১২ অগাস্ট ২০০৯ সালের ছোট্ট একটা স্মৃতি। সেদিন সন্ধ্যার আকাশে কখনো লাল মেঘের বিচরণ মনটাকে উৎফুল্ল করে তোলে , কৌতূহলী চাঁদনী তখনও ঘুমের রাজ্য থেকে জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে।

বাবা-মার একমাত্র সন্তান সকাল। বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় কয়েক বছর পর ইতি টানবে পড়া লেখার

খুব ভোরে মা বিছানা ছাড়লে আমিও তার পিছু যেতাম ।বাকি ভাইবোনরা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। মা ঢুকতেন সবজি বাগানে আর আমি সাথের শুকিয়ে যাওয়া পুকুর পাড়ে।

"সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল..."

একটা দুর্ঘটনা কিন্তু কতোগুলো মানুষের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে আজ। সুমনের আত্মা হয়তো দূর দেখে দেখে কাঁদছে আর হয়তো ঘৃণায় ধিক্কার দিচ্ছে।

উত্তরপাড়ার মণ্ডল বাড়ি আজ অনেকদিন যাবত শোকের কালো ছায়ায় আচ্ছাদিত। এই পরিবারের ছেলে মুহিত মণ্ডলকে প্রায় দশ-বারো দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

দিমা বেশ কিছুক্ষণ আগে খালার রুমে এসেছে, কিন্তু জেসমিন ভাগ্নীর উপস্থিতি খেয়াল করেনি। সে এই মুহূর্তে ফোনে কথা বলাবলিতে ভীষণভাবে মগ্ন।

পৃথিবীর বুকে কুলা
ময়দান। তাদের মাথার
উপরে চাঁদ হাজার
হাজার তাঁরা জ্বলছে।

বিড়াল কিন্তু সাগরের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে একদিন ডাঙায় এসে পৌঁছাল । দিন দশেকের আনাহারে মৃতপ্রায় অবস্থা । এই কদিনে সে যত কষ্ট পেয়েছে ততই বেড়েছে ইঁদুরের প্রতি তার রাগ আর ঘৃণা ।

সেই মরা মুখ, আর ভালো লাগে না, নিজেই ক্ষেপে ওঠে, কিন্তু একজন মোছাদ্দেক কামলা কি বা করতে পারে ?

আমার যে কী হল! আমি হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলাম। বাবার গায়ের গন্ধটা এসে আমার নাকে লাগলো। মনে হল বাবা আমার আশে পাশেই আছে। খুব বড় করে সেই গন্ধটা নিঃশ্বাস ভরে নিতে চাইলাম...। নিঃশ্বাস নিতে পারলেও আর ছাড়তে পারিনি...। বাবাকে কষ্ট দেবার সাঁজা হয়েছে আমার...!

ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে আবার ছোড়দাকে ফিসফিসিয়ে বললাম- "বল তো, পরগাছা কাকে বলে?" ও বলল-"যে আমার মা-বাবার বাড়িতে থাকে, আমাদের দেওয়া পোশাক পড়ে অথচ আমাদের না দিয়ে একা একা রোজার খাবার খায়, একাই ভালো রেসাল্ট করে, তাকে পরগাছা বলে।" শেষে ফেরার পথে আমরা তিনজনে বুদ্ধি করলাম আফিয়াকে আচ্ছা করে জব্দ করব।

দেবীর
পায়ে এসে পড়ল।
সম্বিত ফিরে তাকিয়ে দেখলেন আশে-পাশের গাঁয়ের
ষাটোর্ধ কাকলী দেবী। কাঁচা-পাঁকা চুল আর ময়লা
বসনে অনেকটা উন্মাদের মতন মনে হচ্ছিলো। হাস-পাশ
করে পা জড়িয়ে
কী যেন বলতে চাইছে।
চোখেমুখে সব

ঘৃনা আর আক্রোশের পথ থেকে দুরে-----, বহুদূরে আমি নিজেকে নিয়ে যেতে চাই এক অনন্য উচ্চতায় । তোমার সাথে এখনো যেমন আছি , তখনো এরকমই থাকবো । মাঝখানে শুধু নিজেকে বারবার পরিশুদ্ধ করবার চেষ্টা করব ।

এতদিন এ বিষয়টা কেবল রাজীবই জানতো । অন্য কেউ নয় । কিন্তু এখন আর তা হবার নয় । এবার নির্ঘাত ধরা খেয়েছে সে চামেলী নামের টগবগে মেয়েটির সূক্ষ্ম বুদ্ধির জ্বালে।