এই সত্ত্বা এখন স্বাধীন
এই দেহ নয় পরাধীন
এই মনন মেলেছে ডানা
উড়ছে পত পত আওয়াজে আকাশে
উড়ছে পতাকা আমাদের ছাদে
ডিসেম্বরের উত্তুরে হাওয়ায় ।

বিজয়ের বুকে এত রক্ত কেন ?
বুঝতে পারছ না ?
চুয়াল্লিশ বছর ছুরি চালিয়েছ !
খুনীর দল !
তোমরা সবাই খুনী! খুনী !! খুনী!!!

সে তো জন্মই নিয়েছে এক অভাগা হয়ে
কি দোষ করেছিল দরিদ্ররা ?
কি কারনে তাদের স্বপ্ন দেখা অন্যায় ?

রাজ বসন্তের এই ঋতু, ফাল্গুনে!
রজনীগন্ধার শুভাস মাখা দিনে।
পারবো কি আমি,
পারবো কি ফুঠাতে সেই ফুল।
যার গন্ধে ভীম-ভৌমরা মৌমাছিও
হবে ব্যকুল।

আমি আর গাইবো না সেই জয়ধ্বনি,
যে ধ্বনি সর্প হয়ে আপন মাঝে আপনি তোলে বিষের ফণী।
আমি আর করবো না রাও নিন্দাবাদে,
যেখানে নিন্দুকেরাই থাকে সবার জিন্দাবাদে।

চিল আকাশে উড়ে যায় , মেঘের ছায়ায়
ইচ্ছে মতো বাড়ায় তার নিজের গতিবেগ
মানুষ ভাবে হায় ,চিলের আছে স্বাধীনতা,
তাই সে ওভাবে উড়তে পারে সাথে থাকে মেঘ ।

প্রতিমূহুর্তে অজগরের ফোঁস ফোঁস সহ্য করে
আমি বেঁচে থাকি
আমি বেঁচে আছি।

তুমি দেখতেই পাওনা আমার আকাশটা
যেখানটায় ঘিরে থাকে কেবল মন খারাপের মেঘ
অভিমানী গোপন কান্না'র বৃষ্টি; এক খরস্রোতা নদী বয়ে যায়
দূর থেকে দূর......

হে স্বাধীনতা!
তুমি ফিরে এসো এই মাঠ ঘাটে,
এসো ফিরে বেঁচে থাকার স্বাধীন অঙ্গীকার পত্র
নিয়ে।

চারিদিকে শঙ্খধ্বনী আর উলুদিয়ে
কোনো মালিক তার ভোগ্য বস্তুতে লাল নিশান টেনে দিল ,
জানান দিল এবস্তু কেবল তারই ।
প্রবেশদ্ধারে একজোড়া সোনার বেড়ি হাতে পরিয়ে দিল
রাজমাতা ,

আজিকার এই সংগ্রাম
বলিদান,রক্ত গঙ্গা, বেদন ।

আজিকার এই পুড়ে যাওয়া
ক্ষত- বিক্ষত বাংলা মায়ের কোল ।

এই যে সুনীল গ্রহ এর স্বাধীনতা
মুষ্টিমেয় ধরে রাখে সমস্ত ক্ষমতা।।

দীর্ঘ দু’শো বছর মাতৃগর্ভে থেকে
প্রতিনিয়ত একটু একটু করে অনেকরকম স্বপ্নে ইনস্টল হয়ে
অথৈ জল-কাদা ঘেঁটে তারপর জন্মালে ;

আমার শারিরীক অক্ষমতার পাশে
কীর্তন খোলা নদীতে সাঁতারের দাগ ক্ষয়ে যায় ।
ক্রমশ অস্পষ্ট হতে হতে
ডায়েরির পাতায় ঘুমন্ত ছায়া এসে ঢেকে দেয় ।

নাঙ্গা পায়ে একদল কিশোর নদীর ধারে
ছিঁড়ে নেয় কাশফুল
মাঝি ভাটিয়ালী গায় ফুরফুরে স্নিগ্ধ বাতাসে
নৌকার অবিনত মাস্তুল
মুক্ত হাওয়ায় ফুলে ওঠে পাল