নবান্ন তুমি কৃষাণীর হাতে আঁকা উঠানের আল্পনা,
তমালপাড়ার মেলার নাগরদোলা, মুড়ি মুড়কি,পুতুলনাচ
অধির আগ্রহে বসে থাকা স্কুল পালানো এক দুষ্টু বালকের উৎসুক মন
-
গল্প
নবান্নসুশান্ত হালদার -
গল্প
হাসুশরীফ মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানগ্রামের নাম অশান্তপুর।যদিও গ্রামের মানুষগুলো খুবই শান্ত।তবে হাসুর মনটা খুব অশান্ত।আর গ্রামের এমন অদ্ভুত নাম যে কারা রেখেছিল হাসুর তা জানা নেই।সে মাঝে মাঝে গ্রামের চায়ের দোকানে বসে চুপচাপ বিষয়টা নিয়ে ভাবে।তবে কি হাসুর এই অশান্ত মনটার কথা ভেবেই প্রাচীনকালে কেউ বা কারা রেখেছিল গ্রামের নাম অশান্তপুর।একাকী নীরবে মুচকি হাসি দিয়ে ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসে হাসু।
-
গল্প
দশ কাঁঠা জমিনাজমুল হুসাইনঘ্যাচ করে উল্টে গেল বাম তর্জনীর নখ শুদ্ধ গোটা কর অব্দি।ফিনকি দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে এলো যুবা রক্তের তাজা উন্মাদনা।মুহুর্তেই করুন আর্তনাদে লহিতাভা ধারণ করলো কাঁদামাটি আর ঘাসের গালিচা।বাতাসের গন্ধে যেন ভেসে গেল আহ!
-
গল্প
নবান্নের লাঠিখেলাAbdul Hannanদীয়া শান্তিপুরে তখন নবান্ন আসলেই দলে দলে লাঠি খেলার ধুম পড়ে যেত।নবান্ন আসার আগেই বাড়ীর গিন্নীরা আম গাছের দিকে প্রতিদিন তাঁকাতো আমের কুশি বড় হচ্ছে কিনা দেখার জন্য। নবান্নের দিনে জামাই আসবে কাঁচা আমের চীর দিয়ে দুধ মিশিয়ে বিন্নি ধানের খির রান্না করে জামাই পড়শীদের দিতে হবে,লাঠি খেলোয়াড়দের দিতে হবে সবাই খির খেয়ে নবান্নে আনন্দ করবে
-
গল্প
ওখানেই ঝরেছিল মানুষের ঘামসুপ্রিয় ঘোষালএ আখ্যান ঘোর বর্ষার স্রোতস্বিনী নয়। জীবনের কামনা আর আকাঙ্খার কাছে কখনো হেরে যাওয়া , কখনো বা অমীমাংসিত হার-জিতের বাঁকে প্রোথিত, ব্যর্থ দীর্ঘশ্বাস বহন করা, কখনো বা হার জিত মেলাতে না পারা, সময়ের রুদ্ধদ্বারে আটকা পড়ে যাওয়া এক সাধারণ প্রান্তিকের। যার কথা কেউ মনে রাখে, কেউ বা ভুলে যায়। সময়ের স্রোতে ভেসে যায় স্মৃতি। কখনো-সখনো কোনো নিকটাত্মীয়ের স্মরণে সে মানুষ আবার ভেসে ওঠে, বর্তমান হয়। বর্তমান হয় ?
-
গল্প
জীবন তরীমাইনুল ইসলাম আলিফআমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম।
উঠোনের ঠিক মাঝখানটা দিয়ে নিকষ কালো এলো চুলের এক পরী হেঁটে যাচ্ছিলো।
আধো রোদ আধো ছায়ায়,লাল জামা পড়া মেয়েটিকে কি যে মায়াবী লাগছিলো সেদিন! আহ চোখ জুড়িয়ে যাবার মতো। -
গল্প
তিনামোঃ মোখলেছুর রহমানসেদিন শুক্রবার, অফিস নেই; লেখালেখির ব্যারাম আছে বলে ডায়রিতে লাঙল চালাচ্ছিলাম। ব্যারামের সবিস্তার হল- স্ত্রীর শত বকাঝকা খেয়েও ব্যামোটা সারেনি। এমন সময় তিনা এল তার বাংলা বই নিয়ে। ‘আমার দেশ’ এর ষড় ঋতুর ‘হেমন্ত’ পড়ছিল- “ হেমন্তে নবান্ন উৎসব ঘরে ঘরে।” হটাৎ আমাকে প্রশ্ন করে নবান্ন উৎসব কি বাবা। আমি সংক্ষেপে বুঝালাম- ‘কৃষকের নতুন ধান ঘরে তোলার উৎসব।’
-
গল্প
আতঙ্কবিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্তঘটনাটা সকলের কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত । আজকের এই উৎসবের দিনে এইরকম যে ঘটতে পারে সেটা কেউ কল্পনাই করতে পারে নি । ঘটনাটা ঘটে যাবার পর ভয়ংকর ক্রোধে আর ততোধিক ভয়ে রুইদাশ একেবারে বাকরুদ্ধ , দিশেহারা । তাঁর সারা শরীর দিয়ে যেন আগুনের ঝলকা বেরোচ্ছে । একটা সময় শরীরের সমস্ত শক্তি হারিয়ে কাঁপতে কাঁপতে ধপ করে মাটিতে বসে পরলেন ।
-
গল্প
ঘর জামাইরাজ্য জ্যোতিহঠাৎ একটা পুরুষ কন্ঠের ক্রন্দন শুনে আর না গিয়ে পারলাম না । "আমি শ্বসুর বাড়ী যাব না," বলে কান্না করছে নব জামাতা ।
এ দৃশ্য দেখে আমার অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না । -
গল্প
নবান্নকপিলদেব সরকারআজ আমার ছন্দের উঠোনে
রিক্ত হেমন্তের গান,
ভেসে এলে মাধুকরী ক্ষণে
দু'মুঠো নবান্নের ধান,
অক্টোবর ২০১৯ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৫
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
