অপর্ণা কল ধরছেনা।বার বার
কেটে দিচ্ছে।
অস্থির
সূত্রানুযায়ী নিশ্চয়ই অপর্ণার
বাবা বাসায় আছে।
অগত্য মেসেজ
পাঠানো ছাড়া উপায় নেই
আমার।
"সমস্যা কি?"

" ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক "--- বসন্ত শুরু হলে প্রকৃতিতে বিরাজ করে এক দুষ্ট চঞ্চলতা । পল্লবিত শাঁখায় শাঁখায় রঙের বাহার । বাতাসের বে-খেয়াল গতি আর শুকনো পাতার মরমরে আওয়াজ নব-নোতুনের চেতনাকে ধারন করে দারুনভাবে ।

গেলো বসন্তে গোলমাল হলো । এবার পহেলা ফাগুন থেকেই প্রস্তুতি নেবার পালা । চৈত্র মাসে শাস্ত্র আর কু-সংস্কারের অনেক বিধি-নিষেধ ।

মেয়েটির নাম পূজা মন্ডল। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। এই ক্লাসে সাধারণত আমার যাওয়া হয় না। কোনও শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তখন হয়তো যেতে হয়,প্রধান অধ্যাপক/অধ্যাপিকার নির্দেশে। এই ক্লাসের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে ভীষন দুষ্ট প্রকৃতির।

বৃদ্ধ ঈমান আলী নদী ভাঙ্গা মানুষ। ঢাকা শহরে এসে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালায়। সংসার বলতে তার ছোট্ট একটি নাতি আর তিনি। আর কেউ বেঁচে নেই তার। নদী তার সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে।

খোলা আকাশ।আকাশ সব সময় কিন্তু খোলা থাকে না।আকাশ মাঝে-মাঝে ঢাকা থাকে।মেঘে ঢাকা থাকে।যখন আকাশ কাল মেঘে ঢেকে থাকে আর সেই মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে তখন আকাশের মন খারাপ থাকে।এ জন্যই হয়তো কোন গায়ক গেয়ে উঠেছেন-আকাশের মন ভাল নেই আমাদের মন ভার নেই।সত্যি আকাশের মন খারাপ থাকলে মনটা কেমন খারাপ-খারাপ লাগে।আকাশ মুখ গুমড়া করে থাকলে মনে হয় আজ দিনটাই খারাপ যাবে।

টানা প্রায় দেড় যুগ বাংলাদেশে থেকে চমৎকার বাংলা রপ্ত করেছে। পরিচয় না দিলে প্রথম দেখায় কেউ বুঝবে না যে আশোকা অবাঙালী। তার দাবী লংকানদের শরিরে এই অঞ্চলের মানুষের রক্ত বইছে। তার চার সন্তান বাংলায় কথা বলে।

কয়েক দিন যাবৎ জাহান সাহেব অদ্ভুত ভ্রান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। চারপাশের চেনা-জানা সব কিছুই যেন তাঁর কাছে অচেনা মনে হয়। অথচ এ-রকমটা হওয়ার কথা নয়। তিনি খুবই সচেতন একজন মানুষ। সর্বোপরি তিনি একজন লেখক।

নীল নয়না আছমাকে
সেই যে হাফ প্যান্ট পরা থেকে
মনে রেখেছি;
অর্ধ শতক পেরিয়ে আজ
কেউ যখন বলে মধ্য গগনে সুর্য
অথবা কারো কারো মতে
আমার দুই পা ঢুকেছে কব্বরে;

‘দেখেছো ফাল্গুন মাসেই আমাদের বিয়ে হল, তোমাকে আমি আগেই বলছিলাম মনে আছে’? ভিজিটিং কার্ডের এক টুকরা বাকা করে কিছুটা ঝালমুরি গালে দিতে দিতে রাহাতের দিকে তাকিয়ে বলল সুমি। মাত্র গতকালই বিয়ে হয়েছে ওদের।

শহরের অদূরে একটি বস্তি। আর সেই বস্তিতে বেশ কয়েকটি ঝুপড়ির মত ঘর। প্রতিটি ঘরে ছেলে-বৌ-নাতি-নাতনি নিয়ে বাসিন্দা অনেক। সেই সব নানারকম মানুষের পেশা নানামুখি। কেউ হয়ত রিকশা চালায় তো কেউ চালায় ট্রাক-বাস আবার কেউ বাসা-বাড়িতে কাজ করে তো কেউ চাকরি করে গার্মেণ্টসে। আসলে সমাজের উচু শ্রেনীর মানুষদের ফুট-ফরমায়েশ খাটা আর তাদের সেবা করে যে আয় হয় তাই দিয়ে জীবন চালায় এখানকার বস্তিবাসি।

নিলয় একটু দূরে সাগরের দিকে তাকিয়ে আছে । নীলিমার কথা তার কানে গেল কিনা বুঝা গেলো না । সাগরের ঢেউয়ের গর্জন আর অবারিত সাগর বক্ষ তাকে নিয়ে গেছে অন্য জগতে । নীলিমা ঢাকার নামকরা এক প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে শেষ বর্ষের ছাত্রী আর নিলয় এক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত । তারা দুজনেই এসেছে কক্সবাজারে কয়েক দিনের জন্য ।

আমাদের বিছানাটা পাতিয়ে দিয়ে মা সবাইকে বললেন-, ‘এয়- তোরা চুপচাপ ঘুমাস্ যেন । রাত্রে যদি- কালকের মতো চিতকার চেঁচামেচি শুনেতে পেয়েছি তবে, রক্ষে নেই আর । কথাটা মনে রাখিস্ তোরা ’! সবাই মিলে এক সাথে ঘুমিয়ে পড় লক্ষ্মী ছেলে হয়ে ।

তখন আমার কতইবা বয়স, বড় জোর বার কিবা তের। সবেমাত্র ষষ্ঠশ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে সহপাঠি যাদের পেলাম তাদের মধ্যে আমার মামার শালক ‘শান্ত’ অন্যতম। আমি মাহারা। আমার জন্মের পর মা যখন পরলোক চলে গেলেন তখন থেকে আমি মামার বাড়িতেই মানুষ।

দিনটি ছিলো ১লা বৈশাখ । বাংলা নববর্ষ । সবাই গুনগুন করে গাইছে ‘‘ এসো হে বৈশাখ, এসো.. এসো..’’। আমরা সবাই একসাথে বলি “শুভ হোক নববর্ষ”। সবাই যখন একসাথে উচ্ছাস্ আর আনন্দ নিয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানালো তখন চোখের বাধঁ ভেঙ্গে উতপ্ত জল গড়িয়ে পরছিলো অনন্যার। স্বাধীন এই উম্মুক্ত আকাশ আর প্রকৃতি মাঝে অসংখ্য মানুষ আজ এসেছে রমনা বটমূলে।

সিফাতের মোবাইল চার্জের অভাবে রীতিমতো কান্নাকাটি করছে।
সারাদিনের ব্যস্ততায় মোবাইলে চার্জ দেয়া হয়নি। ঠিক এই মুহূর্তে যখন মোবাইলের খুব প্রয়োজন, তখনই মোবাইলটা চার্জের অভাবে টি টি করে আর্তনাদ করছে। টিএসসির প্রচন্ড ভিড় আর কোলাহলের মধ্যেও সিফাত সেই টি টি কান্না শুনতে পাচ্ছে।