হাজার বছর আগেই
সূর্য্য চলে গেছে পাটে
চোখ বন্ধ করে পরে আছি
যেন শতাব্দির নির্ঘুম রাত
শব্দেরাও ঘুমিয়ে গেছে
সারা দিনের ব্যস্ততায়,

আবিদ ও আবীর দুই ভাই । আবিদের বয়স বারো, আর আবীরের দশ । তারা ঢাকার একটা বেসরকারি স্কুলে পড়ে । আবিদ সপ্তম শ্রেণিতে, আবীর পঞ্চম শ্রেণিতে ।
তাদের অনেক দিনের ইচ্ছে নানার বাড়ি যাবে । তাদের নানার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় । মা-বাবাকেও একাদিকবার বলেছে তাদের মনের কথা ।

তখনো সন্ধ্যা নামেনি।অনন্ত বিশ্বলোক থেকে আলোকিত সূর্য বিদায় নিয়েছে,অথবা নেয়নি।চিরন্তন দ্বন্দ্ব।দুটোই সত্য,দুটোই মিথ্যা।
আমার আসতে একটু দেরি হয়েছে।প্রাসাদসম বাড়িতে বসে আছি অনেকক্ষণ।

সন্মান ভুলে গিয়ে আজ অপমান
আর ঘৃণা গ্রহন করেছে শুধু তোমার
কারণে | আপনজন হারিয়ে আজ
সে নি:স্ব,কেউ

জালাল সাহেবের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আফজাল সাহেব । তিনি বর্তমানে একটা এতিম খানার সুপার । তার রুমেই বসে কথা চলছিল দু’বন্ধুর মধ্যে । পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল আব্দুল । তার মতই এতিম খানার আর সব বসতি তাকে আবাল বলেই ডাকে ।

মানুষের মন বলে কথা।
মনের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। গতি প্রকৃতি বোঝার সাধ্যও নেই। মন যে কখন কাকে ভালোবাসে, কাকে ভালো লাগে, তা একমাত্র যার মন সেই জানে। যার ভাবনা সেই বলতে পারবে। হাত পা চোখ কান সব কিছুর উপর খবরদারি চলে,

পৃথিবীর তাবৎ দুঃখমালা আমার বালিশে এসে ঠাই নিল ।
জীবনের সবচে অসহায় সময় আমায় আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেধে ফেলল ।।

চাকুরি জীবনের ১০ বতসর পর বাবা মৃত্যু সজ্জায় শুয়ে শুয়ে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিবাহের কথা সামনে আনে।ত্রপা বিনীত কন্ঠে বাবার হাত খানি ধরে বলে, বাবা আমি এখন চাই তোমার সুস্থ্যতা নিয়েই শুধু আলোচনা হোক

ঈদুল আজহার আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। বড় ভাই কামাল উদ্দিনের মৃত্যুর পর জামাল উদ্দিন কোন ঈদে কোরবানি দিতে পারেনি। আজ থেকে পনের বছর পূর্বে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন কামাল উদ্দিন। জামাল উদ্দিন ভাবছে এবার নিজের পোষা গরুটা বিক্রি করে কোরবানিতে শরিক হবে।

সরু একটা গাঙ যে গাঙ সংযুক্ত করেছে পদ্মা এবং মধুমতি নদীকে, তার পাশে ছোটো একটা গ্রাম । যে গ্রামে বাস করে বেশ কিছু পরিবার । যারা আপদে বিপদে ঝগড়া করে, হাসি আনন্দে মিলেশে থাকে । আপনার হয়ত ভাবছেন ঝগড়ার কথা কেন বললাম?

সুলোচনা সমুদ্রের ধারে বসে আনমনা হয়ে ঢেউ এর পর ঢেউ দেখছে।একটানা ঢেউ দেখতে দেখতে কেমন যেন একটা নেশা হয়ে যায়। ওর গায়ের পাতলা চাদর ওর গা থেকে খুলে বালিতে লুটোচ্ছে।পড়ন্ত বিকেলের লাল আভা এসে পড়েছে স্থির মুখটায়।

জয়ী অবাক হয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল রুতীনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে । চোখদুটো জলে ভরে ওঠে । বলে - আমরা যে গরীব । দুঃখ আমাদের চির সঙ্গি ।

শাদিপুর। একটি ছোট গ্রাম। বসতি হাজার পাঁচেক। স্বাধীনতা পর শিক্ষার ছোঁয়া লাগে নি সে গ্রামটিতে। তবে আর দশ বছরের ব্যবধানে শিক্ষার কিছুটা ছোঁয়া পায়।

লোকটার বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তামান্না আমার কষ্টটা কমিয়ে দিয়েছিল। ওর স্পর্শ আমার মন থেকে কষ্টের কথা পুরোপুরি উধাও করে দিল।

সকাল থেকেই সেই
টিপ টিপ বিষ্টি
থামছেই না। বাইরে
বেরহবারও কোন উপায়
নেই। দাদুর মুখে বক্
বক্ শব্দে একটু
মনযোগ দিয়ে যে
ফেসবুক চালাব তারও
কোন উপায় নেই।