দৃঢ়তা কোমলে গড়া জনকের মুখ
নীল জোছনায় ছেনে অহর্নিশ জাগে

ফুলে ফলে মুখরিত বাংলার বুক
এখানে আছে শুধু সুখ আর সুখ,

রাস্তার শিশু রাস্তায় থাকে কে তারে লক্ষ্য করে ! ঘুম পেলে

তোমার ও দুটি চোখ আকাশে মিলায়,
তুমি যেন তাকাচ্ছ সেই নিলিমায়।
কেশগুলো যেন ঘন কাল মেঘ,
বুঝতে লাগে বড় আবেগ।
চটুল চাহনি তোমার ওই দুটি নয়নে,

হৃদয় মাঝে গড়ে ওঠা
ওরে আমার পুষ্পিতা
পাইনা খুঁজে কোথাও তোরে
তুই যে আমার কল্পনা ।

গাঁয়ের কোমল ছোঁয়া
গ্রামের মেঠোপথ, সবুজ ঘাসের বন, পাখিদের মেলা

দ্বাদশ স্বরের সর্বঠাঁটে চারটি কোমল স্বর,
সাতটি শুদ্ধ একটি তীব্র সাজানো পর পর।

রাত নিজ্জুম,মন পুড়ে হয় খাক
নিশ্চল ভূধরে স্বর্গীয় প্রতিমা ঝরে
নীল জোসনায় হেটে বেড়ায় মা
আলোর কোমলতা আর নারীর কোমলতা
যেন এক সূত্রেই বাধা পরে।

তোমাকে দেখলেই মৃত্যুরা কেঁদে উঠে,
জন্মরা শুরু করে গান,
তুমি অপরূপা,তুমি অম্লান।

তোমারও সবটুকু ‘রক্ত-মাংসে-গড়া’ দীর্ঘ সিরিজের এই কষ্ট।
তবু শুধু ক্যালেন্ডারের খাপগুলোতে আমাকেই তলব কর।
আজীবন না হোক ; নাহয় ভুল করেই একরত্তি ডাকো
যেখানেই থাকি— যতদূরেই থাকি—

বক্ষে ধরে রাখিস মাগো মরণ যেদিন হবে আমার;
বক্ষে ধরে রাখিস।
যাসনে ভুলে তুই আমারে হাজার ছেলের ভীড়ে;
রাখিস মনে বাসিস ভালো দিসনে দূরে ঠেলে।

স্তুতি রত সবে মিলে-সোনার মন্দিরে-
উত্তম মন্থর অতি শান্ত তার গতি।

নৈশব্দিক কথোপকথন
মহাশয় কর্কট

তুমি তোমার জানালায়
আর

হয়ত সে রকম কিছু হবে না।
তখনো আমায় নিয়ে তুমি সুখি হবে,
সুখি হবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত নগরীর মত।

রিনিঝিনি বৃষ্টিরা ছুয়ে ছুয়ে দিবে,
অপরূপ শিহরণে চমকিত হবে,
শিউলির পাতা ছুয়ে হাওয়াগুলি এসে,
ঢলে ঢলে বয়ে যায় বাতায়ন ঘেষে।