অনাহারে কেটে যাবে এই দিন-রাত,
কোনোদিন কারো কাছে পাতবোনা হাত ।
অসুখে পড়ে মরবো আমি ধুঁকে ধুঁকে,
পড়বোনা কোনোদিন ভুলে কারো চোখে ।

এইতো সেদিন ঘুরে এলাম
দু:খ নদীর পাড় ,
সুখের পাখি নিখোঁজ সেথা
দু:খের সমাহার ।

চেনাঠোটের নির্লিপ্ত হাসি ,
বীতশোক মুখে সময়ের বৈভব
ভেসে এল মুহুর্তে

একদিন,- বহুদিন পরে, এলো ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে,
পাড়া পড়শী ভেঙে আসে,কত দিন পরে দেখা হে-
সে কবে গেছো, গিয়েই ছিলে আমাদের যেন ভুলে,

হে আমার কষ্টে থাকা দুঃখের জীবন
ব্যথা আর বেদনাতেই ভরেছ এ মন,
সেইসাথে করেছো আমার আনন্দ হরণ।

একাকী পথে দেখিব না আর পথিকের পথচলা,
রাতের মাঝে হারিয়ে যাওয়া মিটিমিটি তারা জ্বলা।
গৌধুলীর আলোয় রাঙাবে না মন প্রকৃতির নীরবতায়,
পুষ্পিত হবে না সেই পুষ্প জীবনের সজীবতায়।

বিসন্ন গোঁধুলী বিসন্নই থেকে যায় দিন শেষে ...
কেউ তার খোঁজ রাখেনা...
নিখোঁজ পাখির সাথে ; সে ও আজ
ওপার আকাশে.. নিখোঁজ হতে চায়...

সে তো বুঝেনি ভালবাসা মোর
নিলতো দিলনা, তার অন্তর।
হারাল নিরবে ছলনা করে
বুকে বইয়ে বেদনার ঝড়।

ওরে পাখি পাখি রে
খাঁচা ছেড়ে যাবি রে তুই
পাঁজরও ভেঙে।

আনমনে দাঁড়িয়েছিলাম সেদিন ধূলিউড়া পথটির বাঁকে
স্তব্ধ আমি, মানুষের আনাগোনা দেখার ছলে ভাবছি ফাঁকে।
ভাবনারা সীমা ছাড়িয়ে গেছে, আমাতে যেনো ছিলাম না আমি
বেশ কিছুক্ষণ একাকিত্বের এ প্রহরে হয়তো এসে থামি।

তুমি কি আমার, গুমরে মরা আর্তনাদ শুনতে পাওনা মা?
খসে পড়ে যাবে যে নক্ষত্রটি অচিরেই
যার আগমনে উচ্ছ্বাসিত হবেনা এই জনপদ
আজ তাকে বিদায় দেয়ার জন্য, কত আয়োজন!

বেঁচে থাকা মৃত্যুর চেয়ে কষ্টকর,
এইটুকু বুঝেছি, এই আমি এতোদিন পর ।
এ জীবন যতোখানি সুখ,যতো স্বপ্নময়,
অবাক আশ্চর্য্য ততোখানি,ততো বিস্ময় ।

মনের মাঝে করছে বিরাজ
এক ভাসমান জলছবি
দুঃখে ঘেরা এক অজানা পরীর
জীবনী আকছেন এক তরুন শিল্পী।

চলো আজ সুখের গল্প বলি
দুঃখ গুলো থাকনা তোলা আজ
চলো আজ অন্য পথে চলি
তুমি রানি আমি মহারাজ।

দুঃখ যদি কেনাবেচা হতো
তবে আমার অভাব থাকে অতো ?
কতো টাকা পেতাম
আয়েশ করে খেতাম !