গ্রামের নাম অশান্তপুর।যদিও গ্রামের মানুষগুলো খুবই শান্ত।তবে হাসুর মনটা খুব অশান্ত।আর গ্রামের এমন অদ্ভুত নাম যে কারা রেখেছিল হাসুর তা জানা নেই।সে মাঝে মাঝে গ্রামের চায়ের দোকানে বসে চুপচাপ বিষয়টা নিয়ে ভাবে।তবে কি হাসুর এই অশান্ত মনটার কথা ভেবেই প্রাচীনকালে কেউ বা কারা রেখেছিল গ্রামের নাম অশান্তপুর।একাকী নীরবে মুচকি হাসি …
আমাকে তখন নিশিতে পেয়েছে। অগ্রহায়ণের রাতটা কেমন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। এটা ঢাকা নয়, এটা তপ্ত কোন শহর নয়। আমি এখন উত্তরের একটা গ্রামে। হেমন্ত এখনও এখানে বাংলার সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। বছরের এই সময়টায় সূর্য ক্লান্ত হতে থাকে। কমতে থাকে তেজ। আর আমরা যারা নাগরিক ‘ঘানি টানি’, …
advertisement
অক্টোবর ২০১৯ সংখ্যায় পাঠকদের ভোটে নির্বাচিত ২৫টি গল্প ও ২৫টি কবিতা
গল্পের বিষয়“শীত”
কবিতার বিষয়“শীত”
ভোর রাতের দিকে ঘুম ভেঙে গেল নাজিয়ার। অগ্রহায়ণ মাস পড়েছে। বাতাসে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। গা শিরশির করতে লাগলো নাজিয়ার। বিছানা থেকে উঠে ফ্যান অফ করে দিল সে। আবার বিছানায় শুয়ে পড়তেই সকালের একটা আলসেমি ছড়িয়ে পড়লো শরীরে। শুয়ে থাকলো বিছানায়, খানিকক্ষণ এপাশ ওপাশ করলো। কিন্তু আর ঘুম আসলো না। …
১ঘ্যাচ করে উল্টে গেল বাম তর্জনীর নখ শুদ্ধ গোটা কর অব্দি।ফিনকি দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে এলো যুবা রক্তের তাজা উন্মাদনা।মুহুর্তেই করুন আর্তনাদে লহিতাভা ধারণ করলো কাঁদামাটি আর ঘাসের গালিচা।বাতাসের গন্ধে যেন ভেসে গেল আহ!উহ!ইসরে…হাই আল্লাহ!নখ শুদ্ধ যে উল্টে গেল!রক্তাক্ত কাঁচিটাকে জমিতে আছড়ে ফেলে,কাটা আঙুল খানি ডান হাতের মুঠিতে চেপে সোজা …
একআমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম। উঠোনের ঠিক মাঝখানটা দিয়ে নিকষ কালো এলো চুলের এক পরী হেঁটে যাচ্ছিলো। আধো রোদ আধো ছায়ায়,লাল জামা পড়া মেয়েটিকে কি যে মায়াবী লাগছিলো সেদিন! আহ চোখ জুড়িয়ে যাবার মতো।ও রায়া।আমার বড় মামার বড় মেয়ে।ও তখন ক্লাস টেন এ …
আমার মেয়ে তিনা , বয়স এই ছয় ছুঁলো বলে। কেজি টু-তে পড়ে । বাসায় যতক্ষণ থাকি সারাদিন ঘুরঘুর করে আমার পেছন পেছন; রাজ্যের সব প্রশ্ন ওর মাথায়। কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শেষ করার যো নেই; ওর মন মত উত্তর হলে তবেই মুক্তি; নয়তো একটির উত্তরে দশটি প্রশ্নের লেজ জুড়ে দেয়।
প্রায় মাসখানেক জ্বরে ভোগার পর আজ শরীরটা বেশ ঝরঝরে লাগছে। কারো সহায়তা ছাড়াই ঠিক আগের মত ছুটতে ছুটতে সিড়ির সবগুলো ধাপ টপকে ছাদে চলে এলাম। ছাদে ওঠার পর টের পেলাম একটু একটু মাথা ঘুরছে। তারমানে জ্বরের শেষ ধাক্কাটা এখনো শরীরের কোন এক কোণে রয়ে গেছে।মধ্যদুপুর হলেও রোদের …
দিনাজপুরে যে বাসায় ভারা থাকতাম, তার পাশের বাসায়ই থাকত সে । নাম আদ্রিতা । পদবীটা জানা নেই ।আমার বাড়ীর একদম দক্ষিণে ছিল আমার ঘর । জানালায় দাড়ালে সোজা চোখ পরে আদ্রিতার দিকে । ওর পড়ার টেবিল জানালার কাছেই ছিল । থাইগ্লাস থাকায় দেখতে অসুবিধা হতো না । দেখতে ছিল …
১.সরকারি কর্মচারির অনেক বিধি-নিষেধ আছে। তবে শেষ পর্যন্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান রফিক চৌধুরির অনুরোধের ঢেঁকি গিলতেই হলো নতুন ইউএনও’কে। অবশ্য মফস্বলে কাজ করতে গেলে জনপ্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য লোকদের সাথে সমন্বয় করেই কাজ চালাতে হয় প্রশাসনের লোকদের। তাছাড়া অনেক সময় এতে বিভিন্ন হিসেব-নিকশের বিষয়ও জড়িত থাকে। এজন্য …
ঘটনাটা সকলের কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত । আজকের এই উৎসবের দিনে এইরকম যে ঘটতে পারে সেটা কেউ কল্পনাই করতে পারে নি । ঘটনাটা ঘটে যাবার পর ভয়ংকর ক্রোধে আর ততোধিক ভয়ে রুইদাশ একেবারে বাকরুদ্ধ , দিশেহারা । তাঁর সারা শরীর দিয়ে যেন আগুনের ঝলকা বেরোচ্ছে । একটা সময় শরীরের সমস্ত শক্তি …
তুমি বলেছিলে কানে কানে,ধৈর্যহারা বাবু মশাই,গভীর প্রেমের মুহে পরে খেয়েছো লাজ,একটু ধৈর্য ধরো,বাবার হাতে একটি কানাকড়ি ও নেই,নবান্ন আসুক, গোলায় ধান উঠুক তারপর... লাল টুকটুকে শারি পরে আসবো নবান্নেচোখ বেঁধে বলেছিলে একবার কল্পনা করে দেখো তো বাবু মশাই,নবান্নের …
এক।এ আখ্যান ঘোর বর্ষার স্রোতস্বিনী নয়। জীবনের কামনা আর আকাঙ্খার কাছে কখনো হেরে যাওয়া , কখনো বা অমীমাংসিত হার-জিতের বাঁকে প্রোথিত, ব্যর্থ দীর্ঘশ্বাস বহন করা, কখনো বা হার জিত মেলাতে না পারা, সময়ের রুদ্ধদ্বারে আটকা পড়ে যাওয়া এক সাধারণ প্রান্তিকের। যার কথা কেউ মনে রাখে, কেউ বা …
আজ আমার ছন্দের উঠোনে রিক্ত হেমন্তের গান,ভেসে এলে মাধুকরী ক্ষণে দু'মুঠো নবান্নের ধান,কৃষাণীর মত কায়ক্লেশে ঢেঁকিপাড়, আঙিনা-দুয়ারেআমনের গন্ধলীনা দেশে উছলিয়ে ওঠো কি বাহারে শীষধান আঁচলের গিঁটে, …
নবান্ন তুমি যুবকের ফার্স্ট স্যালারি,সেই স্যালারির টাকায় কেনায় বাসার বাজার,বাবার জন্য একজোড়া জুতা, রিন্টুর জন্য একটা চামড়ার বেল্ট।না-হ বলতে ইচ্ছে করে আসলেই নবান্ন উৎসব এসেছে যুবকের জীবনে।নবান্ন তুমি ছোটবেলার অধির অগ্রহে বসে থাকা বায়োস্কোপ বাক্সে ভরা আনন্দ,গামছা মাথায় হাতে খনজরি দিয়ে অনবরত গলায় …