পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে
স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে
ড্রয়িংরুমে রাখা বাকসোতে বন্দী!

মানুষের শরীর তার নিজ দায়িত্বে ব্যাকটিরিয়া ভাইরাস আর কঠিন সব জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে অবিরাম। মানুষের মন লোভ লালসার কাছে পরাজিত হয় অনবরত। সাদা মনে লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত শক্তির যোগান থাকে।

এতদিন এ বিষয়টা কেবল রাজীবই জানতো । অন্য কেউ নয় । কিন্তু এখন আর তা হবার নয় । এবার নির্ঘাত ধরা খেয়েছে সে চামেলী নামের টগবগে মেয়েটির সূক্ষ্ম বুদ্ধির জ্বালে।

শিশুটিকে নিয়ে ফেরার পথে শিক্ষক যেন তার বারুদের কিছুটা ফুলকি আঁচ করলেন। তার থেকে কিঞ্চিৎ কম বয়সী অন্য একটি মেয়েকে দেখে বলল,“ কি হে তারা , তুই তো হিন্দুরে, হিন্দু গলি ছেড়ে আজও আবার গীর্জায় এলি!” মেয়েটির কাঁদো কাঁদো উত্তর,“ কাউকে বলিস নারে, মাত্র তিনবার যীশু নাম করে বাইরে এসে রাম রাম করেছি। দেখ, তিনটা বিস্কুট একটা সন্দেশ।” শিশুটি তার হাত মেলে ধরল। “ তা অনেক পেলি। রাম রাম ডাকলে তো কিছুই দেয় না।”

তিনদিন টানা বৃষ্টির পর আজকের রোদ বড় কাঙ্ক্ষিত, ভালোবাসার। নিজের গুরুত্ব বোঝাতে রোদও যেন.........

হ্যালো বলতেই রুবাবা বলল, “ তোমরা সবাই খারাপ, সবাই আমাকে ঠকায়। সিন্ডি খুব খারাপ, আমি বাথরুমে গেছি, আমাকে না নিয়ে সিন্ডি চলে গেছে। আমি আর কোনদিন সিন্ডির সাথে কথা বলবোনা। তুমি কি একটু আসবে আমাকে নিয়ে যেতে? আমি আর কখনও তোমাকে “ আই হেট ইউ’ বলবোনা, তুমি আসো, আমাকে নিয়ে যাও। আমার আজকেও মাথা গরম হয়েছে, তবুও ব্লেড দিয়ে হাত কাটিনি। আমি আর হাত কাটবোনা, তুমি আসো।

খুব ভোরে মা বিছানা ছাড়লে আমিও তার পিছু যেতাম ।বাকি ভাইবোনরা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। মা ঢুকতেন সবজি বাগানে আর আমি সাথের শুকিয়ে যাওয়া পুকুর পাড়ে।

বৃষ্টির দিনে যেমন হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় দেনা পাওনা
আমি তেমনি আনকোড়া অলস দোকানির মত হিসেব চুকিয়েছি।
কোথা থেকে শুরু করবো।

আজিজের কবরে রেডক্রসের একটি কাগজের ফলকে লেখা “ Anonymous Baby rescued from mount shinjar.He was 4 years old”.

স্যান্ডেল ছিড়ে গেছে। রাস্তার শতশত অপরিচিত মানুষের মাঝে স্যান্ডেল হাতে নিয়ে হাঁটতে লজ্জা পাচ্ছি।
ছেড়া স্যান্ডেল পড়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটছি আর সামনে দিয়ে হেটে আসা মানুষগুলোর চোখে চোখ রেখে দেখার চেষ্টা করছি, তারা আমার ছেড়া স্যান্ডেল লক্ষ্য করছে কিনা।

একটা দুর্ঘটনা কিন্তু কতোগুলো মানুষের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে আজ। সুমনের আত্মা হয়তো দূর দেখে দেখে কাঁদছে আর হয়তো ঘৃণায় ধিক্কার দিচ্ছে।

পায়ের সাথে ধাক্কা লেগে গয়নার ব্যাগ নালায় টইটম্বুর। সখিনার এক পা ক্ষেতের আলে অন্যটা নালার জলে। ওদের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে ঠাণ্ডা হাওয়া।
‘লক্ষ্মী সোনা, আমার সাথে সাথে বলো—আর কোনও দিন অনুরোধ করব না।’

সেই মরা মুখ, আর ভালো লাগে না, নিজেই ক্ষেপে ওঠে, কিন্তু একজন মোছাদ্দেক কামলা কি বা করতে পারে ?

একটা ছায়া ক্লান্ত হয়ে অপর ছায়ার উপর থেকে নেমে আসে। বাউরি বাতাসে উষ্ণতা পাক খেতে খেতে ঘন হয়... শ্রান্তিতে ভেঙ্গে পড়ে সঙ্গিনীর ........

জামান মেডিকেল সেন্টার। প্রতিদিন অনেক রোগী আসে চিকিৎসার জন্য। গর্ভবতী মহিলাই বেশি। দিনের বেশিরভাগ সময় মুখরিত থাকে নবজাতকের কান্নার সুরে।