অন্ধকার বুক চিরে-
কালোরাত্রি আসে;
মানুষের আর্তনাদ
শুধু বুঝি ভাসে!

তোমার চোখে প্রথম বেলার ভুল,
নরম নাজুক নিভন্ত নীল দ্যুতি,
আমার মনে তোমার হুলুস্থুল,
তোমার মনে আমার অপ্রস্তুতি।

অনেকদিন বৃষ্টি দেখা হয় না চোখ মেলে,
বৃষ্টির কান্নার জল মাখা হয় না চোখে।
অনেকদিন তপ্ত সাদা রোদে পোড়া হয়না,
রোদেলা আমেজ মাখা হয় না সারা গায়ে।
অনেকদিন চোরা কাঁটা দেখা হয়না প্যান্টে,
তার বিরক্তিকর সুখস্পর্শে ভাসা হয়না।

তাই ,
রাত হলেই ভালোবাসা গম্ভীর হয়ে যায়
সমস্ত রাতে একলা মনে ,
কখনো চেতনার গভীরে নিশ্চুপ থেকে
কখনো প্রকাশ্যে নয়নে, পবিত্র কোমল অশ্রুর নামায় ঝরণা।

আমরা তখন কাটাকুটি করে ছিঁড়ে যাওয়া শেষ দুই কাগজের ঘুড়ি,
আমরা তখন স্বপ্নে সাজাই ছোট ঘর, ভুলভালে ভরা দুই হাজার কুড়ি।
আমরা তখন আজিজের ছাদে দেখা রমনায় নামা কুয়াশা ভোরের ভাপ,
আমরা তখন ফাল্গুনে হঠাৎ বঙ্গপোসাগরে ধেয়ে আসা প্রেমের নিম্নচাপ।

বাতাসের বিপরীতে ওড়ে পায়রার দল
এই বৈকালের মেঠো রোদে
এলোমেলো হাওয়ায়
খেলে নেয়
কিছুটা সময়

দুরন্ত মেঘ উড়েছে,পিছনে অমিত পাহাড়,
বসন্তদূত দাড়িম শাখে,মৃগ পেয়েছে কাঁচা বাদাড়।
বাদল গড়েছে রেণু,ঠুসি খুলেছে ধেনু।
পথ চলেছে মাঠের শেষে,মাঠ চলেছে বধূর দেশে।
প্রেম তল্লাশে প্রণয় ডুবেছে জলে,

এখনো কি তুমি হাসো, এখনো কি কিছুটা প্রেম আমার জন্য আঁকো;
দ্যাখো নিবিড় নক্ষত্রের সাথে চলে আমার দ্রোহের কবিতা
মাঝরাতে আমার সাথে ছলনা দেখায় পূর্ণিমা;
নীলিমারা কত রঙে সাজে, অদ্ভুত রকমে খেলে
আমিও লুকিয়ে লুকিয়ে হাসি, প্রেম কলসির গান মুখে তুলি!

“তবু কেন এই কবরস্থানে বারবার আসো?”
আমি মেয়েটির চোখে চোখ রাখি। “তোমাকে যে দেখতে ইচ্ছা করে।”
হেসে উঠে সে। “আমাকে একটা কথা দাও।”
আমি তার দিকে তাকাই। “বলো।”
“আর এখানে আসবে না।”
আমি কিছুটা সময় ভাবি। “আচ্ছা।”
“কথা দিলে তো?”
“হুম।”
“এখন যাও।”

অপেক্ষার কালো মেঘে ঢেকেছে
শুভ্রতার সবকটা আকাশ ।
ভালবাসার রংধনুতে কেটে গেছে
সাত রঙা সাতটি বছর।