শরতের আকাশ দেখেছি

তোমার ও চোখে

আউলা কেশে কাশফুল

শিউলি ঝরে মুখে।

শত স্বপ্ন,সাধনার ডিঙিয়ে চলা ঢেউ,অতল জলরাশির বুকে,
ক্ষনিকের পুলক মেটা পিয়াস মাত্র।
আলতা রাঙা আলেয়ার রোমাঞ্চকর ক্ষত,
জীবন মোড়ানো পুতুল খেলার ছল।

ঐ তো পড়ে-
ঐ রাস্তার মোড়ে
শিউলি ফুল ।
রক্তে ভিজে লাল ।
বীরের রক্ত বৃথা যায় না-

ভালবাসি ভালবাসি হুদাইখালি এক কথা
কোনডা তুমি বাসলা ভালো-
দেহাও তুমি হেই পাতা।

কোন এক স্বপ্ন- কল্পনাময় অচেনা রাজ্যে
অজানা অপেক্ষায় বসে আমি, তুমি বিহীন

প্রার্থনা আমার, এসো হৃদয়ের ঠিকানায়
করে দাও জীবনটা আমার রংধনু রঙিন

লোকটির হাত নেই দুটো
রং-তুলি সব আছে তার;
স্বপ্ন আঁকা আছে ওই বুকে
সব বুঝি ছিল যন্ত্রণার!

কাছের মানুষগুলো না বলে না কয়ে হুটহাট চলে যায়
গলে যায়, পঁচে যায়, না ফেরার দেশে রয়ে যায়,
এইতো দেখি আবার ঘাড় ফিরিয়ে দেখি নাই
বন্ধ চোখে ডেকে যেনো বলে, সময় ফুরালো-এবার তবে যাই!

জন অরণ্যে সবাই একলা, মরীচিকার হাতছানি
পছন্দ-অ্যাবাকাসে। নিঃসঙ্গ সঙ্গ চায় তবু নিস্তব্দ রক-গুলজার,
বাসে ট্রে্নে কথা নেই, জীবন্ত পৃথিবীর এক স্তব্ধ মিছিল।
বিচ্ছিন্ন বন্ধু পরিবার, মানুষ একা, ঘরে বাইরে সাথীহারা।

প্রতিটি স্বাভাবিক রাতের মতই ঘুমাতে গিয়েছি সেই রাতে।
অবলীলায় বিছানায় এলিয়ে দিয়েছি ক্লান্ত শরীর।
অজান্তেই দুচোখ বন্ধ হয়ে গেছে ঘুমের শাসনে।
সেদিনের ঘুমেও আমি স্বপ্ন দেখেছি আগের মতই।
মাঝরাতে একবার ঘুম ভেঙ্গেছিল।

একবার খুব ইচ্ছে হয়েছিল, কিছুটা লাভা ছু্ঁয়ে দেখি,
শেষ রাত্রে হয়ত খানিক লাভাস্নান।
ষষ্ঠ আমাকে বলেছিল আস্ত এক আগ্নেয়গিরি ডাকছে আমায়।