আজ দশ দিন ধরে মাসুমের কোন খবর নেই। ষোলই জানুয়ারি সকাল দশটায় যখন অদিতি ফোন করলো তখন খুব বিরক্তির সাথে কথা বলেছিলো। কথা বলতে নাকি অসুবিধা হচ্ছে! আশেপাশে চায়ের চিনি গোলানোর মতো চামচের শব্দ। পথিকের বিক্ষিপ্ত কথাবার্তার টুকরো শব্দ। বাসার ভেতরে হলে না অনেক সমস্যা! বাইরে আবার সমস্যা কিসের? অদিতি রাগে দুঃখে গজগজ করতে থাকে- - আমার সাথে কথা বলতে তোর সব সময়েই সমস্যা হয়! মাসুম বাচ্চা!
ফোন দেয়া টেয়া মাসুমের ধাঁতে নেই একদমই। ও কাজটা সব সময়ে অদিতিকেই করতে হয়। অন্ততঃ গত এগারো মাসের সম্পর্কে সব সময় এটাই হয়ে এসেছে।
এগারো মাস! সময় কত দ্রুত চলে যায়! হ্যাঁ! এই এগারো মাসে এই মানুষটাকে একটু একটু করে চিনেছে অদিতি। ছেলেটার নাড়ি নক্ষত্র সবই। আর সে কথা মনে করতেই অদিতির আবার মনটা খারাপ হয়ে গেলো। খুব খারাপ! মন খারাপ থাকলে শরীরের উপরে প্রভাব পরবেই। অদিতির শরীরটাও দূর্বল লাগছে! খেতে ইচ্ছে করে না! মাসুমকে নিয়ে মাঝেমাঝে খুব বেশি চিন্তা হয়!
মোবাইল ফোনটা বালিশের সাথেই থাকে। লেপের ভেতরে শুয়ে মোবাইলটা হাতে নিলো ও। নতুন কোন বার্তা এসেছে কিনা। - নাহ নতুন কোন মেসেজ নেই। নেই একটা মিসকলও!
মাসুমের এরকম হঠাৎ হঠাৎ ডুব দেয়া স্বভাবের সাথে ও পরিচিত। গা সওয়া হয়ে গেছে। প্রথম চার পাঁচদিন ভেবেছিলো, চলতে থাক এভাবেই। দেখি কয় দিন তুমি আমার সাথে যোগাযোগ ছাড়া থাকতে পারো!
বন্ধুমহলের কেউ বা আত্মীয় কাজিনের কারো সাথে মাসে দু’মাসে একবার যোগাযোগ হলেও অস্থির লাগে না। কিন্তু সারাদিনের প্রতিটি মুহুর্তের ভাবনায় যে মানুষটা জড়িয়ে থাকে তার সাড়াশব্দ সারা দিনে কয়েকবার না থাকলে মনই যে ভরে না! সেই মানুষটা এতদিন ধরে নিখোঁজ! আবার মোবাইল ফোনটা সুইচড অন করে রেখেছে! ম্যাসেজ সেন্ট করে সেটা বুঝতে পারে অদিতি। ডেলিভার্ড হয় যে!
মাসুমের সাথে কথা বলার জন্য ভেতরে ভেতরে ছটফট করতে থাকে অদিতি। কিন্তু, না আর সে নিজে থেকে কল দেবে না। ও নিজে থেকে যোগাযোগ অফ করে রাখলে ওকে কল দিতে গেলেই বিপত্তি! নিজে কল ধরার ইচ্ছে না হলে ফোনটা বন্ধ রাখতে পারে। কিন্তু না, ফোনটা দিয়ে রাখবে বাসার অন্য সদস্যদের হাতে। এরকম অনেকবার হয়েছে। কখনো ভাবী কখনো মায়ের সাথে কথা বলতে হয়েছে। ওভাবে ও কেমন আছে জানার পরেও মন ভরেনা। বরং মন বিগড়ে যায় দ্বিগুণ!
নিজেকে কিছুতেই ক্ষেপাতে চায় না অদিতি। নিজের অভিমান সাংঘাতিক। আর ঐ কাঠখোট্টা লোকটা তো যোগাযোগহীন হয়ে একেবারে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়! অদিতির অভিমানের কোন খোঁজ ও কিছুতেই পাবে না। তখন অযথাই বাড়বে দূরত্ব। অদিতি জেনে বুঝে সেরকম কিছু হতে দিতে চায় না। কারণ ও ভালোভাবেই জানে ঐ পাগলটাকে ছাড়া ও নিজেই বেশি দিন দূরে সরে থাকতে পারবে না।
মাঝেমাঝে খোলা মাথায় চিন্তা করলে কোন থৈ পায় না অদিতি। এই অসম্ভব গোঁয়ার আর নিজের মধ্যে ডুব দেয়া মানুষটাকে সাথে করে ও কিভাবে জীবন পার করবে! বিয়ের পরেও কি লোকটা এরকমই থাকবে?
।।দুই।। নিজের ঘরের সেমি ডাবল বিছানাটায় চিত হয়ে শুয়ে আছে মাসুম। বুকের কাছে দু’হাত এনে দু’তালু আড়াআড়ি করে বাঁধা। ঘন ঘন নিঃশ্বাস পরছে। লম্বা টান টান করে রাখা পা দুটো বিছানার কিনারা ছাড়িয়ে বেরিয়ে পরেছে। বালিশটাকে বিছানার মাথার কাছে আরেকটু তুলে নিয়ে শুলেই পা ঠিকমত জায়গা হবে সেদিকে খেয়াল নেই।
ওর দু’চোখ বোঁজা। বিড়বিড় করছে- আমি তো আমার অঙ্গীকার ভাংতে চাইছি না। বেঁধেছি আমার এ প্রাণ সুরে সুরে তোর সাথে! আমি আর কারু হতে দেবো না তোকে। আর কারুর নয়। তুই শুধু আমারি থাকবি। শুধু আমারি থাকবি। কিন্তু, এই মুহুর্তে আমার যে কোন কামাই রোজগার নেই। কি করে আমি সংসারের জন্য একটা বোঝা বয়ে আনি? কি করবো আমি! কি করবো! আমার যে একটু সময় দরকার! মাত্র তো পাশ করলাম! এরকম কত মাস্টার্স পাশ বেকার ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়াচ্ছে! কিন্তু অদিতি তোকে কি করে আমি অন্যের হাতে তুলে দেবো? এর আগে তো আমার মরণও ভালো।
মরণ শব্দটা ভাবা মাত্রই মাসুম আচমকা বিছানা থেকে উঠে বসলো ও। পুনরায় বিড়বিড় শুরু করলো। এবার কিছুটা উচ্চস্বরে- না! না! একী ভাবছি! আমি মরে গেলে অদিতির কি হবে! যতই বকাঝকা করুক মেয়েটা আমাকে জানেপ্রাণে ভালোবাসে। এত বেশি ভালোবাসে বলেই না এত আবেগ উপচে পরে। আমি সব বুঝি! সব বুঝি তো অদিতি! আমাকে যে আসতেই হবে পাশে! উপায় বের করতেই হবে একটা কিছু!
মধ্যবিত্তের হয়েছে যত জ্বালা! না ভিক্ষে করতে পারে না পারে যা খুশি তাই করে ফেলতে। যত বিবেকের আক্কেল যেন এই মধ্যবিত্তের। চাকরি মেলে না সহজে। মামা চাচা না থাকলে তো সম্ভবই নয়। বর্তমান সময়ে চাকরি হলো প্রদর্শনী হলের প্রদর্শিত দুষ্প্রাপ্য মূল্যের কোনও দূর্লভ চিত্রকর্ম যা শুধু দূর থেকে কামনা করে মনের ভেতরেই চাপা পরে থাকে। চাকরির জন্য দরখাস্ত কয়েক জায়গায় দিয়েছে। কিন্তু কিচ্ছু খবর হচ্ছে না এখন পর্যন্ত। শুধু দৌড়ানোই সারা হচ্ছে! আর প্রয়োজনের সময় তো চাকরি কেন কোন দরকারি জিনিসই খুঁজে পাওয়া যায় না!
মুখে যতই বলুক ধৈর্য্যের পাহাড় বিয়ের পরে সিম্পল রিকশা ভ্রমণে বেরুতেও যে হাত পাততে হবে বড় ভাশুড়ের কাছে! শাশুড়ির কাছে! তা কি অদিতি মেনে নেবে? পারবে মেনে নিতে? না! না! দিনের পর দিন এভাবে সংস্কৃতিমনা অদিতিকে ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে আটকে রাখতে পারবে না ও। আজ দশ বারো দিন হয়ে গেলো ও অদিতির মুখোমুখি হচ্ছে না! ওকে ছাড়া থাকতে পারবে কিনা সেই অনুশীলন চলছে ভেতরে বাহিরে। - অদিতি এখন কেমন আছিস? আমি তোর ছটফটানি ঠিকই টের পাই রে! ঠিকই টের পাই! পুনরায় শুরু হয় বিড়বিড় করে কথা বলা। কার সাথে শেয়ার করবে ওর সিদ্ধান্তগুলো ভেবে পায় না! এ সংসারে ও যে নিজেই একটা বড় বোঝা! আগে তো ওকে এই সংসারের জন্য কিছু একটা করতে হবে! তারপরে নিজের স্বপ্ন! অদিতির স্বপ্ন! এখনো স্টাবলিশ হতে মনে হচ্ছে বছর গড়িয়ে যাবে। এত দিন কি আর অদিতি অপেক্ষা করবে? না সম্ভব ওর পক্ষে! ওর যে অনেক বিয়ের কথা হচ্ছে! মোবাইলের ম্যাসেজ বাক্সটা অদিতির বার্তা দিয়ে ভরা। - অদিতি, ক্ষমা করে দিস রে আমায়! আমি তোর ব্যর্থ প্রেমিক! মনে মনে ক্ষমা চেয়ে নেয় অদিতির কাছে এই বোকাসোকা ছেলেটা!
।।তিন।। গুণে গুণে মোট পনেরো দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে আর কিছুতেই চুপ করে বসে থাকতে পারলো না অদিতি। নিজের বিয়ের ক্ষণ এগিয়ে আসছে ক্রমশ! ছেলেটা হোক সরল সোজা। তবু জীবন সংগী হিসেবে যে ওর তাকেই চাই। আবেগ জড়ানো মনের ভাব বুঝা কঠিন! সে যে কিসে সুখী হয় আল্লাহই জানেন! - বুঝেছি! যা করার আমাকেই করতে হবে! এই হাবলুকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না!
জানুয়ারির প্রায় শেষ এখন। শীত তার ঠান্ডার হিম হিম চাদর ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছে বিশ্ব চরাচরে। লেপের উষ্ণতা ত্যাগ করে অদিতি বিছানায় উঠে বসে। আলমারী থেকে প্রয়োজনীয় কিছু সালোয়ার কামিজ, অর্নামেন্ট আর সাজগোজের কিছু আইটেম গুছিয়ে নেয় দ্রুত। সাতাশ বছরে বেড়ে ওঠা সংসারের কতটুকুই বা এঁটে উঠা সম্ভব ছোট্ট একটা ট্রাভেল ব্যাগের ভেতরে! বোন-দুলাভাইয়ের পছন্দের প্রবাসী ছেলেটাকে বিয়ে করা ওর পক্ষে সম্ভব নয়। বাবা-মায়ের স্নেহে জড়ানো বোন-দুলাভাইকে সে কথা মুখ ফুঁটে বলাও দুঃসাধ্য। একদিকে এরা আর মাসুম দুপক্ষের কাউকেই ফেলতে পারবে না ও। সবাইকেই সমান ভালোবাসে ও। কিন্তু কি করবে ও! ফজরের নামাজ আদায় করার পরেই ও নিঃশব্দে গেটটা খুলে চেনা অতীত ছেড়ে পা বাড়ায় অজানা ভবিষ্যতের দিকে। জানে না কি আছে ওর ভাগ্যে!
।।চার।। তড়িঘড়ি দু’পায়ে স্যান্ডেল গলিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে বেরুলো মাসুম। মোবাইলটা হাতে ধরা। বার বার ম্যাসেজ অপশনে চোখ চলে যাচ্ছে! অদিতির কয়েকটা ম্যাসেজ। লিখেছে, ‘আমি এখন রেল স্টেশনে! তুই আমাকে ছাড়াই ভালো থাকবি তো? তাহলে থাক! আর কোনদিন তোর সাথে দেখা হচ্ছে না! ঘন্টাখানেকের মধ্যে তোর অদিতি একটা নারী থেকে লাশ হয়ে যাবে! আমার জন্যে তোকে আর কোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে না। এই অদিতির জন্য মহাপুরুষ হতে পারলি না তুই! ভালো থাক! বাই!’
মেয়েটা যেই জেদী! সত্যি কি ও আত্মহত্যার ডিসিশন নিয়ে নিলো? ‘আরেকটু সময় দরকার ছিলো আমার অদিতি! আমি একটা কিছু নিশ্চয়ই করতাম। তোর জন্য কিছু তো আমাকে করতেই হবে। তোকে সাথে নিয়ে আমি মহাসাগর পাড়ি দেবো। শুধু তুই পাশে থাকলে আমি সব পারবো, অদিতি। আমার পাশে তোকে যে থাকতেই হবে! আর তুই কিনা আমাকে ছেড়েই দুনিয়া ছাড়তে চাইছিস? পাগলী রে! অদিতি তুই ভীষণ পাগলী।’
মনের ভেতর ঝড়ের পরে ঝড় চলে মাসুমের। মেয়েটা ওকে হাতিরঝিল হয়ে যেতে বললো কেন? ওখানে কোন রেল লাইন আছে বলে তো মনে পরছে না। পাক্কা পঁচিশ মিনিটের জ্যাম কাটিয়ে অবশেষে দেখা মিললো অদিতির। হাতির ঝিলের মাঝখানের রেলিঙে উবু হয়ে পানির দিকে ঝুঁকে কি যেন দেখছে! নাকি ভাবছে! কাছে গিয়ে ও বললো- - কি রে, মরবি বলে? - তুই বেঁচে থাকতে আমি কেন মরতে যাবো? অদিতির জবাব। - তাহলে ওভাবে ম্যাসেজ দিলি কেন? - না দিলে তুই কি এভাবে ছুটে আসতিস? ঘরকুনো বাদর! - সাথে লাগেজ কেন? কোথায় যাচ্ছিস? - শশুড় বাড়ি!
অদিতির শেষ জবাবটা শুনে মনটা দমে গেলো মাসুমের। ভেবেছিলো মৃত্যুমুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে অদিতিকে নিজের বুকের ভেতরে জড়িয়ে রাখবে। তা আর হলো না। ও চিরকালই অভাগা! সঠিক জিনিসটা বুঝে নিতে ওর সবসময়েই দেরী হয়ে যায়! বারো চৌদ্দ দিন ভাবনার সাগরে ডুব সাতার না দিয়ে বিয়ে করে ফেললে ভালো করতো। এখন বড্ড আফসোস হচ্ছে ওর! ওর মলিন মুখের দিকে চেয়ে অদিতি ঘাড়ে লাগালো একটা গোত্তা। - কি রে, এমন বাংলা পাঁচের মতো মুখ বানালি কেন? আমার বিয়েতে তোর আনন্দ হচ্ছে না? চল, আমাকে কাজী অফিস পর্যন্ত পৌঁছে দিবি! বলে একটা রিকশায় চেপে বসলো। মাসুমকেও রিকশায় উঠতেই হলো অদিতির স্যুটকেসটা ধরে।
মাসুম আর কি বলবে? কষ্ট বুকে চেপে শুধু হাসলো। মলিন হাসিটায় কিছুতেই সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে না। বুকের ভেতরে কলিজাটায় কে যেন ছুরি বসিয়ে দিয়েছে! মৃদু রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেখানে! ‘আমার অদিতি অন্যের হয়ে যাবে? এখনো তো আমি ছিনিয়ে নিতে পারি ঐ অন্য লোকটার হাত থেকে আমার পাশে বসা এই মেয়েটাকে!’ ওর ভেতরে ভাবনার ঝড় চলতে থাকে। পাশে বসে আসন্ন বিয়ের স্বপ্নে বিভোর অদিতির আনন্দিত কন্ঠের কিছুই ওকে ছোঁয় না! ও শুধু ম্রীয়মান হয়ে যেতে থাকে! ‘আমার অদিতি! এখন অন্যের অদিতি! আমার অদিতি! এখন অন্যের অদিতি!’
রিকশা কোথা দিয়ে কোথায় এলো কিছুই বলতে পারবে না ও। ওকে নামতে হলো। অদিতি যেদিকে হাঁটছে ওকেও সেদিকে পাশাপাশি হাঁটতে হচ্ছে। একটা বিল্ডিঙের দো’তলায় এসে থামতে হলো। সামনের দরজায় লেখা ‘কাজী অফিস!’ ভেতরে ঢুকে দেখতে পেলো রাখি, রুমা, শম্পা, শিল্পী, রায়হান এক পাশে দাঁড়িয়ে। ওরা সব অদিতির ডিপার্টমেন্টের বন্ধু। মাসুমের মুখটা আরো কালো হয়ে উঠলো। ‘অদিতির হবু বরকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। লোকটা কোথায়?’ ঠিক তখনি হুমড়ি খেয়ে প্রায় ঘাড়ের কাছে এসে উপস্থিত হলো সৈকত, ফরিদ, আরমান আর আরমানের বউ অলীন। ‘কি ব্যাপার? এরা এখানে কেন? এরা তো আমার বন্ধু!’ বিস্ময়ে মাসুমের মুখটা হা হয়ে যায়!
সবাই মিলে অট্টহাসি হেসে ওঠে ওর পায়ের দিকে ইশারা করে- ‘শালা বিয়ে করতে এসেছে দ্যাখ স্যান্ডেলের অবস্থা! নিজেরটার এক পাটি আর আরেকটা বোধহয় বড় ভাইয়ের!’ অদিতির দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলে, ‘না রে অদিতি! তোকে ও বড্ড ভালোবাসে! নইলে তোর অমন ম্যাসেজ পেয়ে কিরকম আলুথালু বেশে ছুটে এসেছে, দ্যাখ না?’
বাকিটুকু স্বপ্ন। দু’পক্ষের সব বন্ধুরা মিলে বিয়ের মালা কিনেছে। আড়ং থেকে মাসুমের জন্য বিয়ের পোশাক হিসেবে নতুন পাঞ্জাবী আর নাগড়া। আর অদিতির জন্য মেরুন রঙে কাজ করা মথুরা সিল্ক শাড়ি। সাথে ম্যাচিং করে এনেছে বেলী ফুলের গয়না।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সই সাবুদ করে বিয়ে হয়ে গেলো দুজনার। অবশেষে মাসুম অদিতির ভালোবাসা দাম্পত্য জীবনে পা রাখলো। জীবনটা যে এত্ত সুন্দর এর আগে জানতো না মাসুম। এই বছরের সেরা উপলক্ষ্যটা এত আয়োজন করে আসবে কে জানতো!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
দেখা দিতেই যখন এলেন, একটু কষ্ট করে যদি লেখাখান পড়তেন আর দুইটা কথা কইতেন তাইলে আরও খুশী লাগতো। ...কৈশোর বিষয়ে গল্প লেখার কালই শেষ সময়। সো, তাড়াতাড়ি এ যান।
মিলন বনিক
চমত্কার রোমান্টিক গল্প....এভাবে জীবন শুরু করার মজাটাই আলাদা.....গল্পের ধারাবাহিকতায় নিপুন হাতের জাদু...খুব ভালো লাগলো...অনেক অনেক শুভ কামনা...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।