বলিনি আমার বিষাদ ছোঁও, বলিনি কষ্ট দেখো
শিউলী ফুলের ম্রিয়মাণ বিষণ্ণ ঘ্রাণ তোমাকে ঘিরেই ছিল
তুমি বরষার কুহেলী মেদুর সুর চেনোনি
কোনদিন তাই ছুঁয়ে দিতে পারোনি ছেলেমানুষি অভিমান।

আমায় এক শিশি বিষ দেবে তোমরা? নির্মল বিষ!
অনেক যত্ন করেই নিমগ্ন হতে চাই সেই বিষের নীলে
শরীরের রোদের ঝিলিক মিশে গেছে কবে কোন অপরাহ্নে!
সফেদ জীবনের লেনদেন উহ্য করেই
বিভোর হয়ে থাকি কবিতার খাতায়; যেখানে বিস্তৃত আমার পৃথিবী
আমি ভাঙ্গি, আমিই গড়ি!

ছিটকে পড়া কোনো এক উল্কা পিন্ডর মতো
বিক্ষুদ্ধ লাভা থেকে আমার জন্ম
দীর্ঘকাল সুপ্ত ছিলাম মৃত্তিকা মায়ায়

আমার ভালোবাসা তোমার জন্য
তুমি যতই কর ঘৃণা
জীবন আমার অপূর্ণ
প্রিয়া ওগো তুমি হীনা।

ভালোবাসার পোশাকে মোড়ানো ঘৃণার সঙ্গেই তো
প্রতিনিয়ত তোমার পূর্ণ আকাঙ্খিত সহবাস।

আমি শূন্যতাই ঘুরি আর তোমার মন মজুত,
আমার অন্তরে ভ্রান্তির সমাহার অযুত।
কাঠ পেন্সিল দিয়ে মুছে ফেলতে চায়,
ছোট্ট বেলার পাঠশালার শিশুদের ন্যায়।

পারছি না আর একটুও পারছি না
কতদিন কতকাল করব সহ্য
সহ্যেরও একটা সীমা থাকে
সইতে সইতে এখন অধৈর্য্য।

মানবতা আজ লুকিয়ে কোথায়
জানার যে খুব ইচ্ছে করে,
মানুষ হয়ে মানুষকে তারা
কিভাবে আজ হত্যা করে?

চলে গেছ তুমি।।
মানুষ চলে যেতে যেতে একবার হলেও ফিরে তাকায়
নস্টালজিয়ায়
তুমি তা-ও করলে না।

মুহুর্তগুলো কাটছে তো বেশ
পদ্মপাতার মত,
বিষন্নতা থেকেই গেল
হলাম আশাহত।

বলতে তখন জীবন হচ্ছে মধু চাকের মৌ
একটা জীবন চোখের জলে
কাটিয়ে দিয়ে কৌতুহলে
এখন বলো জীবন মানে ঘৃনায় চলা ঢেউ

অনুরোধ রাজন, যদি পার
স্বর্গলোক থেকে একবার তাকাও
দৃষ্টি দাও পৃথিবীর সকল পিচাশদের দিকে
ঘৃনার এক দলকা থুথু ছুরে দাও
ঝড় হয়ে উড়ে আসুক
সুনামি হয়ে ধেয়ে আসুক
উর্মীমালা হয়ে ঠেউ তুলুক
তোমার সেই ঘৃনারাশি,

আমাদের জতুগৃহে আজো জড়াজড়ি বাস করে
ঘৃণা আর ভালোবাসা,
তৈরি হয় মিঠে-কড়া অষ্টব্যঞ্জন।
তুমি আমি নিমিত্ত কেবল...

আর এখন.....
মৃত্যুই আমার সব থেকে কাছের বন্ধু।
মৃত্যুর সাথে আমার গলায় গলায় ভাব।
রাতে এখন আর একা একা ঘুমাতে ভয় লাগে না;
বরং অনেক ভালো লাগে।
চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় আমি আমার সবথেকে প্রিয় জায়গা,
আমার কবরের ভেতরে।
আর আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে আমার সবথেকে কাছের বন্ধু,
মৃত্যু.....

একের সাথে অন্যে মিলে
শক্তি গড়ি,
হাতদুটোকে শক্ত করে
বাঁচি মরি ।