বন্ধু
৯ জন
“ভ্রমর কঈও গিয়া, শ্রী কৃষ্ণ বিন....”করিমন বিবি ঘরের দাওয়ায় বসে কাঁথা সেলাঈ করছেন আর একমনে গান গাঈছে।কিছুক্ষন আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে।
আজ বাবার কথা ভীষণ মনে পড়ছে ।পৃথিবীটা খুবঈ অদ্ভুত ! তাঈ না ?একটা সময় মনে হত বাবাঈ আমার প্রাণ।
সযত্নে আমি গোপন করে রেখেছি, নীল খামে জমা রাখা কিছু স্মৃতিপটবিমর্ষ রাতের অথিতি মনে করে চোখের কোণে লুকিয়ে থাকা নোনাজল,রুমালের ভাঁজে গুঁজে রাখা সে নীল জোছনা কিংবা হঠাৎ আঁতকে উঠা আর্তনাদ।
থাকুক না কিছুটা গুমোট বাতাস...সাদা কালো মৌনতা মাখানো ঘুমন্ত দহন...অশুদ্ধ কর্কটের মতো বিস্তীর্ণ থাবা মেলে জুড়ে বসা কদর্য অঙ্গাররইলোই বা জুড়ে শুভ্রতার অপরাজেয় প্রিয় ক্যানভাসে,
রিনিঝিনি রিনিঝিনি কঙ্কন জলসায়প্রিয়া ভারিয়া প্রিয়া চোখ মারে ইশারায়;নূপুর ঝংকারে-তা-রে-না-রে....তা-রে-না-রে.... চুমিচুমি চুমিচুমি নাচে মন মধুরায়।
স্বপ্না এক সামান্য গরিব ঘরের মেয়ে। বাবা মায়ের আদরের মেয় হয়ে বেশ গর্বিত। আর বাবা কষ্টের উর্পাজনে মেয়েকে পড়ালেখা শিখিয়েছে।
ফেরার পথে অনুর জন্য একটা শাড়ি কিনে আনবো।অনুটা সেই কবে থেকে অপেক্ষায় আছে একটা লাল শাড়ির;যা আমি প্রতিবার গায়ে জড়িয়ে দেই মাটির পুতুলের।
অনেকদিন ধরে শরীরটা বেশি ভালো নয়, বাড়ির চৌকাট ছাড়া আর কোথাও যাওয়া হয় না। এক রাতে ঘুমানোর সময় মা’কে বলি,