বারেক ফিরে ফেলে আসা পায়ের চিহ্নে হাত বুলিয়ে
অনেকটা পথ একলা এসে যখন তখন থমকে দাঁড়াই ।
এখনো বিস্তৃত কালোকেশে সুনামির ঘ্রাণ
গ্রীবার কম্পনে রিখটার স্কেল হার মানে
সংগোপনে জীবাশ্ম হয়ে পড়ে রই যুগ যুগ কেন্দ্রস্থলে তোমার ৷

তোমার জন্য শোক-কান্না, তোমার জন্য হাসি!
তোমার জন্য ধন্য জীবন, তোমায় ভালবাসি!!


তুমি আমার হৃদ-পাঁজড়ে, মন-দিগন্তে আভা
বুকের ভিতর সুপ্ত গুহা, জ্বলছে প্রেমের লাভা

কবিতা যদি গান হয়ে নেমে আসতো ধরায়
চলতে পথে হটাৎ যে শব্দটা মনে গেঁথে যায়
করে দিত তাকে সুর-

আমি বিস্মৃত তোমার মোহে,
তোমার অনিমেষ চাহনির চোখে;
হাজার স্বপ্নেরা যেথা ভিড় করে অহর্নিশ।
তোমার ছুটে চলা অনন্ত পথ,
আর আমার উবে যাবয়া ছন্দের নালিশ।

এখনো কি সেই পথ দিয়ে হাঁটো,
যে পথে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম।
এখনো কি কথার তালে নিজেকে রাখো,
যে কথায় আমি মাতিয়েছিলাম।

একটি ফুল কিনতে গিয়েছিলাম,
বাজারের সব ফুল নাকি তাজা-
চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে স্বচ্ছ জল।
আকর্ষণীয় প্যাকেট আর বাহারি রঙ।
কিন্তু কি আশ্চর্য কোন সুবাস নেই।

সব জানে সন্ত ভ্যালেন্তিন – তির ভোঁতা, ভাঙ্গা ধনু
ঠুনকো লীলাখেলা – হাটের হাঁড়িতে বিকোয় প্রেমরস
হৃদয়ের ফাটল গলে ভালবাসা চম্পট দেয় চকিতে।

নীরবতা যেভাবে শব্দকে ভেঙে দেয়,
কাগজে আটকে রাখে
শতাব্দীর বর্ষীয়সী ধ্বনি,
পাহাড়ের বুনো ঝর্ণাকে তুলে ধরে
বইয়ের প্রচ্ছদে

আমি তোমায় দেখতে চাই বজ্রের এক ঝলক
আমি তোমায় ছুঁতে চাই শেষ বেলার মিষ্টি রোদ
আমি তোমায় পেতে চাই সাগরের নোনা জল
আমি তোমায় দিতে চাই ভালবাসার একটু ছল

একদিন ভ্যালেন্টাইন ডে আসবে
অতীতে আসেনি বলে আসবেনা কখনো তাতো হয় না।
অবশ্যই আসবে দিনটি সুখময় ঝর্ণাধারা হয়ে
দুরন্ত ঘোড়ার মতো দৌড়ে এসে সামনে দাঁড়াবে একদিন।