আমার জন্য তোমার সৃষ্টি ওই সুবিশাল আকাশ ;
হৃদয় যেন থাকে বেঁচে তার তরে শীতল বাতাস।
ঠোঁটের জন্য হরেক প্রাপ্তির উল্লাসিত রঙিন সুখ ;
নিটোল মায়ার ফ্রেমে এঁকে দিলে বাবা মায়ের মুখ।
আঁখি জুড়ে ছড়িয়ে দিলে রঙ বে রঙের সুরভিত
হাজারো কোমল ফুল-
পাহাড় কোলে ঝর্ণা ধারা,সোনালী ধানের শীষের নাড়া,
ছোট্ট ঢেউয়ের নদীর কূল-
সকাল বেলায় রবির হাসি,চাঁদের জোছনা রাতের জন্য;
ক্ষুদ্র আমি,তোমার অসীম নেয়ামত,করলে জীবন ধন্য।
ভালোবাসার মেঘ দিয়ে তুমি দিলে আমায় ছায়া;
এই পৃথিবীর সব চেয়ে আপন হয়ে, করলে ভীষণ মায়া।
অথচ তোমার উত্তোলিত সাগর জলের ফেনায়
আমি ছিন্ন খড় কুটোর মত-
সীমাহীন ওই মহা ছায়াপথের সামনে দাড়িয়ে কত নগণ্য!
তাই তোমার প্রতি মাথা নত-
একটি ছোট বালুকণা আমি তোমার মরুভূমির
বিশালতার কাছে!
সূ-উচ্চ হিমালয়ের এককণা বরফ কুচির তুলনা
হয়ত আমার সাজে!
তবুও...তোমার সকল করুণা দান করলে আমার জীবন তরে;
অপার ভালোবাসায় সিক্ত করে,রাখলে তোমার হৃদয় ঘরে।
বিনিময় চাইলে তুমি...আমার মনে তোমার প্রেমের আলো;
চলার পথটা সরল থাকুক ...অন্ধকারে না হয় যেন কালো।
চাইলে তুমি সুখে দুঃখে আমি শুধু তোমার নামটি ধরে ডাকি;
রাসূলের বানী জীবন জুড়ে আপন করে, যত্ন করে তুলে রাখি।
তোমার এত ভালোবাসা পেয়ে আমি তোমায়
কি ভাবে ভুলে রই!
আমি নিজের সুখের ভেলায় ভেসে,তোমায় ভুলে
কি ভাবে বেহুশ হই!
না’ না’ প্রভু আমি এমন স্বার্থপর অকৃতজ্ঞ
আত্মভোলা মানুষ নই ...।
তাইতো তোমার হক পালনে আমি নই অলস কুড়ে,
আযান হলে নামায পরি আগে হাতের কাজটি ছুড়ে।
টাকার উপর টাকা রেখে, ব্যাংক শুধু না ভরে,
জীবনটাকে সুদ্ধ করেছি,তোমার হজ ওমরাহ্ করে।
হালাল রুযীর যাকাত দিয়ে,সহজ করেছি
দুস্থ অসহায়ের পথ,
তোমার ‘না’কে‘না’বলেছি তোমার‘হা’কে ‘হা’বলেছি,
তোমার মতেই মত।
রোযা রেখেছি ঠিক ঠাক,ঈমান করেছি অটুট শক্ত,
তুমি আমার মালিক তাইতো আমি শুধু তোমারই ভক্ত।
মনের মাঝে সকাল সাঁঝে তোমার ভালোবাসার ছবি;
আমার সকল কাব্যে তুমি,আমি তোমার প্রেমের কবি।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।