দেবীর
পায়ে এসে পড়ল।
সম্বিত ফিরে তাকিয়ে দেখলেন আশে-পাশের গাঁয়ের
ষাটোর্ধ কাকলী দেবী। কাঁচা-পাঁকা চুল আর ময়লা
বসনে অনেকটা উন্মাদের মতন মনে হচ্ছিলো। হাস-পাশ
করে পা জড়িয়ে
কী যেন বলতে চাইছে।
চোখেমুখে সব

আমি এক সর্বময়ী শক্তিধর রাজা ,
কিন্তু আমি এগোতে পারি মাত্র একঘর ,
আমার শক্তি কিছু নেই আমায় পঙ্গু করে
রেখেছে।

রাত্রি দ্বি প্রহর। বিছানায় শুয়ে যন্ত্রনায় ছটফট করছে তিষা। পুরো নাম রেজওয়ানা আক্তার তিষা। শিয়রের পাশে বসা মা জুবেদা খাতুন। তিষা গত দুই মাস ধরে মরন ব্যধি রোগ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে। সর্ব শেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিও থেরাপি বিভাগে চিকিৎসার পর তাকে ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। তিষার শরীর শুকিয়ে কংকালসার হয়ে গেছে, মাথার চুল গুলো সব পড়ে গেছে। মা গামছা ভিজিয়ে বার বার মেয়ের শরীর মুছে দিচ্ছেন। মায়ের দুচোখ দিয়ে অনবরত ফোটা ফোটা হয়ে পানি পড়ছে আর তিনি শাড়ীর আঁচল দিয়ে কিছুক্ষন পর পর নিজের চোখ দু’টি মুছে নিচ্ছেন।

চোখ খুলতেই একমুঠো অন্ধকারে চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো। আমি সচরাচর চোখ খুলি না। এই বিদঘুটে অনুভুতির প্রতি অগাধ ঘৃণা থেকেই হয়তো এই মহান সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।
কি জানি? কে ই বা জানে?

অন্ধকারে থাকতে আমার ভয় লাগে।খুব মনে পড়ে ছোট বেলায় অন্ধকারে কেমন জড়সড় হয়ে যেতাম, চিৎকার করে উঠতাম।আব্বু

অন্যমনস্ক হয়ে চুলায় বসানো গরম কেটলীতে হাত দিয়ে চমকে উঠলো তিতির। ওঘর থেকে সবার তুমুল আড্ডা কানে আসছে,

উত্তরপাড়ার মণ্ডল বাড়ি আজ অনেকদিন যাবত শোকের কালো ছায়ায় আচ্ছাদিত। এই পরিবারের ছেলে মুহিত মণ্ডলকে প্রায় দশ-বারো দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বিড়াল কিন্তু সাগরের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে একদিন ডাঙায় এসে পৌঁছাল । দিন দশেকের আনাহারে মৃতপ্রায় অবস্থা । এই কদিনে সে যত কষ্ট পেয়েছে ততই বেড়েছে ইঁদুরের প্রতি তার রাগ আর ঘৃণা ।

ঘৃনা আর আক্রোশের পথ থেকে দুরে-----, বহুদূরে আমি নিজেকে নিয়ে যেতে চাই এক অনন্য উচ্চতায় । তোমার সাথে এখনো যেমন আছি , তখনো এরকমই থাকবো । মাঝখানে শুধু নিজেকে বারবার পরিশুদ্ধ করবার চেষ্টা করব ।

তিনদিন টানা বৃষ্টির পর আজকের রোদ বড় কাঙ্ক্ষিত, ভালোবাসার। নিজের গুরুত্ব বোঝাতে রোদও যেন.........

হঠাৎ করেই
তুমি পাল্টে গেলে আবার।
তাই আরেও একবার,
বদলে গেলো আমার আকাশের রং!!!

এই শহর নাকি সবার জন্য গর্ব নিয়ে বেঁচে থাকার ঠিকানা।
তবে সত্যি বলছি; আমার কিন্তু শহর মোটেই ভালো লাগেনা।
এই শহরের বুকে প্রেম নেই।
এই শহর কেবল কাজের বিনিময়ে আশ্রয় দেয়,
আর বাঁচার জন্য খাদ্য দিয়ে
মানুষকে হালের বলদের মত কিনে নেয়।
মানুষগুলো বলদই'তো!

আমি তখন নটরডেম কলেজের ছাত্র। দেশের সেরা কলেজগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে খ্যাত। দেশের সেরা সেরা ছাত্রদের মাঝে নিজেকে কখনো কখনো ভীষণ অসহায় মনে হতো।

যে ভালোবাসা থেকে অসাম্যের প্রবল প্রাচীর ভেঙে যাবে। সবাই বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার পাবে। শেষরাতে আভা পৃথিবীকে জাগিয়ে তুলছে। সুগন্ধি ফুলের বুকে ভ্রমরগুলো গুণগুণ করে গান গাইছে।

ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে আবার ছোড়দাকে ফিসফিসিয়ে বললাম- "বল তো, পরগাছা কাকে বলে?" ও বলল-"যে আমার মা-বাবার বাড়িতে থাকে, আমাদের দেওয়া পোশাক পড়ে অথচ আমাদের না দিয়ে একা একা রোজার খাবার খায়, একাই ভালো রেসাল্ট করে, তাকে পরগাছা বলে।" শেষে ফেরার পথে আমরা তিনজনে বুদ্ধি করলাম আফিয়াকে আচ্ছা করে জব্দ করব।