ছেলেঃ তোমায় আমি অনেক ভালোবাসি
মেয়েঃ সব ছেলেরাই অমন কথা বলে
নতুন কিছু বল।
ছেলেঃ মিথ্যেতো নয়
প্রমান দিতে পারি,
মেয়েঃ দাওতো প্রমান
ফেল্টূ হলে মারবো মাথায় বাড়ি।

প্রোফাইল পিকচারে আটকে গেছে চোখ...
সেই কবে থেকেই...।
ইতস্তত আঙুলে দ্বিধা মাখা সন্তর্পণ রিকোয়েস্ট
দেয়ালের আগেই মুহুর্মুহু নোটিফিকেশন মনে মনেই
অজান্তেই ট্যাগ হাজার ভালোবাসার ছবি ...।

কেন এত ভালোবাস কেন এত অধীর থাকো উদাসিনী
কেন জোনাকীর সাথে রাত জাগো ষষ্ঠদশী বালিকা ?
শরতের আকাশের মতো হাসো কাঁদো ইচ্ছে মতো বাজাও বাঁশি
রাতের আঁধারে, নেট পাড়ায় ষাটউর্ধ্ব বালকে চুপিচুপি ডেকে ডেকে
মুখের ফেনা আঁচল তলে মুছবে কত ?

হাতে লেখা কালো অক্ষরে
হলুদ খামের চিঠি আসেনা এখন,
সময়ের পালে বদলে গেছে
ভালবাসা প্রকাশের ধরণ।

গল্পটার কাহিনী যাই হোক না | গল্পটার সারাংশ যাই থাক না | গল্পকারের ফাঁদ মস্তিষ্কের তারিফ না করে পারছি না | গল্পের প্রধান চরিত্র ছিল নর্তকী |

কী আশ্চার্য!
রোবট দেখেই তুমি ছুটে এলে,
ঠিক ইভের মতো জড়িয়ে ধরলে আমায়,
পড়ে রইল আইফোন,ল্যাপটপ-
পড়ে রইল আইপড,ট্যাবলেট, আইপ্যাড...

ভালবাসা আজ কাল
হয়ে গেছে ডিজিটাল
নতুন প্রজন্ম
হয়ে গেছে বেসামাল।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা মনে বিশ্বাস আশা যত,
ইতিহাস আজ সব ডিজিটাল কালে।
প্রেম যে এযুগে শরৎ মেঘের মত,
নানান রঙ্গেতে সাজে দ্রুত তালে।

তোমাকে আমি ভালবাসি
এ কথা যদি পাশের বাড়ীর
আন্টি না জানে , তাহলে
এ ভালবাসার কোন মানে হয় না ।

ডিজিটাল ভালোবাসা
বুকে নিয়ে শত আশা
শুরুতেই বাঁধে বাসা
শেষটা যে হতাশা!

পার্কের ঝুপটিতে
হোটেলের খোপটিতে
কাপলের লুটোপুটি
তারপর ছাটাছাটি।

হঠাৎ একটা মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হলো,
বারে বারে তার সাথে শুধু কথা বলতে বেশি ভালো লাগতো।
স্কাইপে যখন কথা বলি রাত্রে মেয়েটার সঙ্গে,
আপুর হাতে ধরা পড়লাম বলে কি কথা ঐ মেয়েটার সাথে।

একটি চিঠি মিলতো তখন দিন-সপ্তাহ-মাস ঘুরে,
প্রত্যুত্তর আসবে কবে ভাবতে হতো প্রতি ভোরে।
নানা সুখ দুঃখের 'পরে
হয়ত চক্ষু অশ্রুতে ভরে!

তুমি যেন নীল আকাশের চাঁদনী
আর আমি-
ফাগুনের নিঃশব্দে ঝরা পাতা।
তোমার আমার ইতিহাস তাই
ভবিষ্যতের স্বপ্নে গাঁথা।

ভালবাসা নাহি আসে চাকচিক্য দেখে,
অনুভবের দোলনায় এসে যায় মনের রং টি মেখে ।
ভালবেসেছিলাম , তুমি সপ্ন দেখিয়ে ছিলে
তবে কেন আজ ছেড়ে চলে গেলে।

ক্লান্ত ফুলে শিশির তখন দু’এক ফোঁটা।
রাই কিশোরী এই বেলাতেও আদরে আঁকা।
একটু পরেই