অলীক সবকিছুই তোমাদের চোখ ধাধায়।
স্পর্শের অনুভূতিকেই শুধু সত্য ভাবো,
পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে,
তোমাদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন কোথায়?

প্রতিটি স্বাভাবিক রাতের মতই ঘুমাতে গিয়েছি সেই রাতে।
অবলীলায় বিছানায় এলিয়ে দিয়েছি ক্লান্ত শরীর।
অজান্তেই দুচোখ বন্ধ হয়ে গেছে ঘুমের শাসনে।
সেদিনের ঘুমেও আমি স্বপ্ন দেখেছি আগের মতই।
মাঝরাতে একবার ঘুম ভেঙ্গেছিল।

জন অরণ্যে সবাই একলা, মরীচিকার হাতছানি
পছন্দ-অ্যাবাকাসে। নিঃসঙ্গ সঙ্গ চায় তবু নিস্তব্দ রক-গুলজার,
বাসে ট্রে্নে কথা নেই, জীবন্ত পৃথিবীর এক স্তব্ধ মিছিল।
বিচ্ছিন্ন বন্ধু পরিবার, মানুষ একা, ঘরে বাইরে সাথীহারা।

জীবনের কবিতায় স্বপ্নের শব্দ বুনট,
ভাসমান শূন্যতায় নিয়তির অদৃশ্য হোঁচট।
তবুও স্বপ্নের পানশালায়, বিমুগ্ধ বিমোহিত তুলট প্রেমের
শরাবে ভিজিয়েছি ঠোঁট ।

শত স্বপ্ন,সাধনার ডিঙিয়ে চলা ঢেউ,অতল জলরাশির বুকে,
ক্ষনিকের পুলক মেটা পিয়াস মাত্র।
আলতা রাঙা আলেয়ার রোমাঞ্চকর ক্ষত,
জীবন মোড়ানো পুতুল খেলার ছল।

রায়ের দিঘির পারে
ছাতিম গাছের ডগায় জ্বলে বাতি
অইখানে যার ঘর
তিনি আমার পুরাকালের জ্ঞাতি।

শরীর ঝকঝকে করে তোলা প্রসাধনী,
বাজারমূল্য বাড়িয়ে দেয়া পারফিউম,
শুধু শরীরের ভেতর নিচ্ছে মানুষ।
মানুষেরা শুধু শরীর হচ্ছে এখন।

ভালবাসা কি অলীক সুখ?
কেন ভালবাসার জন্য মানুষ হয় উন্মুখ ,
ভালবাসা কি ভালবাসা হয়
মন্দ থেকে ভালতে যদি পাল্টানো না যায় ?

অস্ত গেছে অনেক সুর্য্ পূবদিক থেকে অস্তাচলে্ এসে,
তবুও দাবি করা ‘এ সভ্য জামানায়
কেন জানি সেই প্রেতাত্মারা হানা দেয়
বর্ণজানা বুদ্ধিবৃত্তির এই সুসভ্য চরাচরে...।

অলিক স্ব‌প্নে ডুব দি‌য়ে খুঁজ‌তে চাইনিক মন
তবুও যেন তু‌মি ছি‌লে নিঠুর আপন জন।
বক্ষমা‌ঝে জ‌ড়ি‌য়ে রে‌খে‌ছি তখন দ‌খিনা পবন কো‌ণে
‌নিছক তাহা অলিক ছিলনা, এখন হল ক্যা‌নে?