ছোট্ট খোকার মনের মাঝে
প্রশ্ন আসে কত!
কে সাজালো রাতের আকাশ
তারার মেলায় শত?

আমার ভেতরটা আজ তুলে দিলাম তোমার হাতে
কি দেখছো তুমি নেড়েচেড়ে? - ওই যে কালো আবছায়া
ওটা হলো আমার কষ্ট, তুমি বুঝতে পারছো
ওটা আমার একান্তই আমার গোপন কষ্ট!

এখন কষ্ট,
কোয়াশার ভারে নুয়ে পড়া
সবুজ ঘাসের কষ্ট!
শীত-সকালে সূর্যতাপে
ভেজা ঘাস আর বৃক্ষরাজির-
শুকিয়ে যাবার কষ্ট,

জানো,
আকাশটাও খুব করে কাঁদে,
একবার শরতের নীল মেঘকে সে ভালোবেসেছিল-
কিন্তু সাদা মেঘের সাথে সে (নীল মেঘ) উড়ে যায়!
মেঘ দেখলেই তাই সে কাঁদে,

আমার হাতে বিষাদের কলম
সামনে তবুও সাদা কাগজের স্তুপ
আঙ্গুলের ফাঁকে সিগারেট জ্বলে
পুড়ে হয় শেষ, তবুও
কষ্টতো হয় না শেষ!

হে ভাস্কর?
তোমাকে বানাতে হবে এক প্রতীক শিল্প
আড়াআড়ি পায়ে পৃথিবীর তাবৎ কারুময় শব্দে
গাঁথা সোনার কাব্য শেকল।

নিষ্ঠুর নিরবিনি সহিবে না প্রাণ,
তবু নীরবে করিতে হবে যেন সব দান I
সহিবেনা ব্যাথা কোন কারণে,
ভাবিয়া পেলাম কি তবু জীবনে I

"হে বিষাদ, তোমার স্বনে আছেগো কথা;
থামোনা খানিক সময়, কেন এ ব্যাস্ততা?
এতটুকো হিয়া তোমাতে কি নাই গাঁথা?
সুখ-কাননে কেমনে আনো বিষ-বর্তা?

সেই তুমি মা, আজ তুমি মা
মেলাতে পারি না দুই কাল দুই সময়।
তুমি যদি সেই মা হতে আজ
চোখের জ্বালায় গোপনে যেতে হতো না।

গণিতে তাঁর প্রখর জ্ঞান , লেখনিতে ক্ষুরধার -
জ্ঞানের ভান্ডারে পরিপূর্ন আমাদের " মোহিত স্যার " ।
গ্রামের স্কুলের গর্ব তিনি , গর্বিত গ্রামবাসী ,
ছাত্র বানাবার কারিগর তিনি , এটা বুঝেছে গ্রামবাসী ।
আজ তাঁর বহু ছাত্র দেশে - বিদেশে ,
প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত নিজ - নিজ ক্ষেত্রে ।

"মা কিছু দিবে? খাবো"।
পরক্ষণেই যখন মায়ের চোখে অসয়হাত্বের ছাপ দেখতে পাই, তখন আমাকে জিজ্ঞেস কোরো ক্ষুধার জ্বালা কি?

কষ্ট নামক মাটি দিয়ে
সৃষ্টি আমার দেহ
অভাব নামক গন্ধে আমার
পাশে নাইতো কেহ।

আমার আশার কলিরা হতেছে নষ্ট
মনের কোনায় দহন করে সে কষ্ট
এখন ও কথা বলছে চাই যে স্পষ্ট
তুমিই কেবল নেভানোর জল তার।

তুমি আমার হঠাৎ পাওয়া সুখ
তাই বুঝি যেমন এসেছিলে তেমনি হারিয়ে গেলে ,
আমার জীবনে নেই কোন দুঃখ আর
তোমার স্মৃতিগুলোই এখন সুখ আমার ;

রাতের কষ্ঠ,
অমাবস্যা ভেদ করে পূর্ণ চাঁদ
আর্তনাদে নিষ্ঠুর হওয়া নিয়তি
আস্তিন থেকে বের হওয়া নবজাতক
কামনার সাক্ষাতে অমোঘ সৌন্দর্যলোকের কষ্ঠ।