• ২০
  • 0
প্রতিবেশ ছিলো একটা নলখাগড়ার বন
জানালায় চোখ রাখতেই ভরে যেতো মন।
নলপাতায় জড়িয়ে ছিলো ছোট্ট একটু আশা
ছোট্ট পাখীর হৃদয় জুড়ে ছিলো ভালোবাসা।
মিষ্টি মধুর সুরের দোলায় দুলতো বড়ই খাসা
নিতুই সুখের আবাস খানি টুনটুনি’র বাসা।
রাত পোহালে প্রতিদিন অলসমাখা ভোরে
ঘুম ভাঙ্গাতো পাখীটি মিষ্টি গানের সুরে।

হঠাৎ করে দুরন্ত এক কালবৈশাখী ঝড়
নিমেষে গুড়িয়ে দিলো সাজানো সেই ঘর
ঈশান কোণে বর্জ মেঘের ভয়ংকর আকৃতি
থামিয়ে দিলো জনপদে জীবন ধারার গতি।
অভিজাত সব বাসা বাড়ীর দম্ভ গেলো উড়ে
আযরাইল এসে দরজায় মৃত্যুর কড়া নাড়ে।
অসহায় মানুষ কেঁদে অশ্রুতে বুক ভাসায়
বিপন্ন রাত কাটে স্নিগ্ধ ভোরের আশায়।

রাত্রি শেষে অবশেষে দীপ্ত ভোর আসে
দিনমণির উদয় হলো ধ্বংস স্তুপের পাশে।
গান করেনা পাখিটি তাই জানলা খুলে দেখি
বাসা সমেত উড়ে গেছে সে ছোট্ট গানের পাখী।
ভোরের আলোয় ভেসে আসে স্বরূপে আকাল
জানিয়ে দিলো বাঁচার মন্ত্র প্রত্যাশার সকাল।
নতুন আশায় মানুষ আবার বাঁচে দীর্ঘশ্বাসে
টুনটুনির বাসাটি শুধুই স্মৃতি হয়ে ভাসে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন বাসা সমেত উড়ে গেছে সে ছোট্ট গানের পাখী। চমৎকার অন্তমিল আর ছন্দময় একটা কবিতা। খুব ভাল লিখেছেন। শুভেচ্ছা রইল।
মনোয়ার মোকাররম ছন্দময় কবিতা বরাবরই আমার ভালো লাগে ... ছন্দ ছাড়া আবার কবিতা হয় নাকি.... সুন্দর ছন্দময় কবিতার জন্যে ধন্যবাদ...
মোঃ আক্তারুজ্জামান ছন্দময় এবং সুন্দর- খুব ভাল লিখেছেন।
আক্তারুজ্জামান ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ....................
সহিদুল ইসলাম অনেক সুন্দর, ভাল থাকবেন।
রোদের ছায়া জ্যোতি ভাই আপনার কবিতা খুব ভালো লাগলো । বর্জ মেঘের =বজ্র মেঘের ।
কবিতা ভাল লেগেছে যেনে ভাল লাগছে.............আর ভুল সংশোধনের জন্য আপনাকে অংখ্য ধন্যবাদ মৌসুমী আপা.................
সূর্য ধ্বংসের পরও জীবন থেমে থাকে না। যারা বেঁচে থাকে তাদের নতুন করে গড়ে নিতে হয়। টুনটুনি অনেক কিছুরই প্রতিনিধিত্ব করে। চাইলে কবিতাটি সাম্প্রতিক ভবন ধ্বসের সাথেও মেলানো যায় (টুনটুনিকে শ্রমিক ভাবলেই হয়)। জ্যোতি ভাই রূপক যাই হোক কবিতার গঠনের কারণেই বেশ ভালো লাগলো
ধন্যবাদ সূর্য টুনটুনিকে রুপক হিসেবে যে যেভাবে নেবে কবিতার বাস্তবতা তার পক্ষে যাবে.............আপনার সুন্দর জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণার ফসল..........অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...................
রনীল আপনার কবিতাটি পড়ে মনে হল অনেকদিন টুনটুনি দেখিনা। নলখাগড়ার বনের কথা অনেক পড়েছি, কিন্তু কখনো দেখা হয়নি। ছন্দের কারনে পড়ে খুব মজা পেলাম।
রনীল ভাই কবিতার বক্তব্য কিন্তু টুনটুনি না ....''বাসা'' তাসে টুনটুনির হোক কিম্বা মানুষের.......কোন এক বিপর্যস্ত ক্ষণ পেড়িয়ে নতুন ভাবে বেচে থাকার আকুতি এক প্রত্যাশার ভোরে...... নলকাগড়া আপনার শেকড়ের উপাদান ওকে দেখতে হলে গ্রামে যেতে হবে......আসুন না দেখে যাবেন প্রকৃতির সেই বাস্তবতা.....কবিতায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ................
আমি কিন্তু কোথাও বলিনি যে কবিতার মূল সাবজেক্ট টুনটুনি! আপনি যেভাবে কবিতায় টুনটুনি এনেছেন তা বেশ ভালো লেগেছিল, সেটাই বলতে চেয়েছি কমেন্টে। আপনার কমেন্ট শুনে মনে হচ্ছে আপনি প্রকৃতির কাছাকাছি কোথাও থাকেন... ইফ সো, তাহলে আপনি সৌভাগ্যবান ..:) .
মুনশি মিয়াঁ মজা করে এক নিশ্বাসে পড়া গেল। চমৎকার অনুভূতি। :)
Lutful Bari Panna টুনটুনির বাসার কাব্য কথা ভাল লাগল জ্যোতি ভাই।
পান্না ভাই আপনাকে অশেষ দণ্যবাদ..................
শিউলী আক্তার খুব ভাল লাগলো কাহিনী কাব্য ------ ।

১০ অক্টোবর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪