আমার বিয়ে হয়েছিলো মাঘ মাসের উনিশ তারিখে, সেদিন আমি প্রতিদিনের মতই স্কুলে গিয়েছিলাম ক্লাস নিতে, পড়াশোনা ইন্টারের পর আর হয়নি,

এইটা কী বলতে পারিস ?
কোনটা ?
তোর হাতে যেটা !
ধুর ! ঐ যে গাছের ডগায় ঝুলছে, ইঁদুরের মত ঐটা !
তিব্বত নাক কুচকে বললো,- ও, ওটা বামন চিকা ।

এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে শুধু মৃত্যু বরণ করলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না

সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে আটটা এইসময়টুকু যে কিভাবে কেটে যায় লাবনী বুঝতে পারেনা।রাতে সে অনেক কাজ গুছিয়ে রাখে তারপরেও দেখা যায় সকালবেলায় হুড়োহুড়ি পরে যায়।

অনেকদিন ধরেই মনটা ভীষন খারাপ থাকায় কোন কাজেই ভালো করে মন বসছিল না। এভাবে মন খারাপ রেখেতো আর জীবন চলতে পারেনা, তাই ভাবতে বসে গেলাম কিভাবে বিষন্ন মন পাখিটার আদর যত্ন নেয়া যায়।

তুমি কি সত্যিই আসবে !
বয়স হচ্ছে -ধৈর্য্যও কমে যাচ্ছে ,
আমি আর আগের মতো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না ঠিক ই
তবুও হাতে একটা লাঠি নিয়ে চলে আসি রেলষ্টেশনে ।

লাইটগুলো একে একে আলো হারিয়ে ফেলতে লাগল। মনে হল সেগুলোতে রেগুলেটর যুক্ত। আর কেউ একজন তা ঘুরিয়ে আলো কমিয়ে ফেলছে।

আমার পছন্দের একটা চিকন কাঁচা রাস্তা আছে।প্রায় এই রাস্তায় আমি হাঁটি।রাস্তার ধুলোবালিতে নিজের পা ডুবিয়ে হাটতে ভাল লাগে।দু পাশে রয়েছে সারি সারি গাছ।গাছের ডালে লুকিয়ে থাকা চড়ই পাখির ঝাক।কিচির মিচির সবসময় করেই চলেছে।ভাল লাগে শুনতে।পাখি দের সাথে কথা বলতে পারলে ভাল হত।

অলিগলি ঘুরতে-ঘুরতে এক জায়গায় জমাট পাথর। কতদিন পাখির ঝরে-পড়া পালক গুনেছি।

ছেলেটা ছায়ার মতো , ধরতে চাইলেও ধরা যায় না। তবু সব সময় আমার কাছাকাছি থাকে ।
রবিন পলাদের মাঠে যখন আমি বরফ পানি খেলতাম , ছেলেটা আমাকে দূর থেকে দেখতো।