জীবন দেখিয়েছে নিজেকে
হাজারো রকম উঠানামা,
চিন্তায় চিন্তায় হয়েছে দিন গুজার
বেড়েছে সব অস্থির কার্যসীমা।

ক্লাসিক সময়ের বিড়ম্বনায়
চোরা কাঁটার আঘাত সয়েছি কতো!
সেই কবে সিঁকেয় তুলে রেখেছি
দু’লাইনের প্রথম পবিত্র চিঠি।
যেখানে জড়িয়ে আছে আমার
দোলক অনুভূতির খসড়া।

অদেখা পুনর্জন্মের পৌরাণিক আশ্বাসে বাঁচে কালপুরুষ,
বয়ে যাওয়া হরিদ্রা বিকেলের ক্লান্ত হৃদয় ছুঁয়ে রাত্রির লোমশ
আঁধারে ভালোবাসা হারিয়ে গেলে মেলেনা জন্মান্তরের বিধিলিপি,

বোধের নির্মলতায় যে অপরাজিত; বোধের পরাজয় তার
কাছে নির্মম, অপ্রত্যাশিত, অসহ্য। জীবনের ভাঁজে ভাঁজে
বোধের নানা রং জীবনকে করে বিচিত্র, বিকশিত, সংকোচিত
উদাসীন, উদভ্রান্ত, উদ্বেলিত আর উচ্ছ্বসিত।

কে তুমি শান্তি নষ্ট কারী, অস্ত্রের কারবারি
তোমার অস্ত্র নষ্ট করার ও স্থান নাই এই ধরণীতে
তুমি অভিশপ্ত এই মানবিক আবাস ভূমে ।

দেখিলেনা তুমি;
হৃদয় ছিড়িয়া,
অন্তরে কত ব্যাথা।।

না দিবো চুম,
যাও তুমি ঘুম,
স্বপ্ন ভাঙ্গিয়া গেলে;

এক দীর্ঘ মহামিলনের অলৌকিক প্রেমের পথ ধরে
তখন স্বপ্নমগ্ন কবির দুঃখ ও যন্ত্রণাগুলো আনন্দে আতœহারা হবে
আর আদি প্রকৃতি থেকে নতুন রঙের বিচিত্র সমাহার

আর এক একটা শেষদুপুর কি রকম স্মৃতিমেদুর
হোয়ে ওঠে তার কাছে
গরম টালির নীচে বসে সে ঘামতে থাকে
পেছনের একুশ বছরটাকে একটা দীর্ঘসূত্রী রাত

সময় জুড়ে পালা বদলের খেলা
মধু আহরনের প্রতি দৃষ্টি,
জীবন ছন্দ দুলছে আহা
কেমন বলো যে কৃষ্টি !

আমার অস্থিরতায় তুমি ঢেলে দাও ঘি
সুবাসিত যাতনার তাত্পর্য তুমি বোঝনি ,
আমার উঠোনে যখন অস্থির চারাগাছ
তুমি তখন বুনে দিলে বেদনার ইসিহাস।

দিনরাত হরদম অস্থিরতা পিছু ধায়
সবখানে সবজনে অস্থিরতার ছোঁয়া পায়।

অস্থির পথঘাট যানজটে  হাসফাস
জীবনটা থেমে রয় সময়টা হয় ত্রাস।

অস্তির আমি সেই তোর প্রেমে
বুঝিনি আমার জীবন যাবে থেমে
তুই কি শান্তিতে তাকিয়ে থাকিস
তোর চোখে ই আমায় মারিস ।

অস্থির জীবন
অস্থির যৌবন
প্রতি পদে পদে বাধাঁ
প্রতি পদে পদে ধাধাঁ

হে প্রিয়তম
ফিরে এসো তুমি
তুমি ছাড়া যে আমি একা
খুব একা
শুধু নিঃস্ব এক ধু ধু মরুভুমি।

আজ ঘাত প্রতিঘাত ফেলে দিন কিবা রাত,
জানি না তো! কোন অজানায়,
আজ চঞ্চল, মন শুধু- ভেঙ্গে দিয়ে নানা বিধু
যায় চলে দূর সীমানায় ।