চারিদিকে বিজয়ের সুর শুনি, শুনি আনন্দ কলতান উচ্চস্বরে বাজছে দূর দূর ঐ দূর শুধু বিজয়ের গান। লাল সবুজের পতাকা উড়ছে পতপত-অলি গলি চলো এক সুরে সুর তোলে বিজয়ের কথা বলি। বিয়াল্লিশ পঁয়তাল্লিশ কি ছেচল্লিশ যাক কেটে যাক সবার প্রাণে তবে বিজয়ের মূল্যটা অটুট থাক। আত্মত্যাগে পাওয়া এ বিজয়-চলো রাখি সমুন্নত উড়ুক পতাকা স্বাধীন-হিংস্রদের কাছে না হোক নত।
২। এ কেমন স্বাধীনতা লোভের ডানায় স্বাধীনতা উড়ে-এ কোন স্বাধীনতা খুবলে খায় মায়ের মাংস, জন্মভুমি মাগো তুমি আজও হও রক্তাক্ত, পতাকার মিছিলে দাঁড়িয়েও ওরা পকেট গরম করার কথা ভাবে, আঁড় চোখে দেখে নেয় কার করবে বস্ত্র হরণ। মৃত্যুর আর্তনাদ হাওয়ায় ওড়ে, চোখের জল মুছে মা দাঁড়ায় স্বাধীনতার কপাট খুলে এখনো ফিরে না ছেলে, এখনো মেয়ের বিবস্ত্র আঁচল ঝুলে থাকে আম্র ডালে! এ কেমন বিজয় উৎসব, লাউড স্পিকারে বাজে ওয়াক্কা ওয়াক্কা... এ কেমন বিজয়ের উল্লাস, পতাকা রঙ জামায় সেজে ওরা স্বাধীনতায় অবাধ মেলামেশায় লিপ্ত হয় হাজারো জনতার মাঝে! বিজয় মানে উচ্চস্বরে গান গাওয়া কি! সে গানের সুর হিন্দি কিংবা ইংলিশ...? কোন বিজয়ের সুর ধ্বনিতে ওরা বেছে নিলো অপসংস্কৃতির স্বাধীনতা! এমন স্বাধীনতা এমন বিজয় দিনের প্রভাতে কে চায় দৈনিকে একরাশ মৃত্যুর খবর কে চায় এমন নৃশংসতা? একতার গান সে ছিল একাত্তরে, এখানে একাত্বতার ঘোষনা আর হয় না... নৈতিক অবক্ষয়ের পথে হাঁটে আমার সোনার বাংলাদেশ। তবুও আশায় বাঁধি বুক, একতার বন্ধন হোক ফের, বাড়ুক দেশের প্রতি পতাকার প্রতি ভালবাসার টান স্বার্থ পিছনে ঠেলে আমরা হই একে অপরের তরে জানাই সবাকে আহবান।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
কত ত্যাগের বিনিময়ে এ স্বাধীন দেশ। অথচ এখানে নিত্যই হচ্ছে স্বাধীনতার অপব্যবহার।
০১ মার্চ - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১৫৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।