আসছে বর্ষায়,
জানি তুমি ভিজবে বৃষ্টির জলে।
এমন করে কত বর্ষা কাটিয়েছি দুজন

স্মৃতির ইথার সাঁতরে আমি
যেই পাথারেই যাই,
দুঃখের ড্রাগন আগুনমুখো
স্বপ্ন পুড়ে ছাই।

দুঃখে ভরা জীবন যাদের
কষ্টে কাটে দিন
দুঃখ নিয়ে বসবাস
দুঃখ সীমাহীন।

গত কাল রাতেও আমি স্বপ্ন নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম ?
ঘুম থেকে জাগার পর দেখি স্বপ্ন গুলার মির্তু হইছে ?
নাম অজানা কিছু স্বপ্ন আমার বুকের পিজর ভাগ্নে নিচ্ছে
আমি আর স্বপ্ন বুনতে পারছি না?

কালের সাক্ষী আজ অবোধ সময়
পলে পলে বয়,
নীলিম কোটরে থামে
নষ্ট সময়------

সত্যি বলছি..
তোমাকে ছাড়া চলছে ভালোই।

আমার এই জল শহরে এখন নোটিশ করে ঝমঝম বৃষ্টি হয়
একেবারে রুটিন মাফিক, সুবেহ সাদিকের একটু আগে থেকে;
যখন ঘুম পরীরা সব জাতের ঘুম নিয়ে একসাথে হাজির হয়,
ঠিক তখন; যখন কামরাঙার গতর বেঁয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে পড়ে
আদুরী বৃষ্টির আদর; সে আদর নিতে আমার খুউব ইচ্ছে করে!!

এ বৃষ্টির অঝোর ধারায়
মাটির একটি দলাও ভেজে না- ভেজে না-
কারণ- বৃষ্টি নাকি বেওয়ারিশ ।

নিঃশ্বাসে তোমার বেঁচে থাকার আত্মবিশ্বাস
সবুজ ক্লোরোফিল পাতায় প্রাণের শক্যতা
মেহগনী দেবদারু কিম্বা পাইন বট বৃক্ষ তুমি
কখনো আকাশ ছুঁতে চাওনা জানি
করোনা কোনও অভিযোগ আত্ম অভিলাষ।

হয়তো দেখেছি তারে আমি নির্ঘুম মাঝ রাতে
চুম্বনের গভীরে বসে ছিল প্রেমের আসন পাতে;
চুমোর অন্বেষনে, অশ্রুপাথার কূলে
আমি বাস্পহীন যাযাবর কি হয়েছে তাতে ?

রৌদ্র শালিক উড়ে এলো
জানালার কাঁচে গড়িয়ে পড়ছে ঘুম
বিদেহী রাত্রি অবশেষে সাঁতরে উঠে এসেছে ডাঙ্গায়
আমি ভাবছি , শুধু ভেবেই যাচ্ছি ...।

তুই কি শুধু আমার হবি।
তুই কি আমার দুঃখ হবি
শুষ্ক চোখে রোদন হয়ে
অশ্রূ কণা পড়বে বয়ে
চোখের জলে নাও ভাসাবি

কোথায় হারালে মা জননী,
রাত কেটে যায় তোমারই ভাবনায় দু'দিনের দুনিয়াতে,
এসেছি তোমারই অঙ্গের ছোঁয়াতে, ক্ষনিকের রঙ্গমঞ্চে সুখের নাগাল পাই না খুজে।

কাকদের কাকা রবে
ভেঙ্গে গেল মোর ঘুম
চেয়ে দেখি মা নেই, বাবা নেই
চারিদিক একদম নি:ঝুম ।

ভালোবাসা আকাশের শুভ্র মেঘ, তুলার মত ।
ভালোবেসে আপনি আকাশ হতে পারেন,
হতে পারেন শুভ্র মেঘ