# = " অট্রহাসি " =

এফ, আই , জুয়েল
১৬ মার্চ,২০১৩

# রাজা জানতে চেয়েছিল---দেশের মানুষের অবস্থা কিরুপ ? প্রধান উজির বললেন---, মানুষ বড় মিথ্যাবাদী হয়ে গেছে । তারা এখন মিথ্যা দিয়ে জীবনকে এগিয়ে নিতে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে । চারিদিকে মিথ্যা আর প্রতারনার তীব্র গোঙ্গানীর আওয়াজ বেড়েই চলেছে ।
রাজা ফরমান জারি করলেন---, প্রধান প্রধান শহরের প্রবেশ মুখে শূল বসাও । আর যারা মিথ্যাকথা বলবে---তাদেরকে শূলে চড়াও । এ আদেশ পাওয়া মাত্র রাজ-প্রহরীরা জনগনকে ধরে ধরে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করতো । সেগুলি মিথ্যা বলে মনে হলে ধরে ধরে শূলে চড়াতো । সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের কোনো যন্ত্র না থাকায় রাজ-প্রহরীদের ইচ্ছার আলোকেই সত্য-মিথ্যা নিরুপিত হতে লাগলো । এই সুযোগে রাজ প্রহরীরাও--- " টাকা দে--, নইলে তুই মিথ্যবাদী "--এই আতংক ছড়িয়ে দিয়ে অনেক টাকা কামিয়ে নিতে থাকলো । দেশের অবস্থা ভয়ানক খারাপের দিকে যেতে লাগলো ।
প্রয়োজনের তাগিদে একদিন ঐ পথে গোপালভার যাচ্ছিলেন । প্রহরীদের প্রধান জিজ্ঞেস করলো ঃ যাচ্ছেন কোধায় ? এ কথা শুনে গোপালভার ভ্যাপাচ্যাকা খেয়ে গেলেন । তিনি ভাবলেন---যত সত্য কথাই বলা হউক না কেন---, এরা মিথ্যা সাব্যস্ত করলে সেটাই মিথ্যা হিসাবে বিবেচিত হবে । কোনো অনুনয়,বিনয় আর যুক্তি কাজে লাগবে না । শাহী হুকুমের চেয়েও এখন সৈন্যদের হুকুমের দাপট অনেক বেশী । সত্যা-মিথ্যা আর ন্যায়-অন্যায়ের মালিক এখন তারাই । তারা যা বলবে---তাই হবে । জীবন বাঁচানো এখন কঠিন হয়ে পরেছে ।
অনেক ভেবেচিন্তে গোপালভার উত্তর দিল---, আজ্ঞে--, আমিতো ঐ শূলে চড়তে যাচ্ছি । এরকম উত্তর শুনে প্রহরীরা হতভম্ব হয়ে গেল । তারা ভাবতে লাগলো---, এর কথাকে মিথ্যা ভেবে যদি শূলে চড়ানো হয় , তাহলেতো এর কথাই সত্য প্রমানীত হয় । আর এর এই কথাকেতো সত্য মনে করারও কোনো কারন নাই । তাহলে এখন উপায়---? তাহলে কি রাজার আদেশের মধ্যেই গলদ আছে ? যদি থাকে---, তাহলেতো এই শাহী গলদ খুবই মারাত্মক !
অন্য কোনো উপায় না পেয়ে--, তারা গোপালভারকে তারমতো যেতে দিতে বাধ্য হলেন । হাসতে হাসতে গোপালভার চলে গেলেন । সেই হাসির আওয়াজ জনতার হৃদয় ছুঁয়ে ছুঁয়ে যে অট্রহাসির সৃষ্টি করেছিল---, তার প্রবল ঝাঁকুনিতে জনগন জেগে উঠলো । মুক্তির পতাকা পতপত করে উড়তে লাগলো ।।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ জুয়েল ভাই গল্পটি পড়লাম ; অনেক মজার । সেই সাথে গভীর চিন্তার । শুভ কামনা ।
তানি হক ইশ গোপাল ভারের মত একটি বুদ্ধি বের করা যেত যদি ..তাহলে তো সত্যি দারুন হত ..খুব ভালো লাগলো জুয়েল ভাই ..বিশেষ করে শেষের পরিনিতি . কিন্তু মন খারাপের কথা হলো .. আমরাতো ধাক্কা খেয়েও সঠিক গতিতে ফিরিনা .. :( আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
এফ, আই , জুয়েল # হ্যা---সূর্য ভাই । আড্ডায়তো লেখা চলে যায় । ব্লগে জমা থাকে । এর সংরক্ষনের ব্যাপার বরে কিছু একটা আছে না । আপনি এত দেরীতে বোঝেন কেন---?
সূর্য জুয়েল ভাই এইটা তো মনে হয় আড্ডায় শেয়ার করছেন। পড়েছিলাম সেখানে।

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i