----
-'বাবা আমি ঘরে আছি তো...'
-'যাক তোকে দেখে আমি নিশ্চিন্ত হলাম।'
-'কি হয়েছে বাবা?... তুমি কি কিছু দেখে ভয় পেয়েছ নাকি?'