আমি যেদিন যাবো মারা,
সেদিন সবাই হবে দিশেহারা ।
কেউ হাসবে,কেউ কাঁদবে এইতো বিধির খেলা,
মেলা,বসবে আমার মরন মেলা ।

মন-মস্তিষ্ক-স্নায়ুতে,ইচ্ছা-স্বপ্ন-সাধনার বসবাস,
অব্যক্ত ভাষা প্রায়ই,মনের নদীতেই ভাসতে থাকে,
হায়রে জোয়ার কবে আসবি তুই?
ভালোবাসার এতো মায়াজাল ছড়ানো,দিবা রাত্রির প্রাণে,

সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে বসে থাকি জানালায়
মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে ঐ চাঁদ ডাকে ইশারায়-
"কীরে মণি আসবি কাছে? উড়ে যাবি আমার সাথে।
মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে জ্যোৎস্না মাখি চল দুজন মিলে

অবিলুপ্ত প্রেম আমায় আড়মোড়া করে বেঁধে ফেলে
পেরেক ঠুকে দেয় আলোর দরজায়
কেউ একজন এক সিরিঞ্জ ঘুম নিয়ে অসাবধানে এগোয় পায় পায়
আমি অন্ধকার অথবা তোমায় দেখতে পাচ্ছি সমান্তরালে!

এই, দেখতে পাচ্ছো?
এটা কিন্তু আমি!
আজ ঘরে ফিরবো না,
সন্ধ্যাটা বড়ো দামী।

সমুদ্রের তীর ঘেষে হেটে হেটে
উচু উচু আছড়ে পড়া ঢেউ গুনে
ক্লান্ত হয়ে গেছি – আমি ক্লান্ত
শ্রান্ত আমি নেয়ে সারা লোনা জলে ।

জয়না‌লের কিছু স্বপ্ন ছি‌লো,‌কিছু স্বপ্ন ছি‌লো
সব ই তার আজীবন সাদাকা‌লো ই র‌য়ে গে‌লো
‌সে তো আর কখ‌নো কখ‌নোই পূরণ না ই হ‌লো
সবকিছু তার অধরা,না পাওয়াই থে‌কে গে‌লো।

আমি জানি, এত ভোরের কুয়াশা ঠেলে কেন তুমি ব্যস্ত শহরের রাস্তায় দাড়িয়ে থাক।
আমি জানি, তোমার শরীরের উষ্ণতা কেন চকলেটের মত জমা করে রাখ।
আমি জানি, কত স্বপ্নময় রাতে তোমার চোখের পাতা শান্ত হয় আমার আঙ্গুলের স্পর্শে।

দিকে-দিকে হিসার আগুন জ্বলছে,
শান্তির খুঁজে মানুষ তাইত ঘুরছে।
ঘুরে-ঘুরে ক্লান্ত দেহ, বিষন্ন হৃদয়,
কেহ তবু নাহি হয় একটু সদয়।

অস্থির শহরের ব্যস্ততায় কদাকার জ্যাম,
নষ্ট সময়ের খেরোখাতায় আঁচড় কাটে বিরক্তির নখরে।
সারি বেঁধে বাড়ে যন্ত্রের জট,
ঘর্মাক্ত শরীরে লেপ্টে থাকে ক্ষোভের প্রলেপ।

রোদেলা দুপুরে ক্লান্তি কাটে রেশ
হে ধরনী তুমি সেজেছোতো বেশ!
আরও কত রঙ্গীন সুবর্ণ সৌন্দয্য
বিরল বহুল্য আছে রুপ।

হঠাৎই এলে বৃষ্টি হয়ে নাজেহাল
বারান্দায় জোড়া শালিক ভিজে
ভিজে আঁচলের পাঢ়
কেবল মনের সীমানা বাড়ে মরুভূমির শুষ্কতায় ।

বসন্তের পুষ্পঘ্রাণে মৃদুমন্দ সমীরণে শিহরিত মন
চাঁদনী রাতের জাগরণে প্রণয় মুখর আলাপনে পুলকিত ক্ষণ
জাগরুক তারার পানে অপলক নেত্র গুণে অনিল উড়ায় কেশ
অপরূপ নিবিড়নে বিমুগ্ধ আহরণে চিত্ত হারায় বেশ।

আজও নীল শরীরে স্বপ্নরা খেলে বেড়ায়....
অবহেলার নষ্ট চাঁদ ঠিকরে পড়ে
দুঃসহ খালি থালার কিনারে।
শত বেদনার খেলাঘরে বাসনার
ফুটো ছাদে শ্রাবণের মেঘেরা
ডাক দিয়ে যায়....

ঘুম ভেংগে
শুনছি যেন
নুপুরের ও শব্দ,
কাজের ফাকে
বউ যে আমার
বকেই করছে জব্দ।