ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল বিকেল থেকেই।বিকেল গড়িয়ে এখন সন্ধ্যে।কোথা থেকে যেন দমকা হাওয়া এসে ঝাপটে পড়লো বৃষ্টি ফোটার গায়ে।ফুসকে উঠলো বজ্র নাদ।নিজেকে উপুড় করে দিয়ে,মেঘ যেন তার সমস্ত জল ঢেলে দিল ধরণীর বুকে।হয়তবা আজ সারা রাত শুষ্ক মরুভুমি সম,এই প্রাণ রাজ্যে উন্মাদ নৃত্যে মেতে উঠবে,অন্ধকারে নিমজ্জিত বৃষ্টির জল।
-
গল্পকালো ডাইরীনাজমুল হুসাইন
-
গল্পবিলাপমোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
চোখের সামনেই যেন দেখেছি আকাশ, দেখেছি চাঁদ; পূর্ণিমার আলোয় আলোকিত করে রেখেছে সব। যেন কোটি নক্ষত্র চাঁদের জমিনে রেখেছে হাত, জোছনার মতো করে বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে সব। ক্রমেক্রমে শুনেছি মায়ের ডাক মা, বাবার ডাক বাবা। ভাষাটা শিখেছি বেশ মজবুত।
অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছি, মাটিতে রাখতো না যেন ঘুণে খাবে, পাটিতে রাখতো না যেন ব্যথা পাবে!
হাটতে হাটতে একদিন হাটা শিখেছি। শিখেছি মায়ের পরিধি ছেড়ে আত্মীয় স্বজনের পরিধির চারপাশ। অতঃপর সবার চোখের ভালোবাসার উজ্জ্বল নক্ষত্র। -
গল্পসকল শিশুর জন্যকাজী প্রিয়াংকা সিলমী
দিনের এই সময়টা কেজো মানুষেরা ক্লান্ত হয়ে যায়। আমার সে সমস্যা নেই- এ সময়টা আমার সবচেয়ে পছন্দ। চারিদিকে বেশ শান্তি শান্তি ভাব। দুপুরের খাবার পর আম্মা বিছানায় শুয়ে ভাতঘুম দিচ্ছেন, আপার অফিস থেকে ফেরত আসতে এখনও অনেক দেরী। টিউটর আসার আগে ফারাহ তার হোমওয়ার্ক দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছে -- প্রতিদিন বকা খাওয়ার পরও মেয়েটা সময়ের পড়া সময়ে করে রাখে না। মাত্র দশ বছর বয়সেই সে মহা ফাঁকিবাজ হয়ে গেছে, পড়াশুনায় মন নেই। জমিলাবুয়াও নিজ মনে নিঃশব্দে রাতের খাবারের কাটাকুটো সেরে রাখছে।
-
গল্পআমার শিশুরাজুবায়ের আল মাহমুদ
মেজ আপার ছেলেটা একটু মোটাসোটা আর গোলগাল বলিয়া তাহাকে ক্ষ্যাপাইবার যোগাড়ের অভাব নাই। বিছানায় দুইটা বালিশ থাকিলে সবাইকে তাহার পেছনদিকে ইঙ্গিত করিয়া জিজ্ঞাসা করি, “বলতো এখানে বালিশ কয়টা?”
-
গল্পজারজমোজাম্মেল কবির
ভাবতাছি বর্ষার মৌসুম, নদীতে অনেক পানি, অনেক স্রোত... ব্রীজের উপর থেইকা লাফ দিলে লাশ অনেক দূরে ভাইসা যাইবো, কেউ চিনলো না জানলো না। মাছে ঠোকরায়া খায়া ফেলবো। মাছ গুলা পেট ভইরা দুই চাইর বেলা খাইলো এইটা মন্দ কি!
-
গল্পসুখের দেখারঙ পেন্সিল
জারুল গাছের ডালে বসা একটা হলুদ প্রজাপতি দেখে পিউ কিছু একটা বলছিলো। আমি আচমকা ওকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, 'জানো পিউ,আমি একজনকে খুব ভালবাসি। খুউব।'
পিউ আমার দিকে তাকিয়ে অভিমানি সুরে বললো, 'আর আমাকে? ভালবাসনা?'
'বাসি তো। তোমাকেও ভালবাসি।' -
গল্পমহানুভবশরীফ মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান
দুলাভাইয়ের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে রনজু রফিক মাষ্টারকে একেবারে শেষ করে দেবার জন্য মজিদকে সাথে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল।
ততক্ষণে বিকেল গড়িয়ে রাতের আঁধার নেমে এসেছে ধরার বুকে।চারিদিকে ঘুটঘুটে আঁধার নেমেছে। মজিদ রনজুকে বলল,চল এখনই সময়।রফিক মাষ্টারকে হয়তো বাজারে পাওয়া যেতে পারে। -
গল্পগল্পের সেই ছেলেটিমাহমুদুল হাসান ফেরদৌস
পথে ইশানকে সে জানাই কেন সে বাচ্চা খুঁজতে যাচ্ছে। ইশান তাকে জানাই এমন বাচ্চা পাওয়াতো দুষ্কর হবে।
"পথে তো অনেক শিশু আছে যাদের বাবা মা নেই। ফুটপাতে পরে থাকে, ফুল বেঁচে চলে।"
"তা আছে, কিন্তু তারা স্বাধীনভাবে চলছে তাই আবদ্ধ জীবনে থাকতে চাইবে না।" -
গল্পপ্রিয়ন্তিনীর সেবার মশালগৌড়িচিত্রা
হাজার হাজার শিশুরা তুলোর মতন ভূষণ পরা । তাদের হাস্যোজ্বল মুখ জোছনার হাজার চাঁদের চেয়ে লাবণ্যময় দেখাচ্ছে। তাদের পেছনে এক লন্ঠনধারিণী দাড়িয়ে আছে স্ট্যাচু অফ লির্বাটির মতো ভঙ্গিমায়। চোখে তার স্বপ্ন পলাশ ফুটে আছে । চুলগুলো তার মেলে আছে শত অস্ত্রের ফলার মতো।
-
গল্পচাঁদনীমোঃ আব্দুল মুক্তাদির
একদিন নাহিদ এবং জিনিয়া নিজেদের মাঝে কথা বলছিল। নাহিদ জিনিয়াকে বলল---
-'আচ্ছা বলতো আমাদের বিয়ের কয় বছর হল?'
-'কেন! তুমি জাননা, নাকি মনে নাই?'
-'আমার তো মনে আছেই, ভাবছি তোমার মনে আছে কিনা?'
সেপ্টেম্বর ২০১৯ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।