তিথির বিয়ে

একটি বিয়ে (আগষ্ট ২০১৯)

মাইনুল ইসলাম আলিফ
  • ১৭
  • ৭০

আমি তিথি।তাহসিন তিথি।
বাবা মায়ের আদরের মেয়ে। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে আমিই সবার ছোট।
ছোট সন্তান নাকি বাবা মায়ের সবচেয়ে বেশি আদর পায়! হ্যাঁ আমি পেয়েছি ও তাই। তাদের আদর সোহাগের এতটুকু কমতি ছিলো না। যখন যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।
আমার জীবনে দুঃখ একটাই। সেটা তুমি।
হ্যাঁ, রোদ, আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির নাম। তাকে ঘিরেই একটা সময় সুখের স্বপ্ন দেখতাম।
মানুষটাকে আমি পেয়েও পেলাম না নাকি ইচ্ছে করেই হারালাম, তা আজও বুঝে উঠতে পারিনি।
আজ আমাকে কথায় পেয়ে বসেছে, তোমাকে আজ সব কথাই বলবো। আবার ও বলছি , আমার আক্ষেপের গল্পটাতো শুধুই তুমি।কারণ, কি যে পাগলের মতো ভালবাসতে আমায়,সেতো জানোই তুমি।তুমি ভালবেসে যতটা না ফিল করতে,আমি মনে হয় তার চাইতে বেশি ফিল করতাম তোমার ভালবাসা পেয়ে।
সেই শুরুর দিনগুলির কথা, জানিনা তোমার মনে আছে কিনা?কলেজে যাবার পথে আমি দুস্টুমি করে তোমার পথ আগলে দাড়াতাম।বায়না ধরতাম, আমাকে ইউনিভার্সিটি নিয়ে যাও।
তুমি না করতে না।বলতে,চলো যাই।তখন আর সাহস পেতাম না।কিন্তু জানো,আমার খুব যেতে ইচ্ছে করতো তোমার সাথে।

কি পাগলাটেই না ছিলে তুমি।রোজ ফুল কিনে আনতে আমার জন্যে।
কিছু একটা করতে বললে সেটা তুমি করেই ছাড়তে।আমার সাজেশন যোগাড় করতে কি কষ্টটাই না তোমাকে করতে হয়েছিল! মনে পড়লে এখনও খুব কষ্ট হয়।
আজ কতক্ষণ পড়বো? জানতে চাইলে সেই যে এক রাতে দুস্টুমি করে বলেছিলাম,আজ সারা রাত পড়ো। কি পাগল যে তুমি ছিলে!সারাটা রাত তুমি না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলে।কেন এমন করেছিলে বলোতো?পরদিন তোমার চোখ দেখেই আমি বুঝেছিলাম। তুমিতো আমাকে বলতে চাওনি।
তোমার সততা আর তাকওয়ায় আমি যারপর নাই মুগ্ধ ছিলাম।তুমি দোষী হবে জেনেও কখনো মিথ্যে বলোনি।
পাপ হবে তাই আমার দিকে খুব একটা তাকাতে না,আর সেটা তুমি প্রায় সময়ই বলতে।তাই আমি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। অবশ্য আমি খুব করে চাইতাম,তুমি আমাকে দেখো,আমার দিকে তাকিয়ে থাকো,আমাকে সুন্দর বলো।
আবার এ-ও সত্যি আমার দিকে না তাকিয়ে থাকতে তুমি কতটা পারতে,সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।কারণ তোমার আবেগের পুরোটা আমি ফিল করতাম,এনজয় করতাম।
তুমি কতটা উদগ্রীব হয়ে থাকতে আমার পাশে,আমার সামনে এসে বসার জন্য,সেতো আমার নিজের চোখেই দেখা।নিজের চোখকে তো আর অবিশ্বাস করতে পারিনা।

রেল লাইনে তোমার হাত ধরে হাটতাম,ঘুরে বেড়াতাম,সবুজের ঘন সন্নিবেশ যার দুপাশে।হাঁটতে হাঁটতে আমাকে তোমার স্বপ্নের কথা বলতে।আমি মুগ্ধ হয়ে শুধু তোমার কথা শুনতাম।তোমার চিন্তা,তোমার দর্শন আমাকে অভিভূত করেই ছাড়তো।
মাঝে মাঝে তোমার কথা শুনে বেশ লজ্জা পেতাম।আবার তোমার কোন কোন কথায় এতটাই মোহিত হয়ে যেতাম যে আনমনে অপলক তাকিয়ে থাকতাম তোমার দিকে।যখন তুমি প্রশ্ন করতে,কি দেখছো? আমি ঠিকই এড়িয়ে যেতাম কৌশলে।বলতাম,কিছু না,এমনি দেখছিলাম তোমার মাথার চুল পেকেছে কিনা?
তোমার সরলতা এতটাই যে তুমি কেবল হাসতে। তোমার হাসিতে আমিও প্রাণ উজাড় করে হাসতাম।
তুমি ইচ্ছে করে কখনো নামাজ কাযা করতে না।আমাকে নামাজ পড়তে বলতে।তোমার উৎসাহেই আমি নামাজ পড়তে শুরু করেছি।পর্দা করতেও শিখিয়েছো তুমিই।
তোমার মতো সরল, বিনয়ী,আর সুন্দর মনের মানুষকে স্বামী হিসেবে না পাওয়া আমার দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই না।

আমি, যে তোমাকে, এতটা মিস করি,তার বউ কেন হইনি কিংবা তুমিই বা কেন আমাকে বিয়ে করলে না?তুমি কি জানো, কি সেই কারণ?
আমি জানি, তুমি সাদাসিধে উত্তরে বলবে,এটাই ছিল আমাদের ভাগ্যলিখন।
হয়তো!হয়তো তাই ছিল।কিন্তু আমরা নিজেরাই কি নিজেদের সেদিকে ঠেলে দেইনি?

"তোমার সাথে তিথি আপুর বিয়ে হবে"
বছর সাতেক আগে চার বছর বয়সী তোমার এক কাজিনের মুখ ফুটে বেরিয়ে এসেছিল কথাটি। মনে আছে তোমার?লজ্জায় আমরা কেউ কারো দিকেই তাকাতে পারছিলাম না।
নিছকই ছেলেমানুষী কান্ডে আমাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সুত্রপাত।তুমি তখন থাকো উত্তরায়।
তুমি কষ্ট করে উত্তরা থেকে এলে আর আমি কেন কাছাকাছি থেকেও বাড়ি যাবার তাড়া দেখাই? এই তোমার রাগ।
এত সিলি একটা ব্যাপারে কেন রাগ করলে তুমি? সে নিয়ে আমার রাগ।আমার রাগে তোমার রাগ শিথিল হলে তুমি আমাকে ফেরাতে চাইলে,পিছু নিলে কিন্তু আমাকে ফেরাতে পারলে না
আমাকে ফেরাতে না পারার অভিমান তোমাকে এতটাই পাষাণ করে তুললো যে একদিন বাড়ি এসে আমার ছবিটা ফেরত দিয়ে সেই যে নিরুদ্দেশ হলে আমার জীবন থেকে!
দেড়টা বছর।
কি যে অসহনীয় যন্ত্রণা আমাকে কুরে কুরে খেয়েছে তা কেবল আমিই জানি।
দেড় বছর পর তোমাকে উপহার হিসেবে দেয়া ডাইরিটা আবার তোমাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

জয়! দ্যা ভিলেন।
যার কারণে আমার জীবনের এই অনাকাঙ্ক্ষিত মেরুকরণ। ক্রস কানেকশনে ওর সাথে আমার পরিচয়।
ওর সাথে কিছুদিনের আলাপ। তখন তোমার মোবাইল ছিল না।
সবই ঠিকঠাক ছিল কিন্তু ওর সাথে কয়েক দিনের আলাপে কেমন যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল।ওফ!!!!
কি হয়েছিল আমার তখন?
রোদ, আমি জানি না তুমি ফিল করছো কিনা?
আমি কান্না ধরে রাখতে পারছি না।
একটুখানি ভুলে জীবনের তট রেখা কেমন করে পাল্টে যায় তার জলন্ত উদাহরণ আমি।
তুমি মোবাইল নেয়ার পর ওর সাথে খুব অল্প ক'দিন কথা বলেছি। তুমি মাঝে মাঝে আমাকে জিজ্ঞেস করতে আমি কার সাথে কথা বলি। আমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এর কথা বলে বলতাম, জেবার মোবাইল নেইতো, তাই ও আমার মোবাইল দিয়ে ওর প্রিয় মানুষটির সাথে কথা বলে।
এত বড় মিথ্যেটাকে তুমি নির্বাক্যে মেনে নিতে। তোমাকে কতটা ঠকিয়েছি দ্যাখো!

কখনো কখনো তোমাকে ফোন দিতেও নিষেধ করতাম। বলতাম, তুমি চাও না আমি ভাল থাকি? তোমার সম্মতি পেয়ে বলতাম, তাহলে আর ফোন দিওনা।
তুমি বলতে, ফোন না দিলে তুমি যদি ভালো থাকো, তাহলে তাই হবে। ভালো থেকো, বলেই ফোন কেটে দিতে। খুব অভিমানী তুমি!
আমি ফোন না দিলে তুমি আর কখনোই ফোন দিতে না। আমি ও থাকতে না পেরে আবার তোমাকে নক করতাম। আবার তুমি স্বাভাবিক হয়ে যেতে সব কষ্ট ভুলে।
এভাবে অনেক বার।
শেষে একবার তুমি বললে,যখন ইচ্ছে ছুড়ে ফেলে দেবে, আবার প্রয়োজন পড়লেই নক করবে,পেয়েছো টা কি তুমি? খুব সস্তা মনে হয় আমাকে,তাই না?
জবাব দেবার কিছু ছিল না আমার।তাই চুপ করেই থেকেছি। নিজেকে খুব ধিক্কার জানাতে ইচ্ছে হচ্ছে।
তোমাকে এতোটাই ছোট করেছি যে,তোমার কাছে যে ক্ষমা চাইবো সেই সাহসটুকুও হারিয়ে ফেলেছি।
সেদিন সন্ধ্যায় সিডর হয়েছিল।
আমি জয়ের প্রতি ফোনাসক্ত আর পুরোপুরি মোহাবিষ্ট হয়ে তোমাকে বলেছিলাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি না।
তোমার মাথায় সেদিন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল। এমন হাউমাউ করে তুমি কেঁদেছিলে যে, আমার কানে এখনো বাজে। সেই কান্নার আওয়াজ শুনে আমি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। তারপর বললাম, রোদ, চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি। তোমার কোন সাড়া পেলাম না। আরো কিছুক্ষণ কান্নার আওয়াজ পেলাম। তারপর লাইনটা কেটে দিলে। জানিনা পরে আরো কতটা কেঁদেছিলে?
বিশ্বাস করো রোদ, আমি একটা মোহে পড়ে তোমাকে ওভাবে বলেছি।ইট’স জাস্ট এন এক্সিডেন্ট।

বিয়ের দিনের গল্পটাও তোমাকে বলি।
দিনটি ছিল শুক্রবার।আকাশ খুব মেঘলা ছিল।
কদমের পাপড়িতে ছেয়ে গেছে সারাটা উঠোন।জুমার নামাজের ঠিক আগে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল।বৃষ্টির পানিতে কদম ফুলের পাপড়িগুলো ভেসে যাচ্ছিলো ।সবার মাঝেই সেকি উচ্ছ্বাস! আর আমার হৃদয়ের পুরোটা ক্যানভাস কষ্টে নীল হয়ে যাচ্ছিলো।
রোদ, জানিনা কটা নোনতা সমুদ্রে তুমি অশ্রু ঢেলেছো? এ মুহূর্তে মনে হচ্ছে, আমার অশ্রু ফোঁটা তোমার সবটাই ছাড়িয়ে যাবে। আমি আর পারছি
না, প্লিজ আমাকে কেউ একটু সান্ত্বনা দাও।
কে দেবে সান্ত্বনা?
বউ সেজে বসে চোখের জলে ভাসছিলাম। বিউটি পার্লারে নেয়ার সাহস কারো হয়নি।নিতে চেয়েছিল, আমি যাইনি। পার্লারে না হলেও বিয়ে বাড়িতে বউ সাজনোর মানুষের অভাব হয়না।
চোখ দুটো কাঁদতে কাঁদতে ফুলে উঠেছে।
আমাকে সেদিন যদি দেখতে হয়তো চিনতে পারতে না। আমি অপেক্ষায় ছিলাম তুমি আসবে, কিন্তু তুমি এলে না।কেন এলে না তুমি?
আমি বলিনি, তাই?
কি করে বলবো, বলো? কি হচ্ছিল আমি নিজেইতো বুঝতে পারছিলাম না।বোধ হারিয়ে নিজেকেই খুঁজে বেড়িয়েছি নিজে।
সিডর দিনের ঘটনার পর তুমি আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করলে।আর আমি?
আমি দেব দাসের মতো অনুশোচনায় পুড়তে শুরু করলাম। তোমাকে চেনার যেটুকু বাকি ছিল সেটুকু চিনলাম। আমার আক্ষেপের গল্পের সারমর্ম হয়ে দাঁড়ালো,হায়! আমি কি হারালাম?
এবার তোমার পিছু নিলাম আমি। ফোন দিলে রিসিভ করো না। মেসেজ দিলে রিপ্লাই দাও না। তবুও হাল ছাড়িনি।
"আমি জীবনে যদি বিয়ে না ও করি, তবুও তিথি কে বিয়ে করবো না"।
আমার এক কাজিন কে নাকি তুমি এমনই বলেছিলে।
আমি কষ্ট পেলাম। খুব কাঁদলাম। তোমার আবেগটাকেও ছুঁয়ে দেখলাম। তবুও অপেক্ষায় ছিলাম।

চায়ের কাপটা আমার হাতেই।এক চুমুক দিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম।দিত্বীয় চুমক আর দেয়া হয়নি।গরম চা ঠান্ডা হয়ে বরফ হয়ে গেছে।
আমি রোদ।রায়হান আলিফ রোদ।“তিথির বিয়ে” গল্পের নায়ক।
নিজের হাতে লেখা তিথির ডাইরী থেকে পড়ছিলাম।সপ্তাহ খানেক আগে এক নিকটাত্নীয়ের বিয়েতে গিয়ে তিথির সাথে দেখা।পাঁচ মিনিটের সেই সাক্ষাতের শেষ মুহূর্তে বাদামী রঙের একটি খাম আমার হাতে তুলে দিয়ে বললো,আসি ভাল থেকো।সেই খামের ভেতরেই ছিল তিথির ডাইরী।
যাই,আর এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে আসি।চা খেতে খেতেই গল্পের শেষ কটা লাইন পড়া যাক।

মাঝে একদিন অনেক রিকোয়েস্ট এর পর তুমি আমার সাথে দেখা করতে রাজি হয়েছিলে।
তোমাকে খুব শুকনো লাগছিলো।
চুপচাপ রইলে। কোন কথাই বললে না।
আমি নদীর পাড়ে হাঁটতে যেতে চাইলাম। তোমার ব্যস্ততা আছে, বলে আমাকে রিফিউজ করলে।
আমি ভাঙা মন নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম।

মাস ছয়েক পর,
তোমার ফোন পেলাম।
তুমি রেল লাইনে একা একাই ঘুরতে গেলে। কিছুক্ষণ স্মৃতিচারণ করে তুমি আবার আমাকে নিয়ে পথ চলতে চাইলে। আমাকে বিয়ে করতে চাইলে।
আমি আমার কাজিনকে বলা কথাটার উদ্বৃতি দিয়ে জানতে চাইলাম, রোদ তুমি কি সত্যিই এরকম কিছু বলেছো?
তুমি ইচ্ছে করলে অস্বীকার করতে পারতে। করলে না। বরং খুব সাবলীলভাবেই বললে,হুম বলেছি।
তোমার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেল।
কিন্তু তবুও সেদিন তোমাকে আমি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।

আমার বর ইন্জিনিয়ার।
তোমার তখনো চাকরির কোনো ব্যবস্থা হয়নি।
বিয়ে ঠিক হওয়ার পর তবুও তোমাকে বলেছিলাম, "সম্ভব হলে কিছু একটা করো"
তুমি বিনয়ের সাথে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলে।সুকান্তের পঙক্তি টেনে নিয়ে বলেছিলে,
"ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
তিথি, তুমি বিয়েটা করে ফেলো।
আমি আর কিছু না বলে ফোনটা কেটে দিয়েছিলাম।
শেষ অবধি ইন্জিনিয়ার বরের সাথেই আমার বিয়েটা হয়ে গেলো। বিয়ের পর আটটি বছর পেরিয়ে গেলো, অথচ আজও তোমাকে ভুলতে পারিনি।
আচ্ছা, রোদ তোমার সাথে আমার বিয়েটা হলে দোষ কি হতো? বলোতো?
বিয়েটা না হলেই বা কি, তোমার থেকে খুব কি দূরে আছি?
না তো।কারণ,
তোমাকে খুব বেশিই মিস করি আমি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Srabon Megh সে কি তিথীকে এখনো মিস করে?
ভালো লাগেনি ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
Jamal Uddin Ahmed আলিফ ভাই, গল্পের নায়কও কিন্তু আলিফ! কবিরাও ভাল গল্পকার হতে পারে আপনার সুখপাঠ্য গল্পটাই তার প্রমাণ। অনেক শুভ কামনা রইল।
Ahad Adnan চমৎকার, ভালো লাগলো
সাব্বির হোছাইন কল্লোল আল্লাহ আপনাকে অনেক হায়াত দান করুন, এমন গল্প আরো লেখার জন্য।
আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক জাযা ও খায়ের দান করুন।আমিন।
কাজী প্রিয়াংকা সিলমী ভাল লেগেছে লেখাটি। বাস্তব থেকে নেয়া প্রেমের অপ্রাপ্তির গল্প। 'জয়' চরিত্রটির ভূমিকার ব্যাপারে আগ্রহ জন্মেছিল, এই মোবাইল ফোনের যুগে প্রেমের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যাক্তির আগমণ অনেক সময়ই ঘটে থাকে। কিন্তু সম্পর্কে ফাটল ধরার পেছনে সেই তৃতীয় ব্যাক্তির ভূমিকা কি ছিল তা বিশদে জানা হল না। বেকারত্বই কি তাহলে মূল চরিত্র দুটির মিলনের একমাত্র বাঁধা হয়ে রইল? আমিও একটা গল্প লিখেছি এ সংখ্যায়, পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
গল্পটি খুব মনযোগ দিয়েই পড়েছেন,বুঝতে পারলাম।জয় চরিত্রের ভুমিকার ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন।আসলে রোদের সাথে তিথির নিয়মিত যোগাযোগের কোন সুযোগ ছিল না।আবার তিথির মোবাইল থাকলেও ফোন ছিলনা রোদের ।আর এই সময়ই জয়ের সাথে ক্রস কানেকশনে আলাপ হয় তিথির যা চলমান থাকে, আর তাতেই ক্রমশ ফোনাসক্তিতে পড়ে একধরণের মোহে আটকা পড়ে দুজন।সেই মোহ থেকেই তিথি যখন সিডর দিনে ঘোষনা দেয় যে সে রোদকে নয় ভালবাসে জয় কে তখনই এক প্রকার বেকে যায় তিথি আর রোদের দুটি পথ।@বেকারত্বই কি তাহলে মূল চরিত্র দুটির মিলনের একমাত্র বাঁধা হয়ে রইল।@ প্রধান অন্তরায় ছিল দুজনের ইগো।পরের অন্তরায় ছেলের বেকারত্ব।আসবো ইনশাআল্লাহ আপনার গল্প পড়তে।
Abdullahil Kafi ভাল লেগেছে, শুভ কামনা, ভোট রইল। আমার ছুট্ট গল্পটি পড়ে আসার অনুরোধ রইল।
আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক জাযা ও খায়ের দান করুন।আমিন।
নাজমুল হুসাইন কান্তের পঙক্তি টেনে নিয়ে বলেছিলে, "ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।কবিদের লেখাতেই কবিরা বেচে থাকে।ভালো লাগা রইলো প্রিয় গল্পকার।ধন্যবাদ।
আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক জাযা ও খায়ের দান করুন।আমিন।
প্রজ্ঞা মৌসুমী আমাদেৱ সময়কাৱ বাস্তবতা তো এমনই। ছেলেটাকে একটু মহান কৱাৱ চেষ্টাই কৱা হলো। আট বছৱেৱ সংসাৱেৱ পৱও তাকে সত্যি কি এতটা মিস কৱে? নাকি হুটহাট আবেগে ভেসে যাওয়া। গল্পটা হয়তো গতানুগতিক, তবে লেখনীৱ জোৱে পড়ে গেলাম। শুভ কামনা।
ধন্যবাদ দিদি।কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার গল্প পড়ে মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
ধুতরাফুল . সুন্দর গল্প..আমার গল্পে স্বাগতম...
আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক জাযা ও খায়ের দান করুন।আমিন।
ওমর ফারুক marattok lekha.osadharon uposthapona.mugdho hoye gelam.onek onek shubho kamona.vote diye gelam.
আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক জাযা ও খায়ের দান করুন।আমিন।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বিয়ে মানুষের জীবনের একটি কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের নাম।প্রিয় মানুষটিকে সাথে নিয়ে বাকীটা জীবন কাটাতে চেষ্টার কমতি থাকেনা।কিন্তু কখনো কখনো মানুষ তার প্রিয় মানুষটিকে না পেয়ে আক্ষেপে কাটায় সারাটা জীবন।"তিথির বিয়ে" গল্পে একটি বিয়ের পরই যে সেই আক্ষেপ আরো গভীর হয় তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।তাই গল্পটি বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই আমি মনে করি।

২৪ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪